সাবমেরিন কেবলের বিকল্প দুটি আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবলের মেরামত শেষ না হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে ধীর গতির সমস্যায় ভুগতে হতে পারে পুরো জানুয়ারি মাসজুড়ে।
জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে এর আগে আশা করা হলেও টাটা ইনডিকম ও ভারতী এয়ারটেলের আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) এখনও মেরামত হয়নি বলে ইন্টারনেট গেইটওয়ে কোম্পানি ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির জানিয়েছেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘ভারতী এয়ারটেলের কেবল মেরামত কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হতে পারে। আর এ মাসের শেষ নাগাদ টাটা ইনডিকমের কেবল ঠিক হতে পারে।’ বাংলাদেশের দৈনিক ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এই ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে আসে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইথ, যা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। বাংলাদেশের ছয়টি আইটিসি অপারেটর প্রায় চার বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে এই ব্যান্ডউইথ কিনে দেশে সরবরাহ করছে। এর বড় একটি অংশ টাটা ইনডিকম ও ভারতী এয়ারটেল দিচ্ছে বলে সুমন আহমেদ সাবির জানান। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিমও গ্রাহকদের সমস্যা নিয়ে একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ধীরগতি সমস্যা এ মাস পর্যন্ত চলবে।’ আইএসপিএবি এর আগে বলেছিল, কেবল কাটা পড়ায় বাংলাদেশের গ্রাহকদের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভুগতে হতে পরে।
২০১২ সালের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগের জন্য একটি মাত্র সাবমেরিন কেবলের ওপর নির্ভর করত। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে আইটিসি অপারেটরগুলো কাজ শুরু করে। এসব অপারেটর টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। কোনো কারণে সাবমেরিন কেবল তিগ্রস্ত হলেও এই বিকল্প ব্যবস্থায় তারা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে যুক্ত রাখতে পারে। চলতি বছরই একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ নামের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সেেেত্র বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ পাবে বলে সরকার আশা করছে।
সল্প মূল্যে যেকোন ধারনের WeB site যোগাযোগ করুন +8801729644424
আমার ফেসবুক আইডি – Dean Rakib