Site icon Trickbd.com

কিভাবে নরমাল মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভালো মানের ছবি তুলবেন।

Unnamed

অনেকেরই ধারণা যে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভালো ছবি তোলা সম্ভব না, কিন্তু আসলে ধারণাটি ভুল। ছবি তুলতে হলে যে শুধু ৮-১০ মেগাপিক্সেল ক্যমেরা লাগবে এই ধারণাটিও ভুল। মোটামুটি ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাই যথেষ্ট আমাদের প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য । আজ কাল প্রত্যেক মোবাইলেই ক্যামেরা থাকে, এই ক্যামেরা ব্যবহার করেও ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব, তবে তার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চল্লেই হল. 

১.লাইটঃ

ছবির ক্ষেত্রে লাইটটাই বেশি দরকারি। ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আলোর যথাযথ প্রভাব থাকে, মোবাইলে ভালো ফ্ল্যাশ থাকলে আর এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। যদি ফ্ল্যাশ না থাকে তবে অবশ্যই আলোর দিকে বেশি খেয়াল করতে হবে। আলোটাই মুলতঃ ছবির প্রাণ। তাই বলে অন্ধকারের ছবি তুলতে গিয়েও কিন্তু আলো ব্যবহার করবেন না!!

২.জুমের ব্যবহারঃ

জুম যত কম ব্যবহার করা যায় ততই কম ব্যবহার করুন। জুম করলে ছবির কোয়ালিটি নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে যদি তা হয় ডিজিটাল জুম। যদি জুম করার প্রয়োজন হয় তবে কাছে গিয়ে ছবি তুলুন, আর যদি কাছে যাওয়া সম্ভবপর না হয় তবে জুম ছাড়া ছবি যেমন উঠে তাই ভাল। তবে যাদের অপটিকাল জুম আছে তাদের কথা আলাদা, অপটিকাল জুম যত এক্স পর্যন্ত আছে সর্বোচ্চ ততই ব্যবহার করুন, অবশ্যই খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।

৩.ক্যমেরা ভাল করে ধরাঃ

ছবি তোলার সময় অবশ্যই ক্যামেরাটিকে (বা ক্যামেরা মোবাইলটিকে) ভালো করে ধরতে হবে যাতে ছবি ব্লারি বা ঘোলা না অঠে, আর এজন্য মোবাইলকে নাড়াচাড়া করানো যাবেনা। ভালো করে ধরে ছবি তুলতে হবে। আর নিজের নড়াচড়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৪.ক্যামেরার লেন্সঃ

লেন্সের প্রতি যত্নবান হতে হবে। লেন্সে ঘোলা হয়ে গেলে ব্লারি বা ঘোলা ছবি ওঠা সাধারণ ব্যাপার। লেন্সকে সবসময় পাতলা শুকনো কাপড় বা পাতলা টিস্যু দিয়ে আস্তে করে মোছা উচিত, তাই বলে কেউ জোরে ঘসবেন না, এতে লেন্স ভালো হঊয়া তো দূর নষ্টও হয়ে যেতে পারে। লেন্সে যাতে কখোনোই জল না লাগে।

৫.লক্ষ্যবস্তুর কাছে যানঃ

জুম থাক বা না থাক ভালো ছবি তুলতে হলে যতটুকু পারা যায় লক্ষ্যবস্তুর কাছে থাকুন, এতে ভালো কোয়ালিটির ছবি পাবেন। তাই বলে কেউ বিপদজনক কোন কিছুর ছবি তুলতে কাছে যাবে না!
৬.ছবিতে ইফেক্ট ব্যবহারঃ

প্রায় সব মোবাইলেই বিল্ট-ইন ইফেক্ট রয়েছে, তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন যদি মোটামুটি জানেন তবে মোবাইলেরর বিল্ট ইন ইফেক্ট না দেয়াই ভালো। নরমাল ভাবে ছবি তুলে পরে সেটা কম্পিউটারে এডিট করে নিলেই হবে।

৭.অভিজ্ঞ হয়ে উঠুনঃ

মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে যেহেতু খরচ হয় না তাই যত পারবেন ছবি তুলুন, বেশি বেশি ছবি তুলে নিজেকে অভিজ্ঞ বানিয়ে তুলুন। তবে যেভাবে মন চায় সেভাবে না, সকল নিয়ম মেনে ছবি তুলুন।

৮.রেজুলূশনঃ

অনেক মোবাইলেই আপনাকে রেজুলূশন চয়েজ করার সুবিধা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইলে থাকা সর্বোচ্চ রেজুলেশন ব্যবহার করাই ভালো। রেজুলেশন ভালো থাকলে ছবি ভালো হয় এবং হাই কোয়ালিটির হয়, বিশেষ করে যদি আপনি পরে ছবি প্রিন্ট করতে চান তাহলে ভালো রেজুলূশনের ছবি না হলে চলবে না। যদিও রেজুলূশনের ওপর ভিত্তি করে ছবির সাইজ বড় হয় তবুও রেজুলূশন বেশি দিয়ে ছবি তোলাই ভালো, সাইজের বা মেমরির চিন্তা করলে আর ভালো ছবি তোলা লাগবে না!

৯.পিকচার ফ্রেম ব্যবহারঃ

মোবাইলে পিকচার ফ্রেম একটি সাধারণ ফিচার, প্রায় সব মোবাইলেই এই ফিচার আছে। কিন্তু মোবাইলের পিকচার ফ্রেম আপনার ছবির কোয়ালিটি ১০০% থেকে কমিয়ে ২০% এ নিয়ে আসবে, সুতরাং পিকচার ফ্রেম ব্যবহার বাদ দিতে হবে।

১০.ছবি তোলার বিষয় নির্বাচনঃ

বিষয় নির্বাচন ছবি তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ছবি তোলার বিষয় বস্তু ভালো হতে হবে। নিজেই নিজের ছবি তোলা ভালো বিষয় বস্তু না। চেষ্টা করবেন প্রকৃতির ছবি তুলতে বা বৈচিত্রময় কিছুর ছবি তুলতে, এতে ছবি তোলার প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়বে এবং একই সাথে ছবি তুলে মজাও পাবেন আপনি। নিজের ছবি যদি তুলতে চান তবে নিজে না তুলে অন্য কাউকে দিয়ে তোলান, যদি সম্ভব না হয় তবে সতর্কতার সাথে নিজেই তুলুন। কোন বিষয়ের শুধু একটি ছবি না তুলে একাধিক ছবি তুলুন, এতে ভালো শট পাবার সম্ভাবনা থাকে।

এই পোস্টের প্রথম প্রকাশনিউপোস্টবিডি.কমে