আশা করি আপনাদের সকলেরই জানা যে, সম্প্রতি বাংলাদেশে 4G চালু হয়েছে। যা আমাদের কাছে পুরোই একটা নতুন বিষয়। তো এই নতুন বিষয়টা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা যেহেতু এটা নতুন। তাই আমরা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে এই নতুন বিষয় 4G সম্পর্কে জানবো। তো চলুন 4G সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমরা একটু নিচে ভালো করে খেয়াল করি।
4G LTE কি?
ফোরজি হলো ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্ম শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ব্যবহৃত হয় চতুর্থ প্রজন্মের তারবিহীন টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিকে বুঝাতে। এটি তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির উত্তরসূরি। ফোরজি প্রযুক্তি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা অন্যান্য মোবাইল যন্ত্রে মোবাইল ব্রডব্যান্ড মোবাইল আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে। ফোরজি নেটওয়ার্কে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে সংশোধিত মোবাইল ওয়েব সেবা, আইপি টেলিফোনি, গেমিং সেবা, এইচডিটিভি, হাই-ডেফিনিশন মোবাইল টিভি, ভিডিও কনফারেন্স, ত্রিমাত্রিক টেলিভিশন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং উল্লেখযোগ্য।
LTE কি?
LTE আসলে কি? খুব সাদামাটা ভাবে বললে, LTE (LTE – Long Term Evolution) হলো মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের একটি প্রযুক্তি। ইংরেজী এলটিই দিয়ে হয়- লং টার্ম ইভ্যুলুশন, এর পুরো নাম থ্রিজিপিপি লং টার্ম ইভ্যুলুশন (3GPP Long Term Evolution)। অন্যান্য প্রযুক্তির মতো মোবাইল প্রযুক্তিটিও মূলত ড্রাইভ করে কোনও না কোনও আদর্শ মান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা সেই আদর্শমানটি ঠিক করে দেয় এবং সে অনুসারেই সবাই পণ্য উৎপাদন করে থাকে। নইলে একটার সাথে আরেকটা ঠিক মতো কাজ করবে না। এলটিই আদর্শ মানটি তৈরি করছে থ্রিজিপিপি বা থার্ড জেনারেশন পার্টনারশীপ প্রজেক্ট নামের একটি দল, যারা কাজ করছে ইউনিভার্সেল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন্স সিস্টেম (UMTS ইউএমটিএস)-এর জন্য। সেদিক থেকে এটার নাম হলো- থ্রিজিপিপি ইউএমটিএস এলটিই। অনেকগুলো টার্ম চলে এলো, তাই না? আবার এখানেও থ্রিজিপিপি-এর সাথে রয়েছে থ্রিজি শব্দটি। আমরা কথা বলছিলাম ফোরজি নিয়ে, তাহলে আবার থ্রিজি এলো কিভাবে! এই ইউএমটিএস-ই জিএসএম নেটওয়ার্কের জন্য থ্রিজি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে দিয়েছিল; এবং এখন তারা কাজ করছে এলটিইর জন্য। খুব টেকনিক্যাল মানুষ না হলে, এগুলো একটু তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য একটু বুঝলেই হবে যে, থ্রিজিপিপি নামের একটি দল এলটিই বিষয়টির আদর্শমান ঠিক করে দিচ্ছে এবং আমরা তাকেই সংক্ষেপে এলটিই বলবো। তবে এই এলটিইর বেলায় যে ঝামেলাটি হয়েছে তাহলো, এটার আদর্শমানটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এটা অনেকটা জীবন্ত স্ট্যান্ডার্ড বলা যেতে পারে। অর্থ্যাৎ আগামী আরো কয়েকটি বছর এটার পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং পরিমার্জন চলতে থাকবে। সেই হিসাবে এটা এখনও স্ট্যান্ডার্ড নয়।
4G দুই প্রকার :
