Site icon Trickbd.com

টরেন্ট কি ? এবং কি ভাবে টরেন্ট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেন ? বিস্তারিত এই পোস্টে (টরেন্টের ১৪গুস্টি সম্পরকে জানুন)

Unnamed

টরেন্ট কি ? এবং কি ভাবে টরেন্ট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেন ? বিস্তারিত এই পোস্টে।

ট্রিকবিডিতে অনেক টিউনার টরেন্ট সম্পর্কে জানে না। এইটা নিয়ে অনেকেই আমাকে রিকুয়েস্ট করেছিলো একটি পোস্ট করার জন্ন।
তবে এই নয় যে আমি সব জানি।
আমিও টরেন্ট সমর্পকে অনেক কিছুই জানিনা। তবে চিন্তা করবেন না। না বুঝলে [url=http://mobile.facebook.com/groups/1468158756808889]
আমাকে ফেসবুকে মেসেজ দিয়েন অথবা ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হন[/url]
তাহলে শুরু করি:

আমরা অনেকেই টরেন্ট ব্যবহার করি বা অনেকে বুঝি না বলে টরেন্টের ধারে কাছে যায় না। কিন্তু বুঝতে হবে টরেন্ট হলো আধুনিক প্রযুক্তির একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার। যেটা ফাইল শেয়ারিং সিস্টেমকে একদম চেঞ্জ করে দিছে। এতো দ্রুত এবং আধুনিক পদ্ধতিতে বড় বড় গিগাবাইটের ফাইল শেয়ার করার জন্য আসলেই টরেন্টকে সব প্রযুক্তির একটু উপরেই রাখতে হয়। আসুন তাহলে দেরি না করে গুটি গুটি পায়ে টরেন্ট প্রযুক্তির আদ্যোপান্ত জেনে আসি।
টরেন্ট কি?
বর্তমানে টরেন্ট খুব পরিচিত শব্দ বিশেষ করে যদি মুভি ডাউনলোডের চিন্তা মাথায় আসে। বড় সাইজের ফাইল, ভিডিও বা সফটওয়্যার ডাউনলোডের জন্য টরেন্ট খুব বেশি ব্যবহারিত হয়।
টরেন্ট ফাইল আসলে কিছুই না শুধু মাত্র একটি ওয়েব এড্রেস যেটা ফাইলের লোকেশনটি নির্দেশ করে।
২০০১ সালে টরেন্ট প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন ব্রাম চোহেন (Bram Cohen)।

