
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিকাশ যেন অনেকটা একপাশে পড়ে থাকা স্বপ্নের মতো ছিল। আমরা দেখেছি পাশের দেশ ভারতে গুগল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট কিংবা চীনের আলিবাবা কীভাবে নিজেদের উপস্থিতি দিয়ে একটা প্রযুক্তি বিপ্লব ঘটিয়েছে। অথচ বাংলাদেশে এমন নামকরা কোনো টেক জায়ান্টের সরাসরি আগমন ঘটেনি এখন পর্যন্ত। কিন্তু অবশেষে সেই ইতিহাস বদলাতে যাচ্ছে। কারণ, বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান চীনের (টেনসেন্ট) বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং সেটা এখন আর শুধু সম্ভাবনার কথা নয়, এটা এখন অফিশিয়াল আলোচনার পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করে বলেছেন, ( আমরা চায়নিজ জায়ান্ট টেনসেন্টের সঙ্গে অফিশিয়ালি বসেছি। তারাও বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের দ্রুততম সময়ে পলিসি সাপোর্টের আশ্বাস দিয়েছি। ) এই একটি ঘোষণাই যেন দেশের তরুণদের চোখে আলোর রেখা এনে দিয়েছে।

টেনসেন্ট কে?
যারা টেনসেন্টকে চেনেন না, তাদের জন্য একটু বিশদে বলা যাক। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানির সদর দপ্তর চীনের শেনজেনে অবস্থিত। এককথায় বলা যায়, এটি চীনের গুগল-ফেসবুক-অ্যামাজন সবকিছুর একসাথে মিলিত রূপ। এই প্রতিষ্ঠানটি গেমিং, ক্লাউড কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে শুরু করে ভিডিও স্ট্রিমিং এমনকি সংবাদ ও সাহিত্য সেবা পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লাভ করা ভিডিও গেম কোম্পানি হিসেবে টেনসেন্ট পরিচিত। যেমন ধরা যাক, (Honor of Kings) এটি চীনের সবচেয়ে বেশি খেলা মোবাইল গেম। আবার বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় গেম (PUBG Mobile) এর মোবাইল সংস্করণটিও তৈরি ও পরিচালনা করে এই টেনসেন্ট। শুধু তাই নয়, টেনসেন্ট হলো (League of Legends) এর নির্মাতা Riot Games এর মালিক, এবং Supercell (Clash of Clans) ও Epic Games (Fortnite) এর অংশীদার। এখন চিন্তা করুন, এই টেনসেন্ট যদি বাংলাদেশে সরাসরি কার্যক্রম চালু করে, তাহলে গেম ডেভেলপমেন্ট, টেস্টিং ও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে কত ধরণের চাকরি তৈরি হতে পারে!

কী ধরণের চাকরি হতে পারে?
টেনসেন্টের বৈশ্বিক অপারেশনের ধরন অনুযায়ী বলা যায়, তাদের বাংলাদেশে আসার মাধ্যমে একযোগে অন্তত ১০–১২টি ভিন্ন ভিন্ন খাতে চাকরি সৃষ্টি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:
- গেম ডেভেলপার ও ডিজাইনার!
- ক্লাউড সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার!
- সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট!
- ডিজিটাল মার্কেটার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর!
- ভিডিও এডিটর ও অ্যানিমেটর!
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রিসার্চার!
- ডেটা অ্যানালিস্ট!
- পেমেন্ট সিস্টেম ডেভেলপার!
- টেক সাপোর্ট এক্সপার্ট!
এগুলো শুধু সম্ভাবনার কিছু নমুনা। বাস্তবতা আরও বিস্তৃত হতে পারে, কারণ টেনসেন্ট তার অপারেশনগুলোকে বরাবরই নির্দিষ্ট অঞ্চলের স্থানীয় সক্ষমতা অনুযায়ী সাজিয়ে থাকে। বাংলাদেশে যে বিপুলসংখ্যক ফ্রিল্যান্সার এবং আইটি শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদের জন্য এটা হতে পারে এক সুবর্ণ সুযোগ।

কেন বাংলাদেশ?
এই প্রশ্নটি অনেকের মনে আসতেই পারে। কেন এত বড় একটি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইছে? এর পেছনে কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে:
১. জনসংখ্যাগত সুবিধা: বাংলাদেশে বর্তমানে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। IDC ও Google এর এক যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ডিজিটাল মার্কেট সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশে।
২. খরচ-সাশ্রয়ী দক্ষ শ্রমশক্তি: ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে দক্ষ আইটি কর্মীর খরচ এখনো তুলনামূলক কম। এটি টেনসেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
৩. নীতিগত অগ্রগতি: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে টেক জায়ান্টদের জন্য অফেন ফাস্ট, ফেইল ফাস্ট, গ্রো ফাস্ট টাইপ পলিসি ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশে চালু হচ্ছে বলে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উল্লেখ করেছেন।
৪. ইনফ্রাস্ট্রাকচার: গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে ইতিমধ্যেই হাইপার স্কেলার ডেটা সেন্টার এবং সিকিউরড ক্লাউড ইকোসিস্টেম তৈরি হচ্ছে। এখানেই টেনসেন্ট তাদের ক্লাউড সেবা বা স্টোরেজ ইনফ্রা বসাতে পারে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা কতটা বাস্তব?
এটি শুধু কোনো সুখবর নয়, এটি একটি স্ট্র্যাটেজিক শিফট। কারণ, একবার টেনসেন্ট বাংলাদেশে পা রাখলে, তার প্রভাব শুধু চাকরি বা ইনকামেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং এর ফলে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশকে তাদের পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে ভাববে।
একই পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন (অসাইরিস গ্রুপ) নামক আরও একটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি বাংলাদেশে আসছে। তিনি বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে বিশ্বমানের সিকিউরড ক্লাউড সেটআপ হচ্ছে, যেখানে আসতে পারে মেটা, গুগলের পেলোড। এর মানে, শুধু টেনসেন্ট নয়, এটি একটি নতুন যুগের সূচনা, যেখানে আন্তর্জাতিক টেক জায়ান্টদের চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে।

টেনসেন্টের আগমন মানেই চাকরির বৈপ্লবিক সম্ভাবনা?
টেনসেন্ট কেবল প্রযুক্তি পণ্য বিক্রি করেই লাভ করে না, তারা যেসব দেশে যায় সেখানকার তরুণদের জন্য দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় তাদের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর স্থানীয় তরুণদের জন্য গেম ডেভেলপমেন্ট, ক্লাউড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট ও এআই প্রোগ্রামিং-এর ওপর নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেয়। এমনকি সেখানকার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে যৌথ গবেষণা ও স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করে।
বাংলাদেশেও যদি টেনসেন্ট একই ধাঁচে এগোয়, তাহলে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ পর্যন্ত সবাই নতুন চাকরির সম্ভাবনার মুখোমুখি হবেন। বিশেষ করে যারা গেম ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার, ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা অ্যানালিস্ট কিংবা এআই রিসার্চার তাদের জন্য এই আগমন যেন আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিতে পারে।

উইচ্যাট কি বাংলাদেশে নতুন বিপ্লব ঘটাবে?
উইচ্যাট শুধুমাত্র একটি চ্যাট অ্যাপ নয়, এটি একটি পুরো ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্ল্যাটফর্ম। চীনে উইচ্যাট ব্যবহার করে মানুষ রেস্তোরাঁয় অর্ডার দেয়, মেট্রোতে টিকিট কাটে, হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়, এমনকি ভোট দেয়ার ক্ষেত্রেও অ্যাপটি ব্যবহার হয়।
এই অ্যাপটি যদি বাংলাদেশের বাজারে আসে এবং সরকার নীতিগত সহায়তা দেয়, তাহলে এটি দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের গতি বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। অর্থ লেনদেন, পণ্য কেনাকাটা, অনলাইন ট্রান্সপোর্ট, খাদ্য ডেলিভারি সবকিছু এক অ্যাপেই মিলবে, যা মোবাইল ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইলকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যদি উইচ্যাট পে-এর মতো সার্ভিস চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পেমেন্ট গেটওয়ে অনুমোদন দেয়, তবে নগদ ও বিকাশের একচেটিয়া দাপটেও পরিবর্তন আসবে। ফলে প্রতিযোগিতায় বাড়বে উদ্ভাবনী চিন্তা ও ব্যবহারকারীর সুবিধা।

গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির বাজার প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এবং টেনসেন্ট তার বড় একটা অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে। এখন যদি টেনসেন্ট বাংলাদেশে স্টুডিও খোলে, গেমিং রিসার্চ সেন্টার গড়ে তোলে কিংবা লোকাল ট্যালেন্টদের নিয়ে মোবাইল গেম ডেভেলপ করে তাহলে শুধুমাত্র আয়-রোজগারই নয়, বরং গ্লোবাল মার্কেটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করাও সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়। এর মানে, দক্ষতাসম্পন্ন গেম ডিজাইনার, ৩ডি এনিমেটর ও মোশন গ্রাফিক্স আর্টিস্টদের একটি বড় বাজার ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে। টেনসেন্ট চাইলে এই মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয়ভাবে গেম তৈরি করে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে তা রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশ কি প্রস্তুত?
যদিও টেনসেন্ট বাংলাদেশের বাজারে আসতে আগ্রহ দেখিয়েছে, তবুও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন অনেকগুলো নীতিগত সমন্বয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চীনের মতো ডেটা গোপনীয়তা আইন কিংবা ক্লাউড স্টোরেজ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। কিন্তু ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব-এর বক্তব্য অনুযায়ী, সরকার পলিসি সাপোর্ট দিতে রাজি, এবং এটি একটি আশাব্যঞ্জক দিক।
এছাড়া, দেশে এখন (ডেটা লোকালাইজেশন) আইন চালুর প্রক্রিয়া চলছে। যদি এই আইন পাস হয়, তাহলে টেনসেন্টকে বাংলাদেশে নিজস্ব ডেটা সেন্টার স্থাপন করতে হবে, যেটি গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে পরিকল্পিত হাইপার স্কেলার ক্লাউড ইকোসিস্টেমের সঙ্গে মিলেই যাবে।

অসাইরিস গ্রুপের আগমন ও টেনসেন্টের সম্ভাব্য মেলবন্ধন
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশে আসছে আমেরিকান টেক গ্রুপ (অসাইরিস।) তারা কালিয়াকৈরে ক্লাউড ও ডেটা সেন্টার তৈরিতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এই হাইটেক পার্কই হতে পারে ভবিষ্যতের টেক হাব।
এই জায়গায় টেনসেন্ট যদি যৌথভাবে ইকোসিস্টেমের অংশ হয়, তাহলে দেশেই তৈরি হতে পারে এমন একটি ডিজিটাল পরিকাঠামো, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম টেক বেস হয়ে উঠবে।
এই ধরনের যৌথ বিনিয়োগ কেবল আয় নয়, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে। এটি সরকার, প্রাইভেট কোম্পানি ও বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যকার টেক পার্টনারশিপ তৈরি করতে পারে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

উদ্ভাবন, শিক্ষা ও গবেষণার অপার সম্ভাবনা
টেনসেন্ট বরাবরই শিক্ষা ও গবেষণায় বিনিয়োগের পক্ষপাতী। তাদের টেনসেন্ট ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যেই চীনে শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশেও এই মডেল প্রয়োগ করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাস্তব জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি গ্লোবাল প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।
গবেষণায় বিশেষত এআই, ব্লকচেইন ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি খাতে টেনসেন্টের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলে, এসব ক্ষেত্রেও উন্নয়ন ঘটতে পারে।

মেটাভার্স ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশ
বিশ্ব যখন মেটাভার্স, ভার্চুয়াল লাইফ, ডিপফেইক প্রযুক্তি কিংবা জেনারেটিভ এআই-এর দিকে এগোচ্ছে, তখন এসব প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু টেনসেন্টের আগমনের মাধ্যমে সেই শূন্যস্থান পূরণের পথ খুলে যেতে পারে।
টেনসেন্ট ইতোমধ্যে নিজেদের মেটাভার্স প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। যদি বাংলাদেশ এই প্রকল্পের অংশ হয়, তাহলে একদিন আমাদের তরুণরাও মেটাভার্স ভিত্তিক স্টার্টআপ চালাতে পারবে কিংবা গ্লোবাল মেটাভার্স ইকোসিস্টেমে বাংলাদেশি আইডিয়া ও ডিজাইন রপ্তানি করতে পারবে।
শেষ কথা:
সবদিক বিবেচনায়, টেনসেন্টের বাংলাদেশে আগমনের খবরে শুধু প্রযুক্তি জগতে নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও আশার আলো জ্বলে উঠেছে।
এটি কেবল একটি কোম্পানির আগমন নয়, এটি একটি সম্ভাবনার দরজা খোলা। একদিকে রয়েছে ইনকামের নতুন খাত, অন্যদিকে রয়েছে চাকরির অগাধ সুযোগ। তৃতীয়দিকে রয়েছে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অভাবনীয় গতি।
এতদিন বাংলাদেশ প্রযুক্তির গ্রহণকারী দেশ ছিল, এখন তারও সম্ভাবনা রয়েছে প্রযুক্তির উদ্ভাবক এবং রপ্তানিকারক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার।
আর এই পুরো যাত্রার সূচনা করছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, যেখানে বড় স্বপ্নগুলো নীতির কাঠামোতে পরিণত হচ্ছে।
আজ টেনসেন্ট আসছে, কাল গুগল, মেটা কিংবা অ্যামাজনের পথে বাধা থাকবে না। বাংলাদেশ এখন শুধু হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দিতে পারে একটি নতুন প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যৎ।
One thought on "চীনের টেক দানব টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসছে! ইনকাম-চাকরির বন্যা বইবে?"