অঢেল সম্পদ তাঁর। খ্যাতিও যথেষ্ট। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে বিল গেটসের জনপ্রিয়তা কতটুকু? সাফ সাফ জানিয়েছেন, ওই পথ মাড়াতেই চান না তিনি। বর্তমান কাজটি যে তাঁর খুবই প্রিয়! পছন্দের খাবার? এবার ঠিক সরাসরি জবাব দিতে পারেননি, তবে সুশি আর থাই খাবার নাকি তাঁর পাতে প্রায়ই ওঠে। নিজের জন্য পোশাক বা অনুষঙ্গ খুব একটা কেনা হয় না। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটের ‘আস্ক মি অ্যানিথিং’ প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনই অনেক না জানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মাইক্রোসফট করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস
প্রশ্ন: আগামী ২০ বছরে মানবজাতির অর্জন কী হবে? আপনি সবচেয়ে বেশি উৎসাহী কোন বিষয়টি নিয়ে?
উত্তর: তিনটি বিষয়ের কথা বলব। এক. এমন শক্তি উদ্ভাবন করা, যা খরচ কমাবে এবং কোনো গ্রিনহাউস গ্যাসেরও নির্গমন হবে না। দুই. পোলিও, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, টিবির মতো ছোঁয়াচে রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারে অগ্রগতি। তিন. শিক্ষার মান আরও বাড়ানো-শিক্ষকদের শিক্ষাদানে সহযোগিতা করা, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনে এবং কীভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায় সেটা বুঝতে সাহায্য করা।
প্রশ্ন: ১৭ বছরের তরুণ বিল গেটসকে পেলে কী উপদেশ দেবেন?
উত্তর: আমি বলতাম প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের দিকে জোর দিতে। বেশির ভাগ অবিশ্বাস্য কাজ তাদের দিয়েই হয়।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সেরা তিন সিদ্ধান্তের মধ্যে মেলিন্ডাকে বিয়ে করা রাখবেন?
উত্তর: আমি এটাকে তালিকার শীর্ষে রাখব।
প্রশ্ন: আইএনআই ফাইল পরিবর্তন না করে সর্বনিম্ন কত সময়ের মধ্যে মাইনসোয়েপার শেষ করেছেন?
প্রশ্ন: কখনো বিশ্রামে গিয়ে নিরিবিলি জীবন যাপনের কথা কখনো ভেবেছেন?
উত্তর: আমি আমার কাজকে ভালোবাসি। বিজ্ঞানী এবং মাঠকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভালো লাগে আমার। চাইলে আমি কম কাজ করতে পারতাম। ২০ বছর বয়সে আমি বিশ্রামে বিশ্বাসী ছিলাম না। কিন্তু এখন আমার বয়স হয়েছে। এখন ছুটি নিই। তবু আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে আমি এবং মেলিন্ডা আরও ৩০ বছর এই ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ করে যাব, যদি শরীরটা সঙ্গ দেয়।
প্রশ্ন: প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নামছেন না কেন?
উত্তর: প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেয়ে এখন বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে যে কাজটি করছি, সেটাই বেশি ভালো লাগে আমার। নির্বাচিত হতে যা লাগে, সে কাজে আমি মোটেও ভালো নই।