২০১২ সালে আমেরিকার আরোপিত সোপা/পাইপা আইনের পর টরেন্ট ডাউনলোড জগতে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আমি সেগুলো খানিকটা আপডেট করে দিয়েছি।
টরেন্ট কি?
টরেন্ট হল একটি পিয়ার টু পিয়ার প্রযুক্তির ফাইল শেয়ারিং পদ্ধতি।
এর মাধ্যমে কোনো একটি ফাইল সারা পৃথিবীতে যত জন লোক ডাউনলোড করতে চায়, তারা একে অন্যের ইন্টারনেট কানেকশনের ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করে ডাউনলোড করতে পারে। সহজ করে বললে অনেকটা এভাবে বলা যায় যে, ধরি আমরা ৫ বন্ধু পৃথিবীর পাঁচ দেশে অবস্থান করছি। এখন আমাদের ৫০০ মেগাবাইটের একটি দরকারী ফাইল দরকার যা আছে আমার ইংল্যান্ডে অবস্থানকারী বন্ধুর কাছে। বাকি চার জন সেই ফাইলটা চাইছি।
এখন কিভাবে আমরা সেই ফাইলটি পেতে পারি?
প্রথম জন পারে সেটি এক এক করে আমাদের সবার কাছে ই-মেইলে এটাচ করে পাঠাতে। কিন্তু অধিকাংশ ই-মেইল প্রোভাইডার ১০ মেগাবাইটের উপরে এটাচ করতে দেয় না। ফলে এ পদ্ধতি এখানে খাটবে না।
প্রথম জন সেটিকে বিভিন্ন ফাইল হোস্টিং সাইটে আপলোড করে দিতে পারে। তার পরে আমরা ডাউনলোড করে নিতে পারি। কিন্তু এখানেও সমস্যা। কেননা অধিকাংশ ফাইল হোস্টিং সাইট ফ্রি ইউজারদের resume সাপোর্ট সহ ফাইল ডাউনলোড দিতে দেয় না। মিডিয়াফায়ার (www.mediafire.com) এরকম ফ্রি ইউজারদেরকেও রিজিউম সাপোর্ট সহ ডাউনলোড করতে দিলেও আপলোডের ক্ষেত্রে ফাইল প্রতি ২০০ মেগাবাইটের লিমিট করে রেখেছে। ফলে আমার ৫০০ মেগাবাইটের ফাইলের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিও খাটল না।
এই অবস্থায় একটা অত্যন্ত সুন্দর একটা ফাইল শেয়ারিং পদ্ধতি হতে পারে টরেন্ট । আমার ইংল্যান্ডে থাকা সেই বন্ধু তার ফাইলটিকে একটা টরেন্ট করে আমাদের দিয়ে দিল। আর আমরা একটি টরেন্ট ক্লায়েন্টের সাহায্যে সরাসরি তার কম্পিউটার থেকে ফাইলটি ডাউনলোড শুরু করে দিতে পারব। এমন কি একসাথে চার জনে ডাউনলোড করার কারনে স্পিড কমার কথা, বরং বেড়ে যাবে। অবিশ্বাস্য লাগছে? ভাবছেন কেন বাড়বে?
কারনটা একটু আগেই বলেছি। আমরা একে অন্যের ইন্টারনেটের ব্যান্ডুইডথ শেয়ার করছি। মনে করি আমার ইংল্যান্ডে থাকা বন্ধুটির কাছ থেকে আমার অন্য তিন বন্ধু যারা যথাক্রমে আমেরিকা, জার্মানী ও জাপানে থাকে তারা ওই ফাইলটির ১৭% , ২০ % ও ৬৬% ডাউনলোড করেছে। এখন আমি যখন ডাউনলোড শুরু করব, তখন আমি শুধু ইংল্যান্ডবাসী বন্ধুর পিসি থেকেই নয়, বাকি তিন বন্ধুর যার যতটুকু ডাউনলোড হয়েছে তাদের কাছ থেকেও ফাইলটির অংশ ডাউনলোড করতে পারব।
এর মানে বুঝতে পারছেন?
হ্যা। এর মানে হচ্ছে ওই ফাইলটির ডাউনলোডকারী যত বাড়বে তত বেশি স্পিডে এটি ডাউনলোড করা যাবে । দেখলেন তো বুঝিয়ে বলার পরে অবিশ্বাস্য ব্যাপারটা এখন কত সহজ মনে হচ্ছে? যারা উবুন্টু ডাউনলোড করেছেন তারা জানেন যে উবুন্টুর সার্ভারের উপর চাপ কমানোর জন্য এখন উবুন্টুও টরেন্টে নামানোর জন্য ক্যানোনিক্যাল আমাদের রিকমেন্ড করে। আর হলিঊডের ওয়ার্নার ব্রাদার্স তো বিট টরেন্টের সাথে চুক্তিই করে বসে আছে।
টরেন্ট ফাইল (filename.torrent) কি?
টরেন্ট ফাইল হল একটি মেটা ফাইল অর্থাৎ প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধ ফাইল।
এটার অনেকটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার মেনুর মত। আপনি রেস্টুরেন্টে গেলে আপনাকে একটা মেনু বই ধরিয়ে দেবে আপনি মেনু দেখে অর্ডার দেবেন আর খাবার এসে হাজির হয়ে যাবে। লক্ষ্য করুন মেনুটি কিন্তু খাবার নয়। বরং এটি আপনাকে খাবারের নাম, দাম ইত্যাদি তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে। টরেন্ট ও তেমনি একটি মেনুর মত ফাইল। যাতে আপনার দরকারি ফাইলগুলো কোথা থেকে ডাউনলোড করতে হবে বা কত সাইজ এসব জানাবে। মনে করেন আপনি নরমাল যেকোনো সার্ভার(যেকোনো সাইট ধরা যাক) থেকে একটা zip/rar ফাইল নামালেন। ডাউনলোডের পরে দেখতে পেলেন যে দরকারি ফাইল বাদেও যে ফাইলটি আপলোড করেছে সে তার পছন্দের একটা গান/ বা তার নিজের ছবি ফাইলের সাথে দিয়ে দিয়েছে। আর আপনাকে তা ডাউনলোড করতে গিয়ে আরো বেশিকিছুক্ষন বসে থাকতে হয়েছে। ডাউনলোড শেষে যখন দেখবেন আপনার দরকার নেই এমন ফাইলও আপনাকে ডাউনলোড করতে বাধ্য করা হয়েছে, কেমন লাগবে? টরেন্টে এই অসুবিধা নেই। টরেন্ট ফাইলটি নামানোর পরে আপনি যখন টরেন্ট ক্লায়েন্ট দিয়ে তা ওপেন করবেন(ডাবল ক্লিক) তখন সেই টরেন্ট ফাইলটি কি কি ফাইল ডাউনলোড করতে যাচ্ছে তার একটা লিস্ট আপনাকে দেখাবে। সেখান থেকে আপনি অদরকারী ফাইলগুলো আনচেক করে বাদ দিতে পারবেন। ফলে বিশেষ করে যারা লিমিটেড ব্যান্ডুইডথ এর নেট ব্যবহার করে তাদের উপকার হবে।
আপনি যখন টরেন্ট ডাউনলোডিং সাইট(প্রকৃতপক্ষে ট্র্যাকার সাইট) থেকে কোনো একটি মুভির নামে সার্চ দিয়ে টরেন্ট ফাইলটি ডাউনলোড করলেন, আপনি অবাক হয়ে ভাবতে পারেন এ কি! একটা মুভি এত তাড়াতাড়ি কি ভাবে ডাউনলোড হয়ে গেল? তার পরে খুশি মনে যখন সেটি দেখতে যাবেন অবাক হয়ে দেখবেন যে এটি আসলে মুভি না। বরং এটি হল মাত্র কয়েকশ কিলোবাইটের একটা ফাইল। তাও ওপেন হচ্ছে না কোনো এপ্লিকেশন দিয়েই (কেননা তখনো আপনার পিসিতে কোনো টরেন্ট ক্লায়েন্ট নেই)। মুভি না দিয়ে এই কিলোবাইটের ফাইল দেখে আপনি এহেন প্রতারনা(!) দেখে রেগে মেগে ভাবলেন আর কোনোদিন টরেন্টের ধারেকাছেও যাবেন না, হুম।
হা হা! আপনার এই মনোভাব দূর করার জন্যেই এই পোস্ট।
টরেন্ট দিয়ে কি করে সহজে ডাউনলোড করা যায় তার নাড়ি নক্ষত্র জানিয়ে আজ যাব। তবে প্রথমে আপনাকে প্রথমে আপনার প্রয়োজনেই কিছু জিনিস জানতে হবে যে? এগুলো না জানলেও অত ক্ষতি নেই, তবে জানলে বুঝতে পারবেন কি করে টরেন্ট কাজ করে, কি করে টরেন্টের শুরু কিংবা জানতে পারবেন কিছু টরেন্ট টার্ম (torrent term)। এসব টার্মের মধ্যে আছে সিডার, সিড, পিয়ার, লিচার, ট্র্যাকার, সোয়ার্ম ইত্যাদি।

P2P কি : Peer 2 Peer .
Peer কি : যে একি সময়ে ডাওনলোড ও আপলোড করে।
Seeds কি: যে আপলোড করে।
Client কি : যে সফটওয়ারের মাধ্যমে টরেন্ট ডাওনলোড করা হয়।
Tracker কি : যে সার্ভারে টরেন্ট ফাইলটা রাখা হয় অর্থাৎ ট্র্যাকার হলো মাধ্যম।
বুঝতেই পারছেন সবাই টরেন্ট দিয়ে যে ফাইলটা download করবেন সেটা নিজস্ব কোন সার্ভার নেই।
সে ফাইলটা আসছে অন্য কারোর পিসি থেকে !!!! টরেন্ট এর ফাইল অন্য কোন আপলোড সাইটে থাকে না

এবার তো আমি কিছু টেকনিকাল টার্ম ব্যবহার করলেও বুঝতে অসুবিধা হবে না, তাই না? তবে তার পরেও আমি একদম আমার ভাষার সব বলার চেষ্টা করছি। কোনো কিছু না ধরতে না পারলে বা আমার লেখায় ভুল পেলে কমেন্টে তা জানাবেন।

টরেন্টে পাওয়া যায় না এমন ফাইল বিরল। অনেকে আছেন নিজের পিসির ফাইল অন্য লক্ষকোটি মানুষের সাথে শেয়ার না করলে পেটের খাবার হজম করাতে পারেন না। আর এঁদের সংখ্যা বহির্বিশ্বেই বেশি কেননা তাদের ইন্টারনেটের স্পিড বেশি। তাই আন্তর্জাতিক কন্টেন্ট টরেন্টে বেশি পাওয়া যায়। এবং এর সংখ্যা যে কত তা আপনার কল্পনারও বাইরে।
কি পাওয়া যায় টরেন্টে?
বরং এই প্রশ্ন করা যাক, কি পাওয়া যায় না? হলিউডের দুদিন আগে রিলিজ হওয়া মুভি, গান, সফটোয়্যার, টিভি শো, ই বুক, গেমস সহ আরো অনেক কিছু। এমন কি মুভির ২১ গিগাবাইট সাইজের ব্লু -রে ভার্সনও পাবেন। সবগুলোই কিন্তু সেরা কোয়ালিটির। সেটা কেন? একটু চিন্তা করেন, আপনি একটা টরেন্ট অন্যদের সাথে শেয়ার করলেন। ধরা যাক সেটি একটি মুভি। এখন আপনার কাছে আছে এর দুটি প্রিন্ট, একটি হল ক্যাম প্রিন্ট, আরেকটি হল মাস্টার প্রিন্ট অর্থাৎ DVD rip। এখন আপনি কোনটা শেয়ার করবেন? অবশ্যই আপনি মাস্টার প্রিন্টটি শেয়ার করবেন, কেননা আপনি চাইবেন আপনার প্রিন্টটি দেখে অন্যদের ভাল লাগুক। তাছাড়া যারা নিয়মিত টরেন্ট শেয়ার করেন তারা তাদের রেপুটেশন কখনো কমাতে চান না। আর আপনি নেজেই ভেবে দেখেন আপনার টরেন্ট ডাউনলোড করে যদি এর ফালতু কোয়ালিটি দেখে আপনাকে কতগুলো বকাঝকার কমেন্ট করে, আপনার কি ভাল লাগার কথা? অনেক সময় বাজে কোয়ালিটিও থাকে, সেগুলো একটু বুদ্ধি খাটালেই বোঝা যায়। যেমন আপনি চাচ্ছেন মাস্টারপ্রিন্ট ছবি, পেয়েও গেলেন। মাত্র ২০০ মেগাবাইট। এবার আপনি বলুন, ২০০ মেগাবাইটে কি মাস্টারপ্রিন্ট মুভি আশা করা যায়? আমার খুব ফেভারিট একজন টরেন্ট শেয়ারকারী হলেন PriSm,lol,killers, তাদের শেয়ার করা টরেন্ট আমি চোখ বন্ধ করে ডাউনলোড করি।
এবার আসুন টরেন্ট দিয়ে ডাউনলোডের পদ্ধতি শিখি:
প্রথমেই আপনার লাগবে একটি টরেন্ট ক্লায়েন্ট, এটা হল সেই সফটয়্যার যা দিয়ে আপনি টরেন্ট ফাইলটির(মেনু) মাধ্যমে যে যে ফাইল আপনার ডাউনলোড করা লাগবে(খাবার) সেই ফাইলগুলোর ডাউনলোডার(ওয়েটার)।অনেকরকম টরেন্ট ডাউনলোডার আছে, যেমন ইউটরেন্ট(µTorrent), বিট টরেন্ট, ভিউজ, বিট লর্ড, বিট কমেট ইত্যাদি।আপনি যদি চান একদম হাল্কা কিন্তু অসম্ভব শক্তিশালী টরেন্ট ক্লায়েন্ট, আপনার জন্য মিউটরেন্ট ই হল প্রথম পছন্দের। তবে যদি সৌন্দর্য চান অর্থাৎ কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট সম্বলিত সফট চান তাহলে আছে ভিউজ । তবে অসুবিধা হল ভিউজের ফ্রি ভার্সনে ওরা অনেক এডভারটাইজমেন্ট দেয়(অনেকটা ইয়াহু মেসেঞ্জারের মত), যা বিরক্তির সৃষ্টি করে। তবে ভিউজের সুবিধা হল এটি ব্যবহার করলে আপনার ব্রাউজার দরকার হবে না, সফটটি থেকেই আপনি টরেন্ট সার্চ ও কোনো অতিরিক্ত পেইজ ব্রাইজের ঝামেলা ছাড়াই টরেন্ট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে আমার পরামর্শ থাকল ইউটরেন্ট ব্যবহার করা। আসলে ইউটরেন্টের আসল নাম মিউটরেন্ট(µTorrent)। কিন্তু µ লেখা ঝামেলা বলে এটিকে utorrent লেখা হয়।
উপরের µ চিহ্নিত সবুজ ছবিতে ক্লিক করে µTorrent ডাউনলোড করে নিন(ভয় পাবেন না, এটির সাইজ মেগাবাইটে যায় নি, মাত্র ৪০০কেবি) যদি আপনি কম্পিউটার বেবহার হন।
দেখুন Android ফুনে download করবেন কিভাবে
এখন আপনার দরকার হল একটি সাইট যেখানে সার্চ দিয়ে আপনি টরেন্ট ফাইল নামাবেন।

সেজন্য অনেক সাইট আছে যেমন: লিংক গুলি আমার সাইটে দিলাম কারন বেশি লিংক সেয়ার করলে পোস্ট পেন্ডিং থাকে।

আসুন সামনে আগাই, http://www.thepiratebay.org/ তে প্রবেশ করুন।

এখানে লিখে সার্চ করতে হবে। ধরি আমরা Sex in the city মুভি ডাউনলোড করব। সেখানে লিখি Sex in the city । এবার নিচের পেইজটি আসবে।
এখানে বিভিন্ন জনের শেয়ার করা টরেন্ট-এর তালিকা দেখাচ্ছে। লক্ষ্য করুন এখানে সার্চ রেজাল্টের উপরে ডান কোনায় quality লেখা এবং এর পাশে any/good/verified লেখা। এখানে সাধারনত good
সিলেক্ট করা থাকে। মানে হল শুধু good quality-র টরেন্টগুলোই প্রদর্শিত হচ্ছে। আর verified মানে হল এগুলোর কোয়ালিটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সার্চ রেজাল্টে যেগুলোর পাশে সবুজ টিক চিহ্ন আছে, সেগুলোই ভেরিফাইড। এর পরে দেখুন সময় দেখাচ্ছে, এর মানে কতদিন হয়েছে টরেন্টটি শেয়ার করা হয়েছে। এর পরে যে সবুজ রং এর কিছু সংখ্যা লেখা তা হল সিড এর সংখ্যা। অর্থাৎ এই সংখ্যক লোকের কাছে sex in the city এর পুরো ফাইলটি আছে ও তারা সিড করছে। এর পরে নীল
অক্ষরে লেখা সংখ্যাগুলো হল
পিয়ার এর সংখ্যা। অর্থাৎ এরা বর্তমানে ফাইলটি ডাউনলোড করছে। সিড ও পিয়ারের সংখ্যা যত বেশি স্পিড ও তত বেশি পাবেন। যেগুলোতে সিড কম, সেগুলো ডাউনলোড না করাই ভাল।
এবার রেজাল্ট থেকে যেকোনো একটিতে ক্লিক করি। এই পেইজটি আসবে:
এখানে প্রথম দুটি Direct download ও usenet download হল স্পন্সর্ড অর্থাৎ বিজ্ঞাপন। এগুলোতে ক্লিক করার দরকার নেই।
পরে যেগুলো আছে তাতে ক্লিক করুন। যেমন : thepiratebay. com এ।
একটি পেইজ আসবে যাতে একটি লিঙ্কে লেখা থাকবে download torrent। এখানে ক্লিক করে টরেন্ট ফাইলটি(মেনু) ডাউনলোড করে নিন। এর পরে আপনার টরেন্ট ক্লায়েন্ট দিয়ে এটি ওপেন করুন। একটি লিস্ট আসবে যে এই টরেন্টটি কি কি ফাইল ডাউনলোড করতে যাচ্ছে। এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় কিছু বাদ দিতে চাইলে বাদ দিন। এবার ok চাপুন আর দেখুন কিছুক্ষনের মধ্যেই ডাউনলোড শুরু হয়ে গেছে। টরেন্টে ডাউনলোড শুরু হতে একটু সময় লাগে কেননা এটি সিডার বা পিয়ার খুজতে একটু সময় নেয়। কোয়ালিটি ভালো হলে বলতে গেলে সময় লাগেই না।
এটা হল পাইরেট বে তে প্রবেশ করার পরের পেজ
ডাউনলোডের আগে অন্যদের কমেন্ট পড়ে নিতে পারেন। এতে ফাইলটি ভাল না খারাপ ধারনা হবে। ভাইরাসযুক্ত টরেন্ট প্রকৃতপক্ষে খুব কম।
কি মনে হচ্ছে? ডাউনলোড করা কোনো ব্যাপার? এখন যদি আপনার আরো তাড়াতাড়ি করার ইচ্ছা হয় তখন? হ্যা, তাও সম্ভব। thepiratebay. org কিংবা এধরনের সাইটে প্রবেশ করা ছাড়াও আপনি সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারেন ম্যাগনেট লিঙ্ক দিয়ে। ম্যাগনেট লিঙ্ক সম্পর্কে জানতে এইখানে ক্লিক করুন।
ম্যাগনেট লিঙ্ক দিয়ে ডাউনলোড:
যে পেইজ থেকে আপনি টরেন্ট ফাইলটি ডাউনলোড করার জন্য পাইরেট বে-তে ঢুকেছিলেন, সেই পেইজে যান। সবগুলো টরেন্ট প্রোভাইডার সাইটের লিস্ট দেখাবে। লিস্টে সবার নিচে দেখুন লেখা আছে ম্যাগনেট লিঙ্ক(magnet link)। এখানে ক্লিক করুন। আপনার টরেন্ট ক্লায়েন্ট সফটোয়্যার ইন্সটল করা থাকলে তখনি ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে!

ভিউজ নামক ক্লায়েন্টে আপনাদের বলেছিলাম না সরাসরি ডাউনলোড বাটন দেয়াই থাকে? আসলে সেটা একটা ম্যাগনেট লিঙ্ক।
বর্তমানে আমেরিকার নানান এন্টি পাইরেসি আইনের কারনে অনেক সাইটে download torrent অপশনটি আর খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন আপনি download magnet link লেখা/চিহ্ন পাবেন। সেটি দিয়ে কাজ সারতে হবে
এখন কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনার টরেন্টটি ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
কোন টরেন্টের সিড বেশী না পেলে হ্যাশ কপি করে গুগলে সার্চ দিলে অন্যান্য সাইটে যদি এই টরেন্টটি থাকে তাহলে তা পাওয়া যাবে,তখন টরেন্টটি ডাউনলোড করলে তা ডাউনলোড না হয়ে পূর্বের টরেন্টটির ট্র্যাকার লিস্ট আপডেট হয়ে যাবে। ফলে সিডের সংখ্যা বাড়বে (ওই সাইটে যত সিডার ছিলো তারা )।
টরেন্ট দিয়ে ডাউনলোড কেন করবেন?
আনলিমিটেড রিজিউম সাপোর্ট, অর্থাৎ আপনার অসমাপ্ত ডাউনলোড হারিয়ে যাবার ভয় নেই। একটা ফাইল আপনি ইচ্ছা করলে এক মাস বা যতখুশি সময় নিয়ে নামাতে পারবেন। এমন কি ডাউনলোড চলাকালীন কম্পিউটার ধুম করে বন্ধ হয়ে গেলেও আপনার ডাউনলোড করা অংশটুকু থাকবে নিরাপদ।
সিডারের সংখ্যার উপর নির্ভর করে অনেক ভাল স্পিড পাওয়া যায়
নিজেকে একটা কমুনিটির সদস্য হিসাবে ভাবতে পারবেন যারা সবাই একটি ফাইল ডাউনলোড করছেন। সতর্ক করে দিচ্ছেন একে অপরকে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল
টরেন্টে পাওয়া যায় না এমন কিছু বিরল।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
উবুন্টুতে/ লিনাক্স মিন্টে টরেন্ট ক্লায়েন্ট আলাদা ইন্সটল করা লাগে না। Transmission bit-toreent client দেয়াই থাকে। তবে ভিউজ আলাদা ইন্সটল করা লাগে।
উইন্ডজের ব্যবহারকারি হলে ডাউনলোডের পরে ভাইরাস স্ক্যান করাবেন।
ডাউনলোডের পরে আপনিও সিড করুন, কেননা অন্য কেউ সিড করেছে বলেই আপনি ফাইলটি ডাউনলোড করতে পেরেছেন। দরকার হলে আপলোড লিমিট করে দিয়ে সিড করতে পারেন, যেমন: 1kbps
যাদের লিমিটেড ব্যান্ডুইডথ তারা সিড না করাই নিজের জন্য ভাল।

কিছু হাই- কোয়ালিটি মুভি টরেন্ট দেখুন।
এবার সব জানলেন। টরেন্টের আনন্দময় জগতে বিচরণ করুন।

২য় পারটে: কিভাবে টরেন্টের স্পিড বারাবেন।

৩য় পারটে: কিভাবে আপনি নিজেই টরেন্ট ফাইল বানাবেন।

টরেন্ট নিয়ে আরো কিছু পোস্ট পরুন এই পেজে

সব পোস্ট সুত্র: টেকটিউন্স