মাইক্রোসফটের সর্বশেষ সংস্করণ উইন্ডোজ ১০। আর ডেস্কটপ ও ল্যাপটপে এই সংস্করণটি চালু করার জন্য এক প্রকার মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। আর সে কারণেই এবার খেসারত দিতে হলো তাদের।
অনেক ব্যবহারকারীরই অভিযোগ ছিল উইন্ডোজ ১০ অপারেটিংয়ে আপগ্রেড করার জন্য মাইক্রোসফট ব্যবহারকারীদের জোরাজুরি করছে। অনেক কম্পিউটারেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড হয়ে যাচ্ছে।
এ কারণে বিরক্ত হয়ে মামলা করেিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার টেরি গোল্ডস্টেইন। এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিক এই নারীর দাবি ছিল তাঁর অফিসের ডেস্কটপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড হয়ে গেছে তাঁর অগোচরেই। এরপর থেকে তিনি তাঁর অফিসের কম্পিউটারে কোনো কাজই করতে পারছেন না।
এ কারণে তাঁর কাজের ক্ষতি হয়েছে আর সে কারণেই ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ, ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য সিয়াটল টাইমস।
উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেডের আগে কম্পিউটারে উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করতেন টেরি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো উইন্ডোজ ১০-এর নামই শুনিনি। আমার কম্পিউটারে আপগ্রেড করার আগে এ বিষয়ে আমার অনুমতিও নেওয়া হয়নি।
ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনি দাবি করেছেন, নতুন একটি কম্পিউটার। এর সঙ্গে তার কাজের যে ক্ষতি হয়েছে সব মিলিয়ে ১০ হাজার মার্কিন ডলার দাবি করেছেন তিনি। আর আইনি ঝামেলা কাটিয়ে উঠতে মাইক্রোসফট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘অভিযোগকারী তাঁর অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। সে কারণে এ নিয়ে আর কোনো কথার অবকাশ নেই।
উইন্ডোজ ১০-এর স্বয়ংক্রিয় আপগ্রেডের আরো অভিযোগ রয়েছে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে। এই ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে সেই সব ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারী নিশ্চয়ই উদ্বুদ্ধ হবেন মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করতে।
গত ২৯ জুলাই পর্যন্ত উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করার সুযোগ পেয়েছিলেন।