চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ লাখ কমেছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৩৭ লাখ, আর জানুয়ারিতে তা কমে ১৩ কোটি ১৯ লাখ হয়েছে। তবে একই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ লাখ বেড়েছে।
দেশে চালু থাকা মোট সক্রিয় সিমের হিসাবে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। একটি সিম যদি একটানা ৯০ দিন বন্ধ থাকে, তাহলে সেটিকে আর চালু সিম হিসেবে গণ্য করা হয় না।
জানতে চাইলে মুঠোফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, যেকোনো পরিবর্তনেই সাময়িক একটা প্রভাব থাকে। সিম নিবন্ধনে এখন একটি মধ্যবর্তী সময় চলছে, আগামীতে এই সমস্যা কেটে যাবে বলে আমরা আশা করছি।’
বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা ৪ লাখ কমে ৫ কোটি ৬২ লাখ হয়েছে, গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৫ কোটি ৬৬ লাখ।
একই সময়ে বাংলালিংকের গ্রাহকসংখ্যা ৩ কোটি ২৮ লাখ থেকে ৫ লাখ কমে ৩ কোটি ২৩ লাখ হয়েছে। গ্রাহকসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এ অপারেটরটির গ্রাহক ডিসেম্বরেও ১ লাখ কমেছে।
আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬ লাখ গ্রাহক কমেছে রবি আজিয়াটার। গত ডিসেম্বরে রবির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ২ কোটি ৮৩ লাখ, জানুয়ারিতে তা কমে ২ কোটি ৭৭ লাখ হয়েছে।
দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহকসংখ্যাও এ সময়ে ১০ লাখ ৭ হাজার থেকে কমে ৮ লাখ ৬৭ হাজার হয়েছে। অব্যাহতভাবে গ্রাহক হারাতে থাকা সিটিসেলের বাজার হিস্যা এখন ১ শতাংশের নিচে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
বেসরকারি সব অপারেটরের গ্রাহক কমলেও এই সময়ে সরকারি অপারেটর টেলিটকের গ্রাহকসংখ্যা ৪১ লাখ থেকে বেড়ে ৪২ লাখ হয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: গত ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪১ লাখ থেকে ২০ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫ কোটি ৬১ লাখ হয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধির পুরো প্রবৃদ্ধিই এসেছে মোবাইল ইন্টারনেট থেকে। ডিসেম্বরে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ১৪ লাখ, জানুয়ারিতে তা ২০ লাখ বেড়ে ৫ কোটি ৩৪ লাখ হয়েছে। এ সময়ে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ২৫ লাখ ১৮ হাজার থেকে বেড়ে ২৫ লাখ ৯৪ হাজার হয়েছে। একই সময়ে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার থেকে কমে ১ লাখ ৪৩ হাজার হয়েছে।