স্মার্টফোন বললেই সাধারণত আমাদের মনে ভেসে ওঠে অ্যাপল বা স্যামসাং ব্র্যান্ডের ঝা চকচকে ফোনগুলোর কথা। স্মার্টফোনের বাজারে এত দিন ব্র্যান্ড দুটি প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রাখলেও খুব শিগগিরই তাতে ছেদ পড়তে যাচ্ছে, অন্তত এমনটাই ধারণা পর্যবেক্ষকদের। এনবিসি নিউজ জানিয়েছে বিস্তারিত খবর।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরই মধ্যেই চীনের বাজারে স্যামসাংকে টেক্কা দিয়েছে হুয়াওয়ে বা জিওনির স্মার্টফোনগুলো।
অপেক্ষাকৃত সস্তা দামের এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলো হিসেবী ক্রেতাদের কাছে এখন দারুণ জনপ্রিয়। পর্যবেক্ষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো ইউরোপ বা দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে বাজার হারাবে আইফোন ও স্যামসাং।
চলতি সপ্তাহে স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ওয়্যারলেস শো’তে এক রকম খোলাখুলিভাবেই চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুহলোর কর্তাব্যক্তিরা তাঁদের এই লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন।
অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ‘অ্যান্ড্রয়েড পিআইটি’-এর সম্পাদক শু ওন কোকের ভাষ্যমতে, ‘চীনা ফোনের অন্যতম বড় শক্তি হলো এর কম দাম। স্যামসাং বা অ্যাপলের থেকে অনেক কম মূল্যের এসব ফোনের বেশির ভাগ ফিচারই নামিদামি ব্র্যান্ডের অভাব মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যার ফলে কিছুটা কম আয়ের মানুষদের কাছে এ জাতীয় ফোনের কদর দ্রুত বাড়ছে।’
একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি বা আইফোনের মূল্য যেখানে প্রায় ৬৫০ মার্কিন ডলার, সেখানে ক্রেতারা মাত্র ২০০ ডলারের মতো খরচ করলেই পেয়ে যাচ্ছেন হুয়াওয়ে বা ওপ্পো-এর মতো চীনা ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন।
কাজেই চীনা ফোনের জনপ্রিয়তা যে সামনের দিনগুলোতে আরো বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর এই পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে বিশ্ব বাজারে। অ্যাপল সম্প্রতি বিগত ১৩ বছরের মধ্যে প্রথম ব্যবসায় মন্দার স্বাদ পেয়েছে।
একই অবস্থা স্যামসাংয়েরও। খোদ চীনের বাজারে নাকি স্যামসাং সর্বাধিক বিক্রিত ফোনের তালিকায় শীর্ষস্থানের ধারেকাছেও নেই। হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম জশুয়া তো ঘোষণাই দিয়েছেন যে, শিগগিরই ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসন গেড়ে বসতে যাচ্ছে তাঁদের তৈরি স্মার্টফোন।