প্রথমেই বলে রাখি হীরা হচ্ছে প্রকৃতিগত ভাবে প্রাপ্ত সবচেয়ে কঠিন বস্তু কিন্তু দৃঢ়তা খুব কম। কিন্তু বিজ্ঞানের আশীর্বাদে বিজ্ঞানীরা হীরার চেয়েও কঠিন বস্তু কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত করে ফেলেছেন। চলুন কাঠিন্যের ক্রমানুসারে দেখা যাক বস্তু গুলির কিছু নাম-
●কার্বইন(CARBYNE): এখনও অবধি জানা সবচেয়ে কঠিন বস্তু হলো এটি। এটি গ্রাফিনের চেয়েও ২ গুন কঠিন।
●গ্রাফিন(GRAPHENE ): এক স্তরিয় পরমাণু বিশিষ্ট কার্বনের আস্তরণ হল গ্রাফিন। এটি ইস্পাতের চেয়েও ২০০ গুন কঠিন।
●বাকিপেপার (BUCKYPAPER): ন্যানোটেকনলোজিকৃত এই বস্তুটি মানুষের চুলের চেয়েও ৫০,০০০ গুন সুক্ষ ,নলাকৃতি কার্বন অনুর স্বরূপ এ নির্মিত একটি শিট।এটি হীরার চেয়ে ২গুন কঠিন।
●মেটালিক গ্লাস(METALIC GLASS): এটি তে দৃঢ়তা ও কাঠিন্যের এক অভূতপূর্ব সম্মেলন দেখা যায়।এটি পেলাডিয়াম এর মাইক্রোএলয়।
●ডায়নিমা(DYNEEMA): উচ্চ কার্যকারিতা সম্পন্ন বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পলিথিন ফাইবার এটি। এটি ইস্পাতের চেয়েও ১৫ গুন বেশি কঠিন। এটি বন্দুকের গুলি আটকাতেও সক্ষম। জলের চেয়েও হালকা।
● উড়জাইট বোরোন নাইট্রাইড(WURTZITE BORON NITRIDE): এটি হীরার চেয়ে ১৮% বেশি কঠিন। আগ্নেয় উৎপাতের সময় এটি অল্প পরিমাণে প্রকৃতিগত ভাবে তৈরি হয়, এছাড়া মূলত এটিকে রাসায়নিক পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে এ প্রস্তুত করা হয়।
এছাড়াও আরো আছে।
◆এই সমস্ত বস্তু গুলির কাঠিন্যের সাথে সাথে ওজনে লঘু হওয়ার কারণে আগামী প্রজন্ম এ ইস্পাত কে প্রতিস্থাপিত করবে।
◆কার্বাইন ও গ্রাফিনের তড়িৎ পরিবাহিতা ও তাপ পরিবাহিতা ধর্মের জন্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির দুনিয়াতে আলোড়ন ফেলবে।
◆হালকা ও দৃঢ় হওয়ার জন্য সেনা কর্মীদের সহজে ব্যাবহার যোগ্য বুলেটপ্রুফ জামা দেয়া সম্ভব।
◆চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
◆সৌরশক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রেও ভূমিকা নিতে শুরু করেছে।
◆ডায়নিমা এর ব্যবহার অটুট দড়ি নির্মাণে, জুতা প্রস্তুতিতে, প্রসাধনী নির্মাণে ব্যাবহার করা যায়।
অসিমিত ব্যাবহার এর রাস্তা খোলা আছে।
সুত্রঃ গুগল, উইপিকিডিয়া ৷
ধন্যবাদ ৷
পোস্টি ভালো লাগলে গরিবের ইউটিউব এ সাবস্ক্রাইব করুন You tube Link –
Click Here Subscribe
যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আমার সাইটটি ঘুরে দেখুন একবার ☞ hmvai.com