গত সোমবার বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রত্রিকা ইয়াহুর নাম পরিবর্তন হয়ে আলতাবা হচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু খবরটি সঠিক ছিল না বলে দাবি করেছে ইয়াহু ও ভেরাইজন।
সোমবার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করে , শুধুমাত্র ইয়াহুর যে অংশটি ভেরাইজনের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে না সেটির নাম আলতাবা হতে পারে।
এছাড়াও সেখানে বলা হয়েছে, ইয়াহুর বোর্ড থেকে মারিশা মেয়ার সরে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে নয়।
কিন্তু ইয়াহু আলতাবা হচ্ছে না। ইয়াহু তার কিছু অংশ নিয়ে আগের মতোই থাকছে। আর মেয়ারও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকছন।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে ভেরাইনজন ইয়াহুর সার্চ ইঞ্জিন এবং ওয়েব পোর্টাল ৪৮৩ কোটি মার্কিন ডলারে কিনে নিতে সম্মত হয়। তবে ইয়াহুর শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানিতে লাভজনক বিনিয়োগ রয়েছে। যেখানে প্রতিষ্ঠানের পেটেন্ট পোর্টফোলিওতে ইয়াহু জাপানের ৩৬ শতাংশ শেয়ার এবং চীনের আলিবাবার ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তবে ভেরাইজনের কেনা অংশটির মধ্যে ইয়াহুর কোনো পণ্য ও কর্মী নেই।
সোমবার রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছিল, ম্যারিশা মেয়ার বোর্ড থেকে সর দাঁড়ালে এবং পরে চুক্তির কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে আরও পাঁচ পরিচালক বোর্ড থেকে সরে দাঁড়াবে। তবে যেসব পরিচালক থেকে যাচ্ছেন তারা মূলত আলতাবা কোম্পানির হোল্ডিং প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু নতুন খবরে বলা হচ্ছে, ইয়াহু-ব্র্যান্ডেড ওয়েব পোর্টাল, সার্চ ইঞ্জিন, ই-মেইল সেবা এবং সংবাদ সেবা আগের মতোই থাকবে। কিন্তু ভেরাইজন মালিকানাধীন এওএল সঙ্গে একত্রিত হয়ে যাচ্ছে।
তবে জুলাইতে ভেরাইজনের এওএল সার্ভিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিল, অন্য অংশ একত্রিত হলেও ইয়াহুর আর্থিক সেবা, তাদের স্পোর্টস সেবা সেগুলোর সঙ্গে যাচ্ছে না।
২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে চুক্তির কার্যক্রম শেষ হলে ইয়াহু তাদের দীর্ঘ ২১ বছরের স্বতন্ত্র্য পথ চলার সেবার সমাপণ ঘটবে। তবে এর মধ্যে রেগুলেটরদের অনুমোদনসহ নানা ধরনের কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
তবে এরই মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ইয়াহুর এক বিলিয়ন অ্যাকাউন্টধারীর তথ্য প্রকাশ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
এর আগে গত দুবছরে ইয়াহু বড় দুটি হ্যাকের শিকার হয়েছে। যেখানে একসময় পাঁচ কোটি গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেয়। পরে গত বছরের শেষের দিকে প্রায় এক বিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। তারপর অবশ্য ইয়াহুর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এর আগে ২০১৩ সালে গুগল থেকে এসে ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ম্যারিশা মেয়ার। তিনি তখন থেকেই চেষ্টা করতে থাকেন ইয়াহুকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সেটা তিনি পারেননি। উপরন্তু ২০১৬ সালে এসে ইয়াহু ৪৪০ কোটি ডলারের লোকসান গুণে। যেখানে অতিরিক্ত লাভর আশায় ২০১৩ সালে থাম্বলার কিনে নেওয়ার ঘটনায় ১১০ কোটি ডলার লোকসান গুণতে হয় ইয়াহুকে।
তবে ভেরাইজনে যুক্ত হয়ে গেলে ম্যারিশা মেয়ারের ভূমিকা কী হবে সেটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, যুক্ত হলেও তিনি নতুন একত্রিত হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানেই থেকে যাবেন। এর আগে এমনই একটি পোস্টে থাম্বলারে জানিয়েছিলেন মেয়ার। যেখানে বলা হয়েছিল, আমি এখানে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি…। ইয়াহুর ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে এটা দেখা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরো সুন্দর সুন্দর টিউন পেতে ভিসিট করুন→BDMoU.xyZ আমার সাইট