ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আসক্তির ঘটনা এখন আর নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়তই এই ফাঁদে পা দিয়ে জীবন নষ্ট হচ্ছে অনেকের। এখনকার শিক্ষার্থীদের অপ্রত্যাশিত রেজাল্ট এর পেছনে অন্যতম কারণ এই ফেসবুক কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো। এক-সময়কার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান শখ ছিল বইপড়া । কিন্তু এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ফেসবুকে সারাদিন মত্ত থাকাতেই এখন তাদের স্বাচ্ছন্দ। আপনাকে ভূলে যে তারা নিজেকেই ধ্বংস করছে সেকথা আজকে তারা ভূলে প্রায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নতুন একাউন্ট ক্রিয়েট করার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বাধা না থাকায় ইচ্ছেমতো সবাই নতুন একাউন্ট ক্রিয়েট করে সময় অপচয় করছে এই ফাঁদ গুলোতে। আমরা সবাই জানি যে , প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়া গুলো আপডেট হচ্ছে এবং নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে ব্যবহারকারীরা এর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় এবং এগুলোতে বেশি সময় ব্যয় করতে বাধ্য হয়। পরিতাপের বিষয় হলো, তাদের উদ্দেশ্য যে অনেকাংশেই হাসিল হচ্ছে তা কিন্তু বলার অপেক্ষাই রাখে না। তবে, অনিয়ন্ত্রিত ফেসবুক ব্যবহার যেমন আপনার শরীর-মনের জন্য ক্ষতিকর তেমনি এর সুষ্ঠু ব্যবহার হতে পারে আপনার জ্ঞান অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম। তবে কিভাবে? তারই নিমিত্তে আজকের আলোচনার আকিঞ্চন facebook-youtube কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির লক্ষণ এবং এর কার্যকরী প্রতিকার নিয়ে
? প্রথমত আমাদেরকে অবগত হওয়া একান্তই প্রয়োজন যে ফেসবুক আসক্তি আসলে কি এবং এর লক্ষণ গুলোই বা কি কি আর এই আসক্তির পেছনের মূল হোতা কি?
ফেসবুক আসক্তি কি
এককথায় ফেসবুকের অবাধ ব্যবহার কিংবা অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারই হচ্ছে ফেসবুক আসক্তি। আসক্তির বিভিন্ন তালিকার মধ্যে ফেসবুক আসক্তি নিশ্চয়ই প্রযুক্তি আসক্তির তালিকাভুক্ত।
স্মার্ট ডিভাইস গুলো থেকে চোখ না ফেরানোর যে স্পৃহা তাই হচ্ছে মূলত প্রযুক্তি আসক্তি।
ফেসবুক আসক্তির লক্ষণ সমূহ
? মনে করুন আপনি আপনার নিকটস্থ বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলেন (ধরুন, সিএনজি তে উঠলেন)। কিন্তু আপনি গাড়িতে উঠে বাইরের দৃশ্য উপভোগ কিংবা ফিজিক্সের সূত্র গুলোকে বোঝার পরিবর্তে ডুব দিলেন ফেসবুক নামক গভীর সাগরে। ফলাফল:- গন্তব্যস্থল পেরিয়ে আপনি আরও এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নিজের বাড়