Site icon Trickbd.com

ডটবাংলার নিবন্ধন হাজার ছাড়িয়েছে

Unnamed

বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইট খুলতে ডোমেইন নেয়ার প্রথম পর্যায়ে ডটবাংলার নিবন্ধন এক হাজার অতিক্রম করেছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে নিবন্ধনের দ্বিতীয় পর্যায়। আসছে একুশে বই মেলায় ডটবাংলার প্রচারণা ও নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ডট বাংলা পরিচালনায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, ১ জানুয়ারি থেকে দেশের সাংবিধানিক, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, ব্র্যান্ডনেম প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে নিবন্ধন উন্মুক্ত করা হয়।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধনের যে দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে তাতে দেশের সর্বসাধারণের জন্য এ ডোমেইন উন্মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ডটবাংলা (.বাংলা) ডোমেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় প্রথম পর্যায়ের নিবন্ধন।
ডটবাংলার অপারেশনের দায়িত্বে থাকা বিটিসিএলের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল ইসলাম জানান, প্রথম পর্যায়ে নিবন্ধনে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন হাজার অতিক্রম করেছে। এর কারিগরি দিক সম্পর্কে তিনি বলেন, নিবন্ধনের জন্য ডাটা মাইগ্রেশন হয়ে গেছে। এখন জোন ফাইল থেকে সিঙ্ক করার কাজ বাকি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে ম্যানুয়ালভাবেই ডটবাংলার নিবন্ধন করা হচ্ছে। সিঙ্ক করা হয়ে গেলে অনলাইন সিস্টেমে দ্রুত নিবন্ধন করা যাবে। গ্রাহকরা যেন খুব সহজে ডট বাংলা ব্যবহার করতে পারেন, সহজে নোটিফিকেশন আসে- এই প্রক্রিয়া শেষ হতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বিটিসিএলের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানা যায়, ডটবাংলা ও ডটবিডির প্রচারণার জন্য একুশে বই মেলায় একটি স্টল খোলা হবে। বই মেলায় এই দুই ডোমেইনের জন্য ৬০-৭০ হাজার নিবন্ধন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ডটবাংলা ডোমেইন নেয়ার জন্য বিটিসিএলের ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এজন্য নির্দিষ্ট ফি’র সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট ও অনলাইনে যে মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা হবে তার খরচও দিতে হবে।
বাংলাদেশের জন্য ইন্টারনেট কর্পোরেশন অব অ্যাসাইন্ড নেমস অ্যান্ড নম্বর (আইসিএএনএন) বোর্ডের স্বীকৃত দুটি ডোমেইনের একটি হলো ডটবিডি (.নফ), অন্যটি ডটবাংলা (.বাংলা)। বিটিসিএলের হিসাবে বর্তমানে ডটবিডির সক্রিয় নিবন্ধন সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
ডটবাংলা হলো ইউনিকোড দিয়ে স্বীকৃত বাংলা ভাষার বাংলাদেশি ডোমেইন। ডটবাংলা ডোমেইন চালুর মাধ্যমে ইন্টারনেট দুনিয়ায় শুরু হয় বাংলার ভাষার পথ চলা। ইন্টারনেটে রাষ্ট্রীয় ভাষার এই ব্যবহার এখন বিশ্বজুড়ে জাতীয় পরিচয়ের স্বীকৃতি। গত বছরের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশের জন্য ডটবাংলা ডোমেইনের বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং সিয়েরা লিওন একই ডোমেনের আবেদন করেছিল।
ডট বাংলা ডোমেইন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এর আগে মানবকণ্ঠকে জানিয়েছিলেন, এর আনুষ্ঠানিক শুরু হয় ২০১০ সালে। ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডটবাংলার জন্য আইক্যানে অনলাইনে আবেদন করেন। বাংলাদেশের আবেদনের পর সংস্থাটি বাংলা ভাষাকে মূল্যায়ন করে। ২০১১ সালে ইন্টারন্যাশনালাইজড ডোমেইন নেইমে (আইডিএন) লেখার ভাষা হিসেবে বাংলার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায় বাংলাদেশ। এরপর ইন্টারনেট অ্যাসাইনড নাম্বারস অথরিটির (আইএএনএ) অনুমোদনও মেলে। প্রধানমন্ত্রীর সেই উদ্যোগের ফসল এখন আমরা নিজেদের ঘরে তুলতে পেরেছি।
এই ডোমেইন নিতে কেমন খরচ পড়বে এ প্রশ্নের জবাবে বিটিসিএলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডটবাংলায় ডোমেইন পাওয়া যাবে এক হাজার টাকায়। এই টাকা বছর প্রতি ৫০০ টাকা সাবস্ক্রিপশন ফি হিসেবে এককালীন পরিশোধ ধরা হবে। এর অর্থ হচ্ছে, ডোমেইন নিতে হলে প্রথমেই দুই বছরের ফি দিতে হবে। এতে বিশেষ শব্দের ডোমেইনের ক্ষেত্রে ফি ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এই ডোমেইনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে সরকারের বিভিন্ন দফতর, কোম্পানি ও সংস্থাকে।
মেয়াদ শেষে ডোমেইনের নবায়ন ফি দিতে হবে বছর প্রতি ৫০০ টাকা। মেয়াদ শেষে নবায়নের ক্ষেত্রে এক মাস ও তিন মাস সময়ের বিলম্বে ৫০০ ও এক হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। আর ৩ মাসের মধ্যে নবায়ন না করলে ডোমেইন হারাতে হবে।
কেউ ডোমেইন বিক্রি করলে তাতে মালিকানা পরিবর্তনের ফি রাখা হয়েছে ১৫০০ টাকা। ডোমেইন কেনার সময় যদি কেউ একসঙ্গে ৫ বছর ও ১০ বছরের ফি পরিশোধ করেন সে ক্ষেত্রে যথাক্রমে ২০ ও ৩০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
ডটবাংলা পেতে গ্রাহককে যেতে হবে বিটিসিএলের ওয়েবসাইটে ( www.btcl.com.bd) বা এর কার্যালয়ে। ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করে ডটবাংলা পাওয়া যাবে। এতে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম ও শর্ত দেয়া রয়েছে। বিটিসিএলের কার্যালয়ে সরাসরি গিয়েও এই সেবা