এন্টার্কটিকার জলবায়ু পরিবর্তনের উপর সদ্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। এই শতাব্দীর শেষ দিকে শুধুমাত্র এন্টার্কটিকের বরফগলার পরিমাণ বেড়ে যাবে ১ মিটার করে। এই গবেষণা অনুসারে ২৫০০ সালে গিয়ে এই বরফ গলার পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩ মিটার।
২০১৩ তে ইন্টার ‘ইন্টার গর্ভামেন্টাল ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) ধারণা করেছিল ২১০০ সালের মধ্যে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৯৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। তবে আইপিসিসি ধারণা করেছিল এন্টার্কটিকার ভূমিকা এখানে নগণ্য থাকবে।
অন্য আরেক গবেষণায় দেখা গেছে সমুদ্রপৃষ্ঠের আরও বেশি বাড়ার সম্ভাবনা। নতুন এই গবেষণা বলছে সাগরের উচ্চতা গত ২৮০০ বছরে যেকোনো সময়ের তুলনায় অধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২১০০ সালের মধ্যে ১.৩১ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
যদিও এই অনুমানের উপর এন্টার্কটিকার প্রভাবের সঠিক স্তর নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে একটি গবেষণা পত্রে দেখা গেছে, যে প্রস্তাবে এক মিটার বা তার বেশি পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তা আসলে বিশ্বাসযোগ্য নয়।
কিন্তু নতুন গবেষণা দেখা যাচ্ছে ২১০০ সালের মধ্যে এন্টার্কটিকার উচ্চতা বৃদ্ধি ১.১৪ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন তাদের অনুমান আগামী দশকেই দৃশ্যমান হবে।
ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস অধ্যাপক রবার্ট ডি কন্টো বলেন, ‘যদি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে তাহলে আমাদের ধারণা শিগগিরই এর বিশাল প্রভাব পড়বে।’
একটি থ্রিডি প্রজেক্টে দেখা গেছে পশ্চিম এন্টার্কটিকাতে বরফ গলার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে যা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে উত্তর আমেরিকাতে। তবে বরফ গলার এই পরিমাণকে হুমকি হিসেবেই দেখছে বিজ্ঞানীরা।