Site icon Trickbd.com

??বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ হতে মাসে ১০ কোটি টাকার বেশি আয় হচ্ছে ??

Unnamed

Hello Friends সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

বাংলাদেশ আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পর দেশেন অনেক উন্নতি হচ্ছে । বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে মাসে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। দেশের সকল টেলিভিশন চ্যালেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মাধ্যমে কাজ করছে।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যে পরিমান ক্যাপাসিটি বিক্রি হয়েছে তাতে মাসে ১০ কোটি টাকার বেশি আয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ হতে।

বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) এখনই বছরে ১২৫ কোটি টাকার বেশি আয় নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) এর কার্যালয়ে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এর সদস্যদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় এ তথ্য জানান কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বুঝে পাওয়ার পর এ পর্যন্ত তারা অত্যাধুনিক এই স্যাটেলাইটটির ২৬ শতাংশ ক্যাপসিটি বিক্রি করেছেন।

আরো ১০ শতাংশ বিক্রির প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তাছাড়া এর বাইরে আরও ৬৪ শতাংশ ক্যাপাসিটি তারা পরবর্তীতে বিক্রির জন্যে চেষ্টা করছেন বলে জানান।

সরকারি এই কোম্পানিটি জানিয়েছে, বাকি তিন চতুর্থাংশ থেকে যদি তারা মাসে মাত্র ১৫ কোটি টাকাও আয় করতে পারেন তাহলেও মাত্র নয় বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের জন্যে ব্যয় হওয়া সরকারের পুরো খরচের টাকা উঠে আসতে মাত্র নয় বছর সময় লাগবে।

একটি স্যাটেলাইটের মেয়াদ সাধারণত ১৫ বছরের হয়।

এর আগে যখন পরীকল্পনা করা হয় তখন আট বছরের মধ্যে খরচের টাকা উঠে আসবে বলে হিসেব ধরা হয়েছে।

তবে শাহজাহান মাহমুদ বলছেন, বিশ্বজুড়েই স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথের দাম কমেছে। তাতে করে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তাদের খুব বেশী আয় করার সম্ভাবনা নেই।

তারপরেও নেপালের একটি ডিটিএইচ কোম্পানি এবং ফিলিপিনের অপর একটি কোম্পানি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে ৯টি ট্রান্সপন্ডার কেনার জন্যে আলোচনা করছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর হাতে সি ব্যান্ড এবং কেইউ ব্যান্ড মিলিয়ে সাকুল্যে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে।

শাহজাহান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশে অনেক বেশী চাহিদা রয়েছে। আর সে কারণে দেশের বাজারকে প্রাধান্য দিয়েই তারা পরিকল্পনা করছেন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর প্রথম ক্রেতা ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশন। তারা সি ব্যান্ড এবং কেইউ ব্যান্ড মিলিয়ে ১ দশমিক ৫০ ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়েছে বিসিএসসিএল-এর কাছ থেকে। এখান থেকে বছরে বিসিএসসিএলের আয় হবে ১৭ কোটি টাকা।

তাছাড়া ৩১টি বেসরকারি টেলিভিশনগুলো সি ব্যান্ড থেকে ৫ ট্রান্সপন্ডার এবং কেইউ ব্যান্ড থেকে নিচ্ছে আরও ৪ ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি। আর এখান থেকে কোম্পানিটির আয় হবে বছরে ৬০ কোটি টাকা।

তবে টাকার অংকে এককভাবে সবচেয়ে বড় ক্রেতা বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের ডিটিএইচ আকাশ। তাদের কাছ থেকে বিসিএসসিএল কতো টাকা আয় করবে সেই অংশ প্রকাশ না করলেও সেটি প্রায় আরও ৪৫ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বছরে তিন কোটি টাকা আয় হবে স্যাটেলাইট কোম্পানির। খুব তাড়াতাড়ি মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সঙ্গেও চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন ড. শাহজাহান মাহমুদ।

তবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে দেশকে নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবার মধ্যে নিয়ে আসাকেই সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করেন তিনি।

শাহজাহান মাহমুদ বলেন, এখন পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেনো দেশ আর কখনোই টেলিযোগাযোগ সেবার বাইরে থাকবে না।

‘আয় করার পাশাপাশি টেলিমেডিসিন বা ই-লার্নিংয়ের মতো কিছু সেবা নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে যেগুলো আসলে টাকার অংকে মাপা ঠিক হবে না।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যত টাকা খরচ হয়েছে তা ৯ বছরেই ওঠে আসবে।

বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সব দিক দিয়েই সাহায্য করছে। আশা করা যাচ্ছে খুব তারাতারি বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে উঠতে পারবে।

বিঃদ্রঃ এই নিউজটি প্রথমে অনলাইনে প্রকাশিত হয়। ট্রিকবিডি সকল মেম্বারদের জানানোর জন্য নিউজটি নিজের ভাষার লিখে প্রকাশ করা হয়েছে।

??পোষ্টি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। এবং লাইক দিবেন ??