বিভিন্ন হলিউডি সিনেমায় আমরা দেখেছি নায়ক লেজার অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভস্ম করে দিচ্ছে। এ ধরণের অস্ত্র এতদিনকাল্পনিক থাকলেও আজ তা বাস্তব। কারণ রাশিয়ার
“ডেথ রে”। বাংলায় যাকে বলে “ মৃত্যু রশ্মি”। এটি আক্ষরকভাবেই মৃত্যু রশ্মি। কারণ এটি মুহূর্তের মধ্যেই ভস্ম করে দিতে পারে লক্ষ্যবস্তুকে।
“ডেথ রে” আসলে একটি মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র। এই ধরণের অস্ত্রকে “ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপুন”
সংক্ষেপে ডিইডাব্লিউ (DEW) বলা হয়। আগেও এধরণের বিভিন্ন অস্ত্র তৈরী হয়েছে। তবে “ডেথ রে” সম্পূর্ণ মৌলিক এবং পৃথিবীতে এই অস্ত্র প্রথমবার তৈরী হল। “ডেথ রে” এর গঠনকৌশল আলোক রশ্মিকে ঘিরে।
এই অস্ত্রে আশেপাশের বিভিন্ন রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করার ব্যবস্থা আছে।খুবই সঙ্গবেদনশীল হওয়ায় খুব দুর্বল তরঙ্গও শনাক্ত করতে পারবে এটি। যদি আকাশে কোন ড্রোন বা এই জাতীয় কিছু পাওয়া যায় তখন “রিফ্লেক্টর এন্টেনা” এর সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুকে ফোকাস করা হয়। এরপর একটা ট্রান্সমিশন সিস্টেম লক্ষ্যবস্তুর দিকে রশ্মি নিক্ষেপ করে।এরপর আলোর গতিতে “ডেথ রে” লক্ষবস্তুতে আঘাত করে। এবং লক্ষবস্তুকে আক্ষরিকভাবেই পুড়িয়ে ভাজা ভাজা ফেলে।এটা ০.৬ মেইল দূর থেকেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। যদিও ০.৬ মাইল খুব বেশি দুরত্ব নয়। তবে গবেষকরা চেষ্টা করছেন এর সীমা বৃদ্ধি করতে।
ডেথ রে আসলে খুব কার্যকরী অস্ত্র হতে যাচ্ছে।“ ১৪ ই অক্টোবর প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে এরকমই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগেও এধরণের অস্ত্র তৈরীর চেষ্টা করা হয়েছে। আমেরিকা বেশ কয়েকবার এধরণের অস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে। এর কোনটাই ডেথ রে এর মতন কার্যকরী নয়। কারণ, ডেথ রে লক্ষ্য বস্তু চিহ্নিত করে নিখুতভাবে আঘাত করতে সক্ষম যা অন্যান্য অস্ত্র করতে পারত না। আমেরিকা অনেক যুদ্ধে এরকম অস্ত্র ব্যবহার করলেও সেগুলো আদতে কোন কাজেই
আসেনি। তবে রাশিয়ার দাবি, তাদের অস্ত্রআগে তৈরী অন্য যেকোন ডিইডাব্লিউ অস্ত্র থেকে কার্যকরী।
যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে “ডেথ রে” কতটা কার্যকর হবে তা এখনো বলার উপায় নেই। তবে নিঃসন্দেহে রাশিয়ার তৈরি ডেথ রে সম্পূর্ণ নতুন ধরণের এক অস্ত্র।