দামি স্মার্টফোন থেকে শুরু করে টেলিভিশনের পর্দা মেটাল ফ্রেমে বন্দি হচ্ছে। পর্দার চারদিকের কিছু অংশ ঢেকে রাখে এ ফ্রেম। তবে পর্দাকে আরো উন্মুক্ত করতে ফ্রেম ক্রমেই সরু হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ল্যাপটপের পর্দা অন্যান্য গেজেটের তুলনায় বেশি সরু ফ্রেম পায়নি। তবে অ্যাপলের ম্যাকবুক প্রো এ পথে এগিয়েছে। তবে এ পথে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে ডেল এক্সপিএস ১৫। এর ১৫.৬ ইঞ্চির পর্দার চারদিকে একেবারে সরু ফ্রেম দেওয়া হয়েছে। তাই এর দিকে তাকালেই মনে হয়, পুরোটাই উন্মুক্ত এক ঝকঝকে পর্দা। ৩৮৪০x২১৬০ রেজ্যুলেশনের টাচ ডিসপ্লে। আছে ২.৬ গিগাহার্জ ইন্টেল কো আই-৭-৬৭০০এইচকিউ সিপিইউ। মেমোরি ১৬ জিগাবাইটের ডিডিআর৪ এসডির্যাম ২১৩৩ মেগাহার্জ। ২ জিবি এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ৯৬০এম গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে। স্টোরেজ ৫১২ গিগাবাইট এসএসডি। উইন্ডোজ ১০ হোম (৬৪-বিট) দেওয়া হয়েছে। ল্যাপটপটি যখন চালু করা হবে তখন মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠবে। পুরো পর্দাজুড়ে ছবি দেখা যাবে। এর চারদিকের সরু ফ্রেম নজরেই আসবে না। তবে সরু ফ্রেমের কারণে ওয়েবক্যামটি পর্দার নিচের দিকে স্থান পেয়েছে। এর ভেতরটা ম্যাট ব্ল্যাক রংয়ের। কিবোর্ড ব্যবহারে কিছুটা ছোট মনে হবে। ফাংশন কি বেশ সুখকর অবস্থানে রয়েছে। সিঙ্গেল ট্যাপের মাধ্যমেই ভলিউম এবং ব্রাইটনেস ঠিক করে নেওয়া যাবে। কিবোর্ডের কি-গুলো একটু নড়বড়ে ঠেকবে আঙুলে। এগুলো ম্যাকবুক বা অন্যান্য উচ্চমানের উইন্ডোজ ল্যাপটপের মতো শক্ত অবস্থানে থাকে না। তবে স্পেসিফিকেশন বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। যত ভালো নেওয়া হবে, দামটাও ততটাই বাড়বে। এখানে যে কনফিগারেশন দেওয়া হয়েছে তার দাম পড়বে ২১২৯ ডলার। এর ৪কে পর্দাটি দারুণ আকর্ষণীয়। বিশেষ করে নেটফ্লিক্স এবং আমাজনের জন্যে এটি প্রয়োজন। তবে ইউটিউবের অনেক ভিডিও আবার এ পর্দায় খুব বাজে দেখাবে নিম্নমানের কারণে। ৪কে পর্দার আরেকটি গুণ হলো, পিসি গেমিংয়ের ক্ষেত্রে এটি অনন্য। এর ১৬ জিবি র্যাম দারুণ গতি দিয়েছে এতে। উচ্চমানের ল্যাপটপ বলতে ডেল এক্সপিএস ১৫ নিঃসন্দেহে উৎরে গেছে। ব্যাটারির শক্তি বিবেচনায় বেশ ভালো বলা যায় একে। ১৫ ইঞ্চির ৪কে ডিসপ্লের ল্যাপটপটি বিশেষজ্ঞের পরীক্ষায় ৪ ঘণ্টা ১ মিনিট টিকেছিল। তবে ১৫ ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রো একই পরীক্ষায় ৯ ঘণ্টা ১৭ মিনিট টিকে যায়। এটি দেখতেও অনেক অ্যাপলের ম্যাকবুকের মতো। তবে ব্যাটারি এবং টাচপ্যাডের দিক থেকে বেশ এগিয়ে ম্যাকবুক। অবশ্য ডেলের এই ল্যাপটপের প্রায় ফ্রেমবিহীন পর্দাটি সত্যিই দৃষ্টিনন্দন.
সূত্র : সি নেট