আমাদের দেশে অনলাইনে পাসপোর্টের ফর্ম
পূরণ করে অফিসে ফর্ম জমা দিয়ে ছবি তুলতে সময়
লাগে মাত্র ৩০ মিনিট, তাও কাউকে কোনো ঘুষ
দিতে হবে না। আর দালালকেও ধরতে হবে না। শুধু
অনলাইনে আবেদন করে আর পাসপোর্ট অফিসে
গিয়ে ছবি তুলে হাতের ছাপ দিয়ে আসুন। দেশে ও
দেশের বাইরে ইন্টারনেট থেকে এই আবেদন
করা যাবে। পাসপোর্ট করতে গেলে অনেক
প্রকার ভোগান্তীতে পড়তে হয়।
পাসপোর্ট অফিসে গেলেই দেখা যাচ্ছে
পাসপোর্ট প্রত্যাশী কয়েক শ লোক দীর্ঘ
লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সব সময় দেখা যায় সারা দিন
দাঁড়িয়ে থেকেও আবেদন ফরম জমা দিতে
পারছেন না। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই কয়েক
দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাবেন। আসুন
আমরা জেনে নেই অনলাইনে পাসপোর্ট কিভাবে
করা যায়।
১ম ধাপঃ
ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া..
[ সোনালী ব্যাংকের কলেজ গেইট শাখায়
পাসপোর্ট (Passport) আবেদনের ফি হিসাবে
টাকা জমা দিতে হবে। রেগুলার ফি ৩০০০/- টাকা (১
মাসের মধ্যে পাসপোর্ট (Passport) পেতে
হলে) আর ইমারজেন্সি ফি ৬০০০/- টাকা (১৫ দিনের
মধ্যে পাসপোর্ট (Passport) পেতে
হলে).. ]
প্রথমেই টাকা জমা দেয়া প্রয়োজন এই কারণে
যে , অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা
দেয়ার তারিখ এবং জমাদানের রিসিটের নাম্বারউল্লেখ
করার প্রয়োজন হবে। তাই টাকা আগে জমা দেয়া
থাকলে একবারেই ফর্ম পূরণ করা হয়ে যাবে।
আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন
ভালোভাবে দেখুন , সতর্কতার সাথে ফর্মটি
ফিলআপ করুন। আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি (যেমন
নামের বানান, প্যারেন্টস এর নাম) যেন শিক্ষাগত
সার্টিফিকেটের মতই হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। টাকা
জমা দেয়ার তারিখ এবং রিসিট নাম্বার উল্লেখ করুন।
পুনরায় চেক করার পর সবশেষে সাবমিট করুন ।
সফলভাবে সাবমিশন শেষ হলে পূরণকৃত ফর্মের
একটি পিডিএফ কপি আপনার মেইলে চলেআসবে ।
এইধাপ এইখানেই শেষ। অনলাইনে একাউন্ট খোলার
পরপরই আপনাকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড জানিয়ে
দেবে । সেটা সংরক্ষণ করুন।
২য় ধাপঃ
জমা দেয়ার আগে ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন
আপনার পূরণকৃত ফর্মের যেই পিডিএফ কপিটা
পেয়েছেন, সেটার ২ কপি কালার প্রিন্টকরে
ফেলুন। যেসব জায়গা হাতে পূরণ করতে হবে
সেগুলো করে ফেলুন । আপনার সাইন দিন। এবার
নিজের চারকপি ছবি , জাতীয় পরিচয় পত্রের
ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোন
প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত
করে নিন। পরিচিত কাউকে দিয়ে সসত্যায়নকরানো
দরকার এই কারণে যে, ঐ কর্মকর্তার নাম ,
যোগাযোগ ও ফোন নাম্বার ফর্মে লিখতে হয়।
সত্যায়ন শেষে পুরো ফর্মটি রিচেক করুন।
সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রিসিভ আঠা দিয়ে ফর্মের
সাথে যুক্ত করুন। সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের
সত্যায়িত কপিটি নিন। আপনার ফর্ম জমাএখন দেয়ার জন্য
প্রস্তুত। পাসপোর্ট এর ফর্মটি, আপনার ন্যাশনাল
আইডি
এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি
থাকে) সত্যায়িত করে পাসপোর্ট অফিসে চলে
যান। আর ছবিতোলার জন্য যেদিন সময় দেবেন
সেদিনটা ফ্রি রাখবেন। সময়
লাগতেও পারে এই দিনে যদি মানুষ বেশী হয়।
ফর্মের প্রিন্ট করার সময় এক কপি এক্সট্রা করুন।
ব্যাকআপ থাকা ভালো । আমার প্রথম পেজ নষ্ট
ব্যাকআপকপির প্রথম পেইজ দিয়ে দিয়েছি। ছবি দুই
কপি লাগলেও এক্সট্রা দুই কপি করিয়ে রাখা ভালো ,
পাসপোর্ট অফিসে চেয়ে বসে মাঝে মাঝে।
একই কথা জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যাপারেও।
৩য় ধাপঃ
ছবি তোলা এবং অন্যান্য আপনার নির্বাচন করা তারিখে
সকাল সকাল পাসপোর্ট অফিসে চলে যান । অবশ্যই
সাদা পোষাক পরবেন না, ফর্মাল পোষাক পরার
চেষ্টা করুন। সকাল ৯ টার দিকে গেলেই হবে।
কোন লাইনে দাঁড়াতে হবে না আপনাকে । সরাসরি
মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে যান। সেখানে
দায়িত্বরত সদস্যকে জিজ্ঞেস করুন কোন রুমে
যাবেন। সেখানে এসেই আসল কাজ । প্রথমে
আপনার ফর্মটি চেক করবে এবং সাইন করে
দেবে। সাইন শেষে আপনাকেজানিয়ে দেয়া
হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যাবে। ঐ
রুমগুলো ঠিক পাশেই। সিরিয়াল আসলে ছবি তুলুন,
ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিন। ব্যস , কাজ শেষ!
এবার আপনাকে পাসপোর্ট (Passport) রিসিভের
একটা রিসিট দেবে। সেটা যত্ন করে রাখুন। পুলিশ
ভেরিফিকেশান সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার একমাস বা
১৫দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন ।
Visit my site
FB Link