আধুনিক বিশ্বে উন্মাদনার
অপর এক নাম ভিডিও গেমস।
বহু বছর ধরে ভিডিও গেম
হয়েছে আরো বেশি
জনপ্রিয়, উপভোগ্য এবং
চ্যালেঞ্জিং। দক্ষ গেমাররা
তাদের জীবনটাকে বিলিয়ে
দিয়েছেন ভিডিও গেমের
প্রতি। তারা কঠিন ও
চ্যালেঞ্জিং গেম খেলতেই
বেশি পছন্দ করেন। এদের
কথা মাথায় রেখে তাই
নির্মাতারা প্রথম থেকেই
কঠিন সব গেম বানিয়েছেন।
এখানে চিনে নিন এমনই
কয়েকটি ভিডিও গেমসের
কথা যেগুলো খেলা দারুণ
কঠিন।
১. Demon’s Souls/Dark
Souls : ২০০৯-২০১১ সালে
এই গেমটি দারুণ জনপ্রিয়
হয়ে ওঠে। ফ্রমসফটের
গেমটি বানানো সময়ই চিন্তা
করা হয়, গেমাররা কিভাবে
এটি খেলতে গিয়ে সত্যিকার
কঠিন অবস্থার শিকার হতে
পারেন। অতি সাধারণ শত্রু
বধ করতে গেলেও গেমারের
বাছাই করা চরিত্র মরে
যেতো। এটা মারাত্মক
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় এবং
জেদি গেমাররা সেই
চ্যালেঞ্জ সাদরে গ্রহণ
করে নেন।
২. Ghosts ‘n Goblins : ১৯৮৫
সালের ক্যাপকমের এই
সাইড স্ক্রলিং প্লাটফর্মের
গেমটি সত্যিকারের
অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ দেয়।
একটি আঘাতেই নাইট
আর্থারের হৃদযন্ত্রের
অবস্থা খারাপ হয়ে যেত।
দ্বিতীয় আঘাতেই তার মৃত্যু।
অধিকাংশ গেমারই এর প্রথম
স্টেড পার করতে পারেননি।
৩. Ninja Gaiden II : টেকমো
কয়ির ২০০৮ সালের গেমটি
ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল।
ডিফিকাল্টি নরমাল দিয়েও
গেমারদের ঘাম ঝরে যেতো।
একবার মাস্টার নিনজা হতে
পারলে কিছু সুবিধা মিলতো।
কিন্তু দ্বিতীয় স্টেজে গিয়ে
বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব
ছিল।
৪. God Hand : ২০০৬ সালের
ক্যাপকমের এই গেমটিও
কঠিনগুলোর একটি।
গেমারের দক্ষতা এখানে বড়
বিষয়। লেভেল এক থেকে
শেষ লেভেলটি ছিল ডায়।
শত্রুদের আক্রমণ, ক্ষতির
পরিমাণ ইত্যাদি হিসাব কষে
খেলতে হতো। কঠিন হলেও
একে পারফরমেন্সের সঙ্গে
বিস্ময়কর সমন্বয় করা হয়।
৫. UFO: Enemy Unknown :
১৯৯৪ এর মিথোস গেমস-
এর এক্সকম সিরিজ চালু
হয়। মারাত্মক এক
স্ট্র্যাটেজি গেম এটি।
এলিয়েনদের আক্রমণে
নিজের সৈন্যদের মৃত্যু আর
মানবজাতিকে বাঁচানোর এই
গেমটি দারুণ কঠিন।
৬. Fade to Black : ডেলফাইন
সফটওয়্যার ১৯৯৫ সালে এই
গেমটি বাজারে আনে।
ফ্ল্যাশব্যাক সিক্যুয়ালের
মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক
ডিজাইনটি ত্রিমাত্রিকে
আনা হয়। এর ফেড টু ব্ল্যাক
সংস্করণে শত্রুর একটি
আঘাতেই মারা যেত নায়ক।
উইলিয়ামস ইলেকট্রনিক্সের
গেমটি যেমন উপভোগ্য,
তেমনি কঠিন।
আলট্রাভায়োলেন্সের
মাধ্যমে ব্যাপক
ধ্বংসযজ্ঞের সত্যিকার
কঠিন এক গেম নার্ক।
পুরনো গেমটিতে নিষ্ঠুরতার
নতুন এক চিত্র দেওয়া হয়।
৮. Smash T.V. : ১৯৯০ সালের
একই নির্মাতার আরো
একটি গেম এটি। একটি
ক্লাসিক আর্কেড গেম।
গেমাররা পরের স্টেজটি
দেখতে মুখিয়ে থাকতেন।
কিন্তু এত সহজ ছিল না।
যতক্ষণ বেঁচে থাকা সম্ভব
ছিল, তত বেশি পুরস্কার
মিলতো।
৯. The Simpsons : ১৯৯১
সালে কোনামির দারুণ একটি
গেম। আকর্ষণীয়
প্রেজেন্টেশন এবং কৃত্রিম
কাঠিন্য জুড়ে দেওয়া হয়
গেমটিতে। দারুণ উপভোগ্য
ক্লাসিক একটি গেম। কিন্তু
খেলাটা খুবই কঠিন।
১০. Takeshi’s Challenge :
তাইতো করপোরেশনের
১৯৮৬ সালের গেমটি অনন্য।
গতানুগতির গেমিং দক্ষতা
এতে কাজে লাগতো না।
দারুণ কঠিক সব শর্ত আর
বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে
যেত হতো।
১১. Rogue : মাইকেল টয়/
গ্লেন উইচম্যানের ১৯৮০
সালের গেম এটি। গেমটির মূল
