Site icon Trickbd.com

ওয়েবসাইট ছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার পাচটি সহজ পদ্ধতি চাইলে দেখুন

Unnamed

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইট বিল্ডিং/ক্রিয়েট করে কাজ শুরু করাটা হচ্ছে যা একটি কমন ও ট্রেডিশোনাল পদ্ধতি। অনেকে আছেন যারা কিনা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার শুরুর দিকে ওয়েবসাইট বিল্ডিং/ক্রিয়েট করে কাজ করতে আগ্রহী না, তাদের কে উদ্দেশ্য করেই আজকে আমার এই লিখা।

বিঃদ্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সফলতার চাবি হচ্ছে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক (প্রোডাক্ট) টিকে সম্ভাব্য অডিএন্স(কাস্টমার) এর সামনে তুলে ধরা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে তো এই কাজ টি করতে হবেই , কিন্তু কিভাবে এই কাজটি করে আপনি অডিএন্স(কাস্টমার)কে আপনার পণ্য সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলবেন তা সম্পূর্ণ আপনার ক্রিয়েটিভিটি ও উপস্থাপনার উপর নির্ভর করবে। এই কথা মাথায় রেখে নিচের পদ্ধতি গুলো ট্রাই করতে পারেন।

১)ব্লগ এবং ফোরাম পোস্টঃ

এটি অনেক সিম্পল একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রথম স্বাদ টা নিতে পারেন। প্রথমে আপনাকে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে (যে প্রোডাক্ট বা নিশ নিয়ে আপনি কাজ করতে চান) প্রমট করার জন্য। তারপর আপনার প্রোডাক্ট এর ধরন বুঝে উপযুক্ত ব্লগ এবং ফোরাম সাইটে পোস্ট দিতে হবে এবং উপজুক্ত পরিবেশ তৈরি করে আপনার অ্যাফিলিয়েশন লিঙ্ক টি শেয়ার করতে হবে।

নিচে একটি উদাহরন দেওয়া হোল। এখানে আপনি দেখতে পাবেন এই ফোরাম মেম্বার টি তার পোস্টে অ্যাফিলিয়েশন লিঙ্ক কিভাবে শেয়ার করেছেন এবং তার অ্যাক্টিভিটিস আর রেগুলারিটি দিয়ে নিজেকে একজন ট্রাস্টেড ও রিস্পেক্টেড মেম্বার হিসেবে গরে তুলেছেন…

অবশ্যই আপনি সেই সব ব্লগ এবং ফোরাম সাইটে আপনার পোস্ট এবং লিঙ্ক শেয়ার করবেন যেখানে আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড অডিএন্স আপনি পাবেন। যেমন, আপনি হেলথ রিলেটেড ব্লগ এবং ফোরাম সাইটে খাদ্য নিয়ে পোস্ট করতে পারেন কিন্তু ফ্যাশন রিলেটেড পোস্ট দিলে সেখানে কোন কাজে আসবেনা কারন সম্ভাব্য কাস্টমার আপনি সেখান থেকে পাবেন না।

আর তাছাড়া আপনি এই পদ্ধতি তে তখনি খুব সহজে সফল হতে পারবেন যখন কিনা আপনি আপনার ব্লগ এবং ফোরাম সাইটে নিজের একটা বিশ্বস্ত অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবেন। এই অবস্থান তৈরি করা বেশি একটা কষ্টের কাজ না, তাই ভয় পাওার কিছু নেই। রেগুলার এবং হেল্পফুল পোস্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার এই অবস্থান অল্প কিছুদিনের মধ্যেই করে নিতে পারবেন।

তবে একটা কথা মনে রাখবেন, যদি আপনি সেখানে স্প্যামিং অথবা ইউস লেস কিছু পোস্ট করেন তথা ব্লগ এবং ফোরাম সাইটের টপিক এর বাইরে বিভিন্ন পোষ্ট করেন তাহলে আপনি চিরদিনের জন্য সেই সাইট থেকে ব্যান হয়ে যেতে পারেন।

২)ই-বূকঃ

এটি অনেক কার্যকরী একটি মাধ্যম, যার দ্বারা আপনি খুব সহজেই আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক একটি নিদ্রিস্ট সংখ্যক অডিএন্স এর মাঝে প্রচার করতে পারবেন এবং এর জন্য নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকা বাধ্যতা মুলক না।

এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখবেন যে, “ফ্রী জিনিস সবাই চায় এবং লাইক করে”! এই কথা টি মাথায় রেখে আপনি একটি ই-বূক অথবা কোণো বিষয় নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি কোড়ে ফেলুন। ই-বূক বা রিপোর্ট তৈরির সময় এর ভিতর আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক টি দিয়ে দিন। এরপর আপনি সেই ই-বূক বা রিপোর্ট টি বিভিন্ন যায়গায় ডিস্ট্রিবিউট করুন এবং সবাইকে স্বাগতম জানান আপনার এই ই-বূক বা রিপোর্ট টি ফ্রীতে নেবার জন্য। অতঃপর জারাই ই-বূক বা রিপোর্ট টি নিবেন তাদের ভিতর থেকেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার সম্ভাব্য কাস্টমার।

ই-বূক বা রিপোর্ট টি অবশ্যই যথাযথ মান সম্পূর্ণ, হেল্পফুল এবং আকর্ষণীয় হতে হবে অন্যথায় আপনি এখান থেকে ০% ও উপকৃত হবেন না। ই-বূক বা রিপোর্ট টি যে যে বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন………

যদি আপনার ই-বূক বা রিপোর্ট টি যথাযথো হয় তাহলে আপনি এখান থেকে ও বেনিফিটেড হতে পারবেন।

৩)ইউ-টিউব সিরিসঃ

ইউ-টিউব এমন একটি সাইট যেখানে প্রতি মাসে নতুন করে বিলিওন বিলিওন ভিসিটর আসে। চাইলে আপনি এই এডভান্টেজ টি নিতে পারেন। কিছু ইনভেটিভ আইডিয়া নিয়ে ইউ-টিউবে একটি নিশ চ্যানেল খুলে সেই চ্যানেলের জন্য ভিডিও সিরিস তৈরি করুন। তারপর সেই ভিডিওর ডিস্ক্রিপসনে বা কৌশলে ভিডিওর ভিতরে অ্যাফিলিয়েট লিংক টি দিয়ে দিন। এভাবে আপনি আপনার ভিডিও ভিউয়ারস দের সম্ভাব্য কাস্টমারে রুপান্তরিত করতে পারেন।

এই কাজ টি করার সময় আপনাকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে, না হলে আপনি আপনার উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবেন না। বিষয় গুলো হোল………

সাধারনত ইউ-টিউবে ভিডিও মার্কেটিং করাটা রিস্ক, কারন ইউ-টিউবে অ্যাফিলিয়েট লিংক গুলোকে স্প্যাম লিস্টেড করে ফেলা হয়। কিন্তু এটা কোন ভয়ের বেপারি না, কারন আপনি যদি স্প্যামি কর্ম কাণ্ড বাদ দিয়ে প্রতিনিয়ত নিশ রিলেটেড ইউসফুল ভিডিও কন্টেন্ট যোগ করেন এবং ইউ-টিউবের সকল পলিছি মেনে সৎ ভাবে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক গুলোকে মার্কেটিং করতে থাকেন তাহলে কোন সমস্যা হবেনা।

আপনার ভিডিও কন্টেন্ট গুলো যে যে বিষয়ে বানাতে পারেন………

বিঃদ্রঃ প্রত্যেক ভিডিওর ডিস্ক্রিপসনে একটির বেশি লিংক দেওয়া উচিৎ না। আপনার ভিডিও গুলো যদি ভিসিটর দের জন্য ইউসফুল হয় এবং ভিসিটর দের মধ্যে ভ্যালু তৈরি করতে পারে তাহলে এটি অবশ্যই আপনার জন্য লাভ জনক।

৪)বিল্ডিং হাবঃ

কোন রকম ওয়েবসাইট বিল্ডিং ছারাই হাব এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করাটা হতে পারে আপনার জন্য একটি শুভ সূচনা। হাব হচ্ছে এক ধরনের ১-পেজ মিনি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্যাঁসনেট বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এটি HubPage Site দ্বারা হোস্টেড করা। একটি দৃষ্টি নন্দন ও উপযুক্ত হাব পেজ তৈরি করতে হলে ওয়েব ডেভলোপমেন্ট বা ডিজাইনিং এর কোন কিছুই জানার প্রয়জন নেই , আপনি এভাবেই একটি হাব পেজ তৈরি করতে পারবেন।

হাব পেজের সব থেকে ভালো দিক হচ্ছে এটি একটি সোশ্যাল নেট-ওয়ার্কিং সাইট, তাই এটির দ্বারা খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট এর জন্য ট্রাফিক জেনারেট করা যায়।

৫)পে-পার-ক্লিক অ্যাডভারটাইসমেন্টঃ

এই পদ্ধতিটি আমি সবার শেষে আলোচনা করছি কারন এই পদ্ধতিটি আমি আপনাদের জন্য রিকমান্ড করবোনা তবে চাইলে আপনারা করতে পারেন। এটির জন্য কোন দক্ষতার প্রয়জন নেই। আপনি গুগল এবং বিং এর দ্বারা পেইড ক্যাম্পেইং এর মাধ্যমে এটা করতে পারেন। এতে করে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার অ্যাড টি অগ্রাধিকার পেয়ে আগে থাকবে ফলে অ্যাফিলিয়েট লিংক এর জন্য যথেষ্ট পরিমানে ভিসিটর আসবে এবং যারা কিনা আপনার সম্ভাব্য কাস্টমার হতে পারে।

শেষ কথাঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ইনকাম করার জন্য অনেক রাস্তা বা পদ্ধতি আছে। তবে আপনি যদি লং টাইম বা স্থায়ী ভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে এখানে ওয়েবসাইটের কোন বিকল্প নেই।