২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম মোবাইল ওয়াইম্যাক্স এবং ২০০৯ সালে নরওয়ের ওসলো এবং সুইডেনের স্টকহোমে প্রথম লং টার্ম ইভোলিউশন বা এলটিই সেবা চালু করে। তবে বর্তমানে 4G সেসব প্রাথমিক সংস্করণগুলোকে বাস্তবিক 4G হিসেবে দাবী করা যাবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে, যার প্রধান কারণ হল আইএমটি অ্যাডভান্সডের কিছু প্রয়োজনীয় নিয়ম। যুক্তরাষ্ট্রে স্প্রিন্ট নেক্সটেল ২০০৮ সালে মোবাইল ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক স্থাপন করে এবং মেট্রোপিসিএস ২০১০ সালে প্রথম এলটিই সেবা চালু করে। তারবিহীন ইউএসবি মডেম প্রথম থেকেই লভ্য ছিল, কিন্তু ওয়াইম্যাক্স স্মার্টফোন লভ্য হয় ২০১০ সাল থেকে এবং এলটিই স্মার্টফোন ২০১১ সাল থেকে। তবে ইউরোপীয় বাজারে বর্তমানে ওয়াইম্যাক্স স্মার্টফোন বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনে 4G লভ্য না হলেও, কিছু ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোম্পানির দাবী যে তারা ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে, যদিও তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
4G প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা :
২০০৮ সালের মার্চে আইইউটি-আর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের বেতার যোগাযোগ সেক্টর 4G এর প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুসমূহের একটি রূপরেখা প্রবর্তন করে। তারা উচ্চ মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবিট এবং নিম্ন মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবিট গতি প্রণয়ন করে। মোবাইল ওয়াইম্যাক্স এবং এলটিই-এর প্রথম অবমুক্তির পর থেকে যেসব সেবা প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবিটের কম গতি প্রদান করে, আইইউটি-আর এর নীতি অনুযায়ী সেগুলোকে ফোরজি সেবা বলা যাবে না, যদিও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলোকে ফোরজি সেবা বলেই বাজারজাত করে। মোবাইল ওয়াইম্যাক্স রিলিজ ২ এবং এলটিই-অ্যাডভান্সড আইএমটি-অ্যাডভান্সডের বিষয়বস্তু সমর্থন করে এবং এর সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবিট গতি সম্পন্ন সেবা প্রদান করাও সম্ভব। আগের প্রজন্মগুলো সার্কিট সুইচিং, সার্কিট-সুইচড টেলিফোনি সমর্থন করলেও, ফোরজি তা করেনা। তবে এটি ইন্টারনেট প্রটোকল ভিত্তিক সকল সেবা যেমন: আইপি টেলিফোনি সমর্থন করে। আশা করা হয় যে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিগুলো পূর্ববর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগুলোর তুলনায় অধিক সস্তা এবং উন্নততর হবে। অনেক দেশে এখনও জিএসএম, ইউএমটিএস এবং এলটিই নেটওয়ার্ক একই সাথে চালু আছে।
4G এর পটভূমি :
টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রজন্মের নামকরণের মাধ্যমে মূলত টেলিযোগাযোগ সেবার কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তনকে বোঝায়, যেমন, নতুন ধরণের স্থানান্তর প্রযুক্তি, উচ্চতর পিক ডাটা রেট, নতুন ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড, সমকালীন তথ্য স্থানান্তরের জন্য অধিক ধারণ ক্ষমতা ইত্যাদি। দেখা যায় যে প্রায় দশ বছর পর পর টেলিযোগাযোগ প্রজন্মের পরিবর্তন ঘটে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৯৮১ সালের অ্যানালগ (ওয়ানজি) থেকে ১৯৯২ সালে ডিজিটাল (টুজি) স্থানান্তর প্রযুক্তিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে এবং এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে, যার মাধ্যমে ২০০১ সালে আসে থ্রিজি মাল্টি-মিডিয়া সমর্থন, স্প্রেড স্পেক্ট্রাম স্থানান্তর এবং কমপক্ষে ২০০ কিলোবিট/সে পিক ডাটা রেট। এরপর ২০১১/২০১২ সালে আসে আসল ফোরজি, যা সমর্থন করে অল-ইন্টারনেট প্রটোকল ভিত্তিক প্যাকেট সুইচড নেটওয়ার্ক, যা ব্যবহারকারীকে আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে।