বিষয় ছিল গেমারকে কতটা
চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে
ফেলা যায়। নতুন পরিবেশ
এবং নতুন ঘরাণার যুদ্ধ
সত্যিই খুব কঠিন ছিল।
১২. Dwarf Fortress : বে ১২
গেমস-এর ২০০৬ সালের
গেমটির মূল মোটো ছিল,
হেরে যাওয়াটাই মজা।
অর্থাৎ, এখানে জেতার ইচ্ছা
খুব সহজে পূরণ হতো না।
ব্যর্থতা অবস্যম্ভাবী।
১৩. The Adventure of Little
Ralph : নিউ করপোরেশনের
১৯৯৯ সালের গেমটি একটি
রোমাঞ্চকর
অ্যাডভেঞ্চার। কিন্তু দারুণ
কঠিন। এটি প্লে স্টেশন এবং
পিএসএন-এ খেলা যেতো।
স্কোরের দিকে দারুণ খেয়াল
রাখতে হতো। কিন্তু সহজে
সফলতা ধরা দিতো না।
১৪. The Bizarre
Adventures of Woodruff
and the Schnibble :
ককটেল ভিশনের এই ডার্ক
অ্যাডভেঞ্চার গেমটি
গেমারদের প্রায়
নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকতো।
গোটা গেমটি ছিল রহস্যে
ভরা। পরবর্তিতে কি করতে
হবে সে সম্পর্কে কেউ
কোনো ধারণাই করতে
পারতেন না।
১৫. Mushihimesama :
কেভের গেমটি ২০০৪ সালে
বের হয়। দ্বিমাত্রিক এই
গেমটি ছিল সবচেয়ে কঠিন
গেম। ইনসেক্ট-থিম গেমটি
বড় বড় গেমারদের ঘাম
ঝরিয়েছে।
১৬. In The Groove : ২০০৪
সালে গ্রুভের গেমটি দারুণ
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়
গেমারদের প্রতি। আর্কেড
মিউজিক গেমটি সে সময়ের
কঠিনতম গেমের একটি।
১৭. Super Meat Boy : এর
স্টেজটি নানা অজানা
কিন্তু তারপরও গেমারদের
মন কাড়ত সক্ষম হয়। দারুণ
গতি তুলতে বাধ্য করে
গেমারদের। আর তাতেই বার
বার ব্যর্থতা দেখতে হয়।
১৮. Trials Fusion : ২০১৪
সালের এই গেমটি
মোটরসাইকেল গেম।
সাধারণভাবেই শুরু হবে।
কিন্তু শিগগিরই এর
চ্যালেঞ্জ দুঃস্বপ্ন
দেখাবে। খাড়া দেওয়ার
পেরোতে কত কোণে লাফ
দিতে হবে? এসব নানা হিসাবে
বার বার ব্যর্থতা দেখতে
হবে।
১৯. Battle Garegga :
দ্বিমাত্রিক এই শুটার গেমটি
মারাত্মকভাবে কঠিন ছিল।
এর নিয়ম-কানুন দারুণভাবে
জটিলতাপূর্ণ। র্যাঙ্ক
বৃদ্ধিতে কিছু বোনাস ও
শক্তি মেলে। কিন্তু এগিয়ে
যাওয়া রীতিমতো অসম্ভব।
২০. Rick Dangerous :
ইন্ডিয়ানা জোনসের মতোই
এক প্লাটফর্ম। কিন্তু খেলা
শুরু করতেই গেমারদের হেরে
যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়।
এগিয়ে যাওয়ার পথও খুব
কম।
২১. Shadow of the Beast II
: এক দল গেমারের মধ্যে এই
গেমের কথা বললে সবাই
নস্টালজিয়ায় ভেসে যাবেন।
কিন্তু কেউ খুব বেশি দূর
গিয়েছেন কিনা তা জানতে
চাইলে সবাই মাথা নাড়বেন।
এই গেমে এগিয়ে যাওয়ার
কৌশল এতটাই কঠিন যে তা
আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
২২. Time Crisis : ১৯৯৫
সালের গেমটির পেছনে
গেমাররা যথেষ্ট কয়ের
ঢেলেছেন। কিন্তু সুবিধা
করতে পারেননি। সহজো গেম
ওভার কথাটি স্ক্রিনে
দেখতেন গেমাররা।
২৩. Wanna Be the Guy:
The Movie: The Game :
যারা গেমটি খেলেছেন তারা
এর কথা কখনোই ভুলতে
পারবেন না। কঠিন গেমের
তালিকায় স্থান করে নেয়
২০০৭ সালের গেমটি।
২৪. Weaponlord : আর্কেড
ফাইটারদের কাছে জনপ্রিয়
এবং চ্যালেঞ্জিং গেম ছিল।
এর অদ্ভুত সব কম্বো
অ্যাটাক দেওয়া ছিল প্রায়
অসম্ভব। ফলাফল
গেমারদের একের পর এক
ব্যর্থতা।
২৫. Flywrench : ২০১৫
সালের এই গেমটি
কঠিনতমগুলোর মধ্যে
একটি। এই গেমের সেটআপ
অদ্ভুতরকম সরল। কিন্তু
খেলাটা দারুণভাবে কঠিন।
মেজের মধ্য দিয়ে একটি
স্পেসশিপ নিয়ে যাওয়া সহজ
মনে হলেও তা খেলে গেলে
অসম্ভব বলেই বোঝা যাবে।
এই গেমটি গত বছরের তো
বটেই, বিগত ৯ বছরের মধ্যে
সবচেয়ে কঠিন গেম বলে ধরে
নেওয়া যায়।