রাজধানীতে ল্যাম্পপোস্টে মোবাইল ফোনের টাওয়ার স্থাপন করবে ইডটকো।
দেশের একমাত্র টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো কোম্পানিটি ইতিমধ্যে রাজধানীর গুলশান এক নম্বরের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে থেকে গুলশান দুই নম্বরে পাকিস্তান দূতাবাস পর্যন্ত ১৬টি টাওয়ার স্থাপন করতে চায়।
সড়কের পাশে ল্যাম্পপোস্ট আকারের এসব টাওয়ার স্থাপনে কোম্পানিটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাছে আবেদন করেছে।
edotco-techshohor
টাওয়ারগুলো দেখতে একেবারে আশপাশের ইলেক্ট্রিকপোলের মতো হবে। এর উচ্চতাও কম হবে। এগুলো ওই এলাকায় মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ইডটকোর অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম।
ওই কর্মকর্তা জানান, তারা ডিজাইনের কাজ শেষ করেছেন। এখন করপোরেশনের অনুমোদন পেলে অল্প দিনেই কাজ শুরু করে দেবেন।
ইতিমধ্যে রাজধানীতে কার্বন ফাইবার ও পাইন গাছের আদলে কেমোফ্লেজ টাওয়ার তৈরি করে ইডটকো মোবাইল অপারেটরসহ অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তা ছাড়া চট্টগ্রামে পানির ট্যাংকের আদলের কেমোফ্লেজ টাওয়ার ও উইন্ডমিল টাওয়ার তৈরি করে টাওয়ার স্থাপনে বৈচিত্র ও ভিন্নতা এনেছে কোম্পানিটি।
একই সঙ্গে বর্তমানে তারা রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বাঁশ দিয়ে মোবাইল টাওয়ার তৈরির পরিকল্পনা করছে বলেও জানান মঞ্জুরুল।
ইডটকো বলছে, এ সব টাওয়ার দৃষ্টিনন্দন। প্রযুক্তিবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ।
তাছাড়া এ ধরনের টাওয়ার তৈরি করতে স্থানীয় উপকরণ বেশি ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হয় বলে জানান, মঞ্জুরুল।
২০১৩ সালে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা করে ইডটকো। তবে ২০১৫ সালের জুন থেকে এখানে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে তারা।
বর্তমানে কোম্পানির ২০ শতাংশ শেয়ারের সরাসরি মালিক রবি। বাকি বিনিয়োগ রবির মূল কোম্পানি আজিয়াটার।
ইডটকোর বর্তমান টাওয়ার সংখ্যা নয় হাজার দুইশ। এর মধ্যে সবগুলো টাওয়ার রবি ব্যবহার করছে। আর আড়াই হাজার টাওয়ার অন্যান্য অপারেটর রবির সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করছে।