আইটিইউ ভবিষ্যতে ব্যবহার করা হবে এমন প্রযুক্তিসমূহের জন্য কিছু শর্ত আরোপ করলেও, তারা সেগুলোর মানোন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেনা। বরং অন্য কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন, আইইইই, দ্য ওআইম্যাক্স ফোরাম এবং থ্রিজিপিপি এসব কাজ করে। ১৯৯০ এর মাঝামাঝি সময়ে, আইটিইউ-আর অবমুক্ত করে আইএমটি-২০০০ শর্তসমূহ, যা থ্রিজি প্রযুক্তির শর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ২০০৮ সালে তারা ফোরজির জন্য আইএমটি-অ্যাডভান্সড শর্তসমূহ প্রণয়ন করে। ইউএমটিএস পরিবারের সবচেয়ে দ্রুতগতির থ্রিজি ভিত্তিক প্রযুক্তি হল এইচএসপিএ+, যা ২০০৯ সাল থেকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এতে এমআইএমও ছাড়া একটি অ্যান্টেনা ব্যবহার করে ডাউনলিংকে ২৮ মেগাবিট/সে এবং আপলিংকে ২২ মেগাবিট/সে গতি পাওয়া সম্ভব। ২০১১ সালে ডিসি-এইচএসপিএ+ বা ২x২ এমআইএমও ব্যবহার করে এই গতিকে ৪২ মেগাবিট/সে এ উন্নীত করা হয়।
আইএমটি অ্যাডভান্সনড রিকোয়ারম্যান্টস :
4G সুবিধার ক্ষেত্রে আইএমটি-অ্যাডভান্সড সেলুলার সিস্টেম নিচের যোগ্যতাগুলো অবশ্যই পূরন করবে। 4G প্রযুক্তি হচ্ছে মূলত আইপিভিত্তিক এক ধরনের নেটওয়ার্ক হাই মোবিলিটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট গতিসম্পন্ন এবং লো মোবিলিটির যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবাইট গতিসম্পন্ন হবে। ৫ থেকে ২০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডউইডথ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৪০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডউইডথ ক্ষমতা সম্পন্ন। ইনডোর সুবিধার ক্ষেত্রে, সিস্টেম স্পেকট্রাম এফিশিয়েন্সি হবে, ডাউনলিঙ্ক এর ক্ষেত্রে ৩-বিট/সে./হার্টজ/সেল এবং আপলিঙ্ক এর ক্ষেত্রে ২.২৫-বিট/সে./হার্টজ/সেল।
সিস্টেম স্ট্যান্ডার্ড :
২০১০ সালের অক্টোবর মাসে, আইটিইউ-আর ফোরজি প্রযুক্তির দুটি স্ট্যান্ডার্ড অনুমোদন করে। এর একটি হচ্ছে এলটিই অ্যাডভান্সড এবং অপরটি হচ্ছে ওয়্যারলেসম্যান অ্যাডভান্সড। 4G প্রযুক্তি হচ্ছে মূলত আইপিভিত্তিক এক ধরনের নেটওয়ার্ক হাই মোবিলিটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট গতিসম্পন্ন এবং লো মোবিলিটির যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবাইট গতিসম্পন্ন হবে। ৫ থেকে ২০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডউইডথ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৪০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডউইডথ ক্ষমতা সম্পন্ন। ইনডোর সুবিধার ক্ষেত্রে, সিস্টেম স্পেকট্রাম এফিশিয়েন্সি হবে, ডাউনলিঙ্ক এর ক্ষেত্রে ৩-বিট/সে./হার্টজ/সেল এবং আপলিঙ্ক এর ক্ষেত্রে ২.২৫-বিট/সে./হার্টজ/সেল।
আইপিভি ৬ সাপোর্ট :
