জনপ্রিয় সোশাল মেসেজিং
প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ বহু
আগেই ব্যবহারকারীদের জন্য ফ্রি
করে দেওয়া হয়েছে। তবে
সেটা শুধু আর্থিক বিষয়ে,
নিয়মনীতির বিষয়ে নয়। আপনার
সমস্ত কাজকর্মের ওপর নজর রাখছে
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
.
তাদের
শর্ত লঙ্ঘন করলে কর্তৃপক্ষ আপনার
অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে
সাসপেন্ড করতে পারেন,
সতর্কতামূলক নোটিশ পাঠাতে
পারেন আপনাকে কিংবা
চিরতরে আপনাকে
হোয়াটসঅ্যাপ থেকে
নির্বাসিত করতে পারেন!
.
কাজেই হোয়াটসঅ্যাপের
নিজস্ব টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন্স
অনুসারে এই ৬টি কাজ করলে
আপনি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার
করার অধিকার হারাতে পারেন
:
.
★★১. যদি আপনি বহুসংখ্যক অচেনা
মানুষকে একসঙ্গে এক বা
একাধিক মেসেজ পাঠান :
যিনি আপনার পরিচিত নন, তিনি
আপনার মেসেজকে স্প্যাম বলে
গণ্য করবেন এবং আপনার বিরুদ্ধে
হোয়াটসঅ্যাপে রিপোর্ট
করবেন, এটাই স্বাভাবিক। এ রকম
একটানা চলতে থাকলে
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ আপনাকে
ব্যান করে দেবে।
.
★★২. যদি একসঙ্গে বেশ কিছু মানুষ
আপনাকে ব্লক করে দেন : আপনি
অনভিপ্রেত বা আপত্তিকর
মেসেজ পাঠাতে থাকলে,
মেসেজ প্রাপকরা আপনাকে ব্লক
করে দেবেন। বিষয়টি
অবধারিতভাবেই হোয়াটসঅ্যাপ
কর্তৃপক্ষের নজরে পড়বে এবং
তারা আপনাকে ব্যান করার
সিদ্ধান্ত নেবেন।
.
★★৩. যদি অচেনা মানুষদের নিয়ে
আপনি বহুসংখ্যক গ্রুপ তৈরি করেন
: গ্রুপ আপনি বানাতেই পারেন,
কিন্তু নিশ্চিত হয়ে নিন যে,
যাদের আপনি গ্রুপে অ্যাড
করছেন তাদের কনট্যাক্ট লিস্টে
যেন আপনার হোয়াটসঅ্যাপ
নম্বরটি থাকে।
.
★★৪. যদি একই মেসেজ আপনি বহু
মানুষকে পাঠান : এই ধরনের
মেসেজকে গুজব ছড়ানো মনে
করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ
কর্তৃপক্ষ। তার ফলে আপনাকে
ব্যান করে দেওয়া হতে পারে।
.
★★৫. গুজব, ম্যালওয়্যার, হিংসা
ছড়ানো, ভয়-দেখানো : যদি
আপনি গুজব ছড়ান, ম্যালওয়্যার বা
ভাইরাস ছড়ান মেসেজিং-এর
মাধ্যমে, ভয়-দেখানো, হিংসা
ছড়ানো, কোনো ধর্মের প্রতি
বিদ্বেষমূলক, কিংবা পর্ন ছবি বা
ভিডিওসমেত মেসেজ পাঠান
অন্যদের।
.
★★৬. যদি মেসেজিং-এর মাধ্যমে
কাউকে বিরক্ত করেন : যিনি
আপনার মেসেজে বিরক্ত বোধ
করছেন তিনি অনিবার্যভাবেই
আপনার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করবেন
হোয়াটসঅ্যাপে। পরিণামে
আপনাকে ব্যান করে দেবে
হোয়াটসঅ্যাপ।