আজ শিখবো গার্মেন্টস সেফটি কি ভাবে করে বা করবো ?
সবার আগে নিজের নিরপত্তা তারপরে কাজ এটাই গার্মেন্টসের মুল স্লোগান ৷
বিগত কয়েক বছর আগে ২০১৩ সালে ‘রানা প্লাজা’ ধসে পরেছিল বিল্ডিং সেফটি না থাকায় ৷
২৪ এপ্রিল ২০১৩ সকাল ৮:৪৫ এ সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ভবনের কয়েকটি তলা নিচে দেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। এ দূর্ঘটনায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয় যা বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এটা ছিল বাংলাদেশের সব থেকে বড় গার্মেন্টস দুর্ঘটানা গুলোর মধ্যে উন্যতম ৷
‘২০১২-সালে তাজরীন ফ্যাশন’ এ লান্স টাইমে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে
১১২–১২৪ মৃত্যু | |
২০০+ আহত |
তারা কোন সেফটি ট্রেনিং বা অগ্নিকান্ড থেকে নিজেদের রক্ষার কলা কৌশল না জানার জন্য তারা মারা পরেছিল ৷
এরকম আরো ভায়াবহ ঘটনা রয়েছে ৷
কি ভাবে নিজেকে রক্ষা করবো?
- যদি ভূমিকম্পন হয় তাহলে কি করে নিজেকে রক্ষা করবো? তাহলে আপনাকে ভূমিকম্পনের সময় নিরাপদ স্থানে লুকাতে হবে ৷ যেমনঃ পিলার,টেবিলের নিচে ৷ তারপর ভূমিকম্পন থেমে গেলে নির্দিষ্ট জায়গায় জমায়াত হতে হবে বা এ্যসেম্বলি স্থানে জেতে হবে ৷ আগেই বাহিরে/বাসায় যাওয়া যাবে না ৷
- যদি আগুন লাগে তাহলে কি করে নিজেকে রক্ষা করবো ? যদি কোন কারনে আগুন লেগেই যায় তাহলে প্রথমে আপনাকে যে কাজ করতে হবে তা হলো নিরাপদ স্থানে যেতে হবে ৷ নিরাপদ স্থানে যেতে চাইলেই তো আর যাওয়া যায় না ৷ আগুন চারদিক লেগে গেলে আপনাকে কি করতে হবে? দ্রুত গেইট দিয়ে বাহির হতে হবে ৷ যদি চারদিকে ধোয়া হয় তাহলেও মারা পরবেন এজন্য আপনাকে হামা গুড়ি দিয়ে গেইট লক্ষ করে বাহির হতে হবে ৷ গেইট এতো ধোয়ার ভিতরে পাবেন কিভাবে? প্রতিটা গেইট এ হলুদ কালারের বাল্প থাকে যেটা ধোয়ার ভিতরেও দেখা যায় ৷
- মাস্কঃ
নিজের সেফটির জন্য মাস্ক পরা অতীব জরুরী
৷
মাস্ক পড়লে আপনি যে যে উপকার পাবেন:
মাক্স পরার পর যে কোন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা হাত থেকে নিজে রক্ষা পাবো ৷
নিজের ফুসফুস ভালো থাকবে ৷ অন্যজনার রোগ বালা নিঃশ্বাসের সাহায্যে ঢুকতে পারবে না ৷
সুস্থ থাকবো ৷ যে সব রোগ জীবানু বাতাসের ভিতরে ঘুরে বেড়াই, সেই সব রোগ জীবানু হাত থেকে রক্ষা পাবো ৷
মাস্ক না পড়লে কি হবে:
মাস্ক না পড়লে অনেক রোগ ভিতরে প্রবেশ করবে ৷ গার্মেন্টস এর ভিতরে হাজার হাজার ডাস থাকে ৷ ডাস হচ্ছে গার্মেন্টসের বালিকণা যেটা খুব ভায়ানক ৷ ডাস কারো ভিতরে অধিক মাত্রায় প্রবেশ করলে ফুসফুস নস্ট হয়ে যায়, হাপানি ধরে, নিস্বাস নিতে কস্ট হয় ৷ এই জন্য প্রতিদিন কলা খেতে হবে, কলা খেলে ভিতরের সব ডাস কলার সাথে মিক্স হয়ে পাকস্থলিতে যায় আর ফিনিশ হয় ৷
মোট কথা, মাস্ক পরা সবারই জরুরী এটা করলে আপনি বর্তমানে করোনাভাইরাস যার মতন বড় বড় রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন ৷ যেসব রোগ জীবাণু বাতাসের ভিতর ঘুরে ফেরে তাদের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন ৷ শুধু গার্মেন্টস নয় বরং এটা আপনি বাস্তব জীবনে পরার অভ্যাস করুন ৷ আপনার বাড়ির বাহিরে যাওয়ার পরে মাস্ক পড়া উচিত ৷ কেননা বাড়ির বাহিরে অনেক ধুলোবালি কণা থাকে যেগুলো নাক দিয়ে প্রবেশ করলে শরীরে বিভিন্ন রোগ বালা দেখা যায় দেখা যায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷
যেমনঃ যে রাস্তায় বালু থাকে সে রাস্তায় বাহির হলে নাক দিয়ে বালু ঢোকে তারপর পরে দেখা যায় হাচি পায় এবং সর্দিও লাগে ৷ আর যদি মাস্ক পরা থাকে তাহলে নাক দিয়ে ঢুকতেও পারবেনা হাচি সর্দিও পাবেনা ৷
নোটঃ শুধু গার্মেন্টস শ্রমিক নয় বরং সাবার জন্য মাস্ক পরা খুব দরকার ৷
যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আমার সাইটটি ঘুরে দেখুন একবার ☞ hmvai.com
ধন্যবাদ ৷