ক্রমবর্ধমান আইপির অভাব থেকেই আইপি ভার্সন ৪-এর পর আইপি ভার্সন ৬ বা আইপিভি ৬-এর আবির্ভাব ঘটে। 4G নেটওয়ার্কের ফিচার আইপিভি ৬ সাপোর্ট। 4G প্রযুক্তি যেহেতু একটি আইপিভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, সেহেতু পুরনো আইপিভি ৪-এর ওপরে ভিত্তি করে নেটওয়ার্ক তৈরি করার কোনো মানে হয় না। 4G নেটওয়ার্কের অন্যতম একটি ফিচার হচ্ছে আইপিভি ৬ সাপোর্ট।
অ্যাডভান্সড অ্যান্টেনা সিস্টেম :
4G নেটওয়ার্কিং সিস্টেমেটিতে অ্যাডভান্সড অ্যান্টেনা সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণত সাধারণ নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থায় একটি অ্যান্টেনা ব্যবহার করে সিগন্যাল ধরা হয়। কিন্তু 4G নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে, হ্যান্ডসেটে একাধিক অ্যান্টেনা ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তিটিকে মিমো বলা হয়ে থাকে। এর ফল অনুসারে ব্যান্ডউইডথ খুব ভালো পাওয়া যায় এবং উচ্চমানের ভয়েস ট্রান্সমিশন ও রিসিভ করা সম্ভব হয়।
মাল্টিপ্লেক্সিং এবং অ্যাক্সেস স্কিম :
নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মডুলেশন ব্যবস্থার সর্বশেষ সংযোজন করা হয়েছে 4G প্রযুক্তির অ্যাক্সেস স্কিমে। এর মধ্যে রয়েছে থ্রিজিপিপি লং টার্ম ইভ্যালুয়েশন ব্যবস্থা। এটিই হচ্ছে জিপিআরএস/এজ নেটওয়ার্কের সর্বাধুনিক স্ট্যান্ডার্ড। এতসব প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে 4G প্রযুক্তির নেটওয়ার্কে।
4Gতে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
4Gর মূল সুবিধা এই নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব। বলাই হচ্ছে, এর গতি হবে সর্বনিম্ন ১০০ মেগাবাইট। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হাই ডেফিনিশন টেলিভিশন ও ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া এই প্রযুক্তিতে গ্রাহক সব সময়ই মোবাইল অনলাইন ব্রডব্যান্ডের আওতায় থাকতে পারবে। ফোরজির মাধ্যমে মোবাইলে কথোপকথন ও তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপত্তা অনেক বেশি ও শক্তিশালী। এ ছাড়া ফোরজি মোবাইল গ্রাহকদের ভয়েস মেসেজ, মাল্টিমিডিয়া মেসেজ, ফ্যাক্স, অডিও-ভিডিও রেকর্ডিংসহ নানা ধরনের সুবিধা দেয়। এ ছাড়া এর ডাউনলিংকের ক্ষেত্রে লিংক স্পেকট্রাল এফিসিয়েন্সি প্রতি সেকেন্ডে ১৫ বিট এবং আপলিংকের ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ৭৫ বিট হবে। ধারণা করে হচ্ছে, ফোরজি আসলে আমাদের জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন আসবে। কিন্ত দেশের মানুষের ফোরজি নিয়ে এখনো সংশয় কারণটা হলো দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাজে এখনো থ্রিজি ঠিক ভাবে পৌঁছেনি। যেখানে থ্রিজি পৌঁছেনি সেখানে ফোরজি কি আসবে? তবে সময়ই বলে দিলে ফোরজি দেশের মানুষের জন্য কতটুকু আর্শিবাদ বয়ে আনবে।
তো আরকি আজকের মত এখানেই পোস্ট শেষ করলাম। আশা করি এই নতুন বিষয় অর্থাৎ 4G সম্পর্কে এই পোস্টের মাধ্যমে আমাদের সবার কিছুটা হলেও জানা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের কয়েক জায়গা 4G চালু হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে সব জায়াগাই চালু হবে। এই 4G চালাতে এখন শুধু 4G সাপোর্টের একটা মোবাইলের প্রয়োজন হবে, তাহলেই আপনি এই 4G ব্যবহার করতে পারবেন।
সৌজন্যে – আমার ব্লগ সাইট – www.OwnTips.ml এই ব্লগ সাইটে আমার তৈরি করা সকল পোস্ট একসাথে দেখতে পারবেন। তাই আমার নিজের তৈরি করা পোস্টগুলো একসাথে দেখতে আমার সাইটে ভিজিট করুন।