Site icon Trickbd.com

ফেসবুক, লিংকডিন, টুইটার, পিন্টারেস্ট মার্কেটিং শিখুন

Unnamed


অনেকেই আমাকে আস্ক করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে
চাচ্ছে কিন্তু কনফিউজড এই স্কিলটাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়
আরেকটু সোজা বাংলায় যদি বলি কীভাবে এটা শিখে আর্ন করা যায় তা
জানে না। আজকের লিখাটা তাদের জন্য। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং বা এসএমএম টা আসলে কি এটা ক্লিয়ার করি।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেট মার্কেটিং এর অন্যতম বড়
এবং গুরুত্বপূর্ন শাখা যেখানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া
চ্যানেলগুলোকে যেমন ফেসবুক, লিংকডিন, টুইটার, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি
ব্যবহার করে সহজেই টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে রিচ করা হয় নিম্মোক্ত
উদ্দেশ্যে –
১। বিজনেস প্রমোশনের জন্য
২। বিজনেস ব্র্যান্ডিং এর জন্য
৩। সেলস গ্রোথ বাড়ানোর জন্য

৪। ওয়েবসাইট বা ব্লগে টার্গেটেড ট্রাফিক ড্রাইভ করানোর জন্য
এবার আসি কোন কোন ফিল্ডে এই স্কিলটা কাজে লাগাতে পারবেন
১। যদি আপনি কোন বিজনেস স্টার্ট করে থাকেন যার টার্গেটেড কাস্টমারেরা কোন নির্দিষ্ট সোশ্যাল
মিডিয়াতে খুব বেশি অ্যাক্টিভ। তাহলে আপনার বিজনেসের জন্য অন্যান্য মার্কেটিং টেকনিকের
পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংটা খুব গুরুত্বপুর্ন।
২। কোন নির্দিষ্ট টপিকের উপর ভিত্তি করে আপনার বা আপনার ক্লাইন্টের ব্লগ বা সাইট আছে এবং
টার্গেটেড ভিজিটররা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অনেক বেশি একটিভ। সুতরাং এ ক্ষেত্রেও ব্লগ বা
সাইটে প্রচুর পরিমানে টার্গেটেড ট্রাফিক ড্রাইভ করানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
টেকনিকটা ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ভালভাবে জানা থাকলে সরাসরি অথবা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর
মাধ্যমে বাইরের বিভিন্ন কোম্পানিতে নিম্মোক্ত পজিশনে জব করার সুযোগ আছে
Community Manager – ফ্যানদের সাথে ইন্টারেক্ট করার জন্য।
Content Curator – ফ্যানদের ইন্টারেস্টের উপর বেইজ করে অন্যদের করা বেস্ট কন্টেন্টগুলো প্রভাইড করা।
Analyst – সোশ্যাল মিডিয়াতে কোম্পানির ব্র্যান্ড পারফরমেন্স অ্যানালাইসিস করা।
Strategist – যার কাজ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোম্পানির লং টার্ম স্ট্র্যাটাজি সেট করা।
Content Creator – স্ট্র্যাটাজির উপর বেইজ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবলিশের জন্য নতুন নতুন কন্টেন্ট ডেভলপ
করা।
তবে শুধুমাত্র বড় কোম্পানিগুলোতে এভাবে আলাদা আলাদা জব টিউন থাকে কিন্তু ছোট কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে
একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারই উপরের সবগুলো রোল প্লে করে থাকে।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে যেমন আপওয়ার্ক, ফাইভার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর
অনেক ছোট ছোট কাজ থাকে। যেমন – টুইটার, পিন্টারেস্ট, টাম্বলার অথবা ইন্সটাগ্রামের ফলোয়ার বাড়ানো, ফেসবুক
পেইজের লাইক বাড়ানো, অনেকগুলো সোশ্যাল প্রোফাইল তৈরি করা ইত্যাদি।
আশা করি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্যারিয়ারের ব্যাপারে আপনাদের কিছুটা হলেও ক্লিয়ার করতে
পেরেছি। কোন পয়েন্ট আমি মিস করে থাকলে টিউমেন্টে জানাবেন।