আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন।
একটা সময় ছিল মানুষ টাকা রাখত মাটির নিচে, সময়ের সাথে সাথে সেটা গেল ব্যাঙ্কে, তারপর পরিণত ইলেক্ট্রনিক মানিতে মানে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিক্যাশ, রকেট ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে এই পরিবর্তন কেন হল? হয়েছে সময়ের চাহিদামতো।
একটা সময় মানুষ কেনাকাটা করতে প্রথমে ঢাকা তারপর বিভিন্ন দেশে যেত। কিন্তু এখন সব কিছুই অন লাইনে অর্ডার হচ্ছে, চলে আসছে সরাসরি বাসায়।
আধুনিক এই প্রযুক্তি সবকিছুই এত সহজ করে দিচ্ছে একই সাথে টেকনোলজি প্রতিদিনই উন্নত হচ্ছে ফলে সামনের ১ বছরের মধ্যে মানুষ নতুন কি কি দেখতে যাচ্ছে তা ধারনা করাটাই কঠিন। যেমন ২০০০ সালের দিকে কালার ফোন হতে পারে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইত না যেমনটি এখন বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে মোবাইল ফোন ও বইয়ের মত ভাঁজ করা যাবে যেটা স্যামসং হয়ত খুব শিগ্রি নিয়ে আসছে।
আরেকটা ব্যাপার একটু বলে নেই, অনেকেই হয়ত বিট কয়েনের নাম শুনেছেন। যেটা ডিজিটাল কারেন্সি হিসাবে ২০০৯ সালের দিকে যাত্রা শুরু করলেও ২০১০ সালে দারুন উন্নতি হয়। উন্নতি বলতে বুঝিয়েছি শুরুতে ১ বিট কয়েন = ০.০০৮ ডলার থেকে বর্তমানে ১ বিট কয়েন =৬৩৬৭.৬৪ ডলার। কারন শুরুতে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল না যেটা পরবর্তীতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের কঠিন আইনের কারনে বিট কয়েন এখনও অনুমোদন পায়নি।
তাহলে পরবর্তী পেমেন্ট সিস্টেম কি হতে যাচ্ছে? ধারনা করা হচ্ছে সামনের দিনে পুরও বিশ্বের পেমেন্ট সিস্টেম দাপিয়ে বেরাবে “ইনিশিয়েটিভ কিউ”(https://initiativeq.com, contact info@initiativeq.com.)।
দারুন এই উদ্যোগ নিয়েছেন মিঃ সার উইলফ (https://www.linkedin.com/in/saar-wilf-b8a227/) যে একজন সফল পেমেন্ট সিস্টেম ডেভেলপর ও মেশিন লারনিং স্পেশালিস্ট (Fraud Sciences acquired by PayPal), ClarityRay (acquired by Yahoo), Supersonic (merged with Iron Source), Crosswise (acquired by Oracle), Redhill Biopharma (NASDAQ: RDHL), Trivnet (acquired by Gemalto), Pointgrab, Deep Optics, CallApp, Moon Active and Creditstacks (all showing impressive progress, and attracted significant investments from leading investors)।
তাদের লেনদেন হবে পয়েন্টে যাকে বলা হয় কিউ (Q). সারা পৃথিবীতে খুবই সহজে ও কম খরচে লেনদেন করাই ইনিশিয়েটিভ কিউ এর মূল উদ্দেশ্য।
এবার বলে নেই এত বকবক করার কারন কি?
ইনিশিয়েটিভ কিউ এখন একেবার শুরুতে রয়েছে এবং মিলিয়ন অফ ইউজার বানানোর জন্য তারা ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং প্রতি সাইন আপে বেশ অনেকগুলো পয়েন্ট (Q) দিচ্ছে সবাইকে ফ্রিতে আর লাগছেও খুবই কম তথ্য, ফলে আপনার নিরাপত্তা নিয়েও কোন টেনশন নেই।
এখন তারা জয়েন করলেই জন প্রতি প্রায় 3000 Q বোনাস দিচ্ছে। যার মুল্য 1 Q=1 $ dollar অর্থাৎ প্রায় 3000 $ dollar. তবে এখানে invitation ছাড়া জয়েন হওয়া যায় না।
তাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রতি Q কে তারা ১ ডলারে পরিণত করবে। এখন প্রশ্ন আসবে এটা কি সম্ভব? তাহলে শুরুতে একবার বলেছিলাম বিট কয়েনের কথা সেটা একবার পরে আসতে পারেন উপর থেকে।
বিশ্বের যে দেশে তাদের বেশি সাইন আপ থাকবে তাদের কার্যক্রম গুলো সেই সব দেশ থেকেই শুরু হবে। তাই আমি চাই বাংলাদেশ ও সেই সারিতে থাক আর শুরুর এই সুবিধা আমার ভাই ভ্রাদার সবাই পাক।
আরও বিস্তারিত জানতে তাদের সাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। site link
আর ইনভাইটেশন না থাকলে আপনি সাইন আপ করতে পারবেন না এটাই তাদের সিস্টেম। তাই গুগল সার্চ করে ইনভাইটেশন লিঙ্ক বের করে নিতে পারেন।
যদি না পান আমার জানা এই লিঙ্কটিও ব্যবহার করেও সাইন আপ করে নিতে পারেনঃ
এই লিংক ব্যবহার করুন
দরকারি এই ইনফরমেশনটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