ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড মানে এটি কোনো ফিজিকাল কার্ড নয়। আপনি শুধু কার্ড এর নাম্বার, এক্সপায়ার ডেট আর সিকিউরিটি কোড পাবেন।ক্ষেত্র বিশেষে কার্ড হোল্ডার নাম এবং বিলিং এড্রেস পাবেন। আপনার জন্য ইস্যু করা কার্ডটি ভার্চুয়াল হলেও অবশ্যই এটি একটি ব্যাংকের আন্ডারে ইস্যু করা হয় যে ব্যাংকের ফিজিক্যালি একজিস্টেন্ট আছে। যেটি পৃথিবীর যেকোনো দেশে হতে পারে। তবে ইউএস এবং ইউকের কিছু ব্যাংক আছে যারা এধরনের সার্ভিস দেয় গ্রাহকদেরকে। যাইহোক, এই কার্ড দিয়ে অনলাইনে পেমেন্টের পাশাপাশি যেকোনো ভেরিফিকেশন করতে পারবেন যেমনঃ পেপাল কার্ড ভেরিফিকেশন। তবে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন শুধু কিন্তু কোন যায়গা থেকে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন না। যদি বিলিং এড্রেস এবং কার্ড হোল্ডারের নাম না থাকে তাহলেও এই কার্ড দিয়ে যেকোন একটি নাম দিয়ে যেকোনো বিলিং এড্রেসে ইচ্ছামত দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড মূলত দুই ধরনের হয়। রিলোডেবল এবং নন রিলোডেবল।
রিলোডেবল ভার্চুয়াল কার্ড কি?
এর মানে হলো আপনি এই কার্ডে ডলার ঢুকাতে পারবেন নিজের প্রয়োজন মতো। তবে নরমালি ব্যাংক থেকে নেওয়া কার্ডের মতো কোনো ব্যাংকে যেতে হবেনা তার জন্য। কার্ড গুলো যেহেতু ভার্চুয়ালি ইস্যু করা হয় তাই এর জন্য ভার্চুয়াল সিস্টেম থাকে ডলার ঢুকানোর জন্য। যেমনঃ ক্রিপ্টো কারেন্সি। তাদের এড্রেসে ডলার ডলার সেন্ড করে দিলে কিছু সময়ের মধ্যে কার্ডের ব্যালেন্সে ডলার এ্যাড হয়ে যায়। তবে ক্রিপ্টো কারেন্সির ট্রানজেকশন ফি বেশি হয়ওয়ায় এটি অনেকটা ব্যয়বহুল হয়ে যায়।
নন রিলোডেবল ভার্চুয়াল কার্ড কি?
এই কার্ড গুলোতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে ডলার আগে থেকে ঢুকানো থাকে। যেমনঃ ৫,১০,২০,৫০,১০০ বা এমন যেকোনো একাউন্ট। এই নির্দিষ্ট পরিমানের ডলার আপনি খরচ করে ফেললে তারপর এটি আর কোনো কাজে আসবেনা। কার্ডের মেয়াদ থাকা কালীন এই কার্ড এবং ডলার ব্যবহার যোগ্য থাকে।
ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কোথায় কোথায় পেমেন্ট করতে পারবেন?
ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড গুলো মূলত VISA অথরিটি ইস্যু করে থাকে তাই VISA কার্ড যেসব কোম্পানি বা সাইট বা গেটওয়ে এ্যাকসেপ্ট করে আপনি সে সব যায়গায় পেমেন্ট করতে পারবেন খুব সহজেই। যেমনঃ গুগল, এ্যামাজন, নেমচিপ, গোড্যাডি, হোস্টগ্যাটর, রিসেল-বিজ, ফাইবার ইত্যাদি যায়গায়। এছাড়া আপনও এই কার্ড দিয়ে পেপাল কার্ড ভেরিফিকেশন করতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই।
ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড কেনার জন্য একটি ট্রাস্টেড একটি শপ হলো KeyFor.Software
এই কার্ডের সুবিধা কি?
ভার্চুয়াল কার্ডের সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো এই কার্ড ব্যবহার করতে কোনো ধরনের ডকুমেন্ট লাগেনা। যেমন ব্যাংক থেকে কার্ড নিতে গেলে পাসপোর্ট, এনআইডি বা এমন আরও ডকুমেন্ট দেওয়া লাগে এক্ষেত্রে ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে এসব কিছুই লাগবেনা। এই কার্ডের আরও কিছু সুবিধা হলো বেশির ভাগ ওয়েবসাইটে পেমেন্ট করা যায়, ডলারের দাম অনেক সময় ব্যাংকের ডলারের চেয়ে কম টাকায় পাওয়া যায়।
ভার্চুয়াল কার্ডের অসুবিধা কি কি ?
সুবিধার পাশাপাশি অনেক গুলো অসুবিধা ও আছ ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ডের। প্রথমত এই কার্ড গুলো আপনার নামে ইস্যু হবেনা তারপর কোনো সাইটে পেমেন্ট করার পর রিফান্ড নিতে চাইলে সেটি সম্ভব না৷ কারণ এই কার্ডে কোনো ডলার ঢুকেনা গেটওয়ে বা কোম্পানির থেকে। রিলোডেবল হলেও সম্ভব না। আগেই বলেছি রিলোডেবল কার্ড গুলোতে নির্দিষ্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ডলার ঢুকাতে হয়। তাছাড়া অনেক সময় গেটওয়ে পেমেন্ট ডিক্লাইন করে পারে। তবে এটির সম্ভাবনা ১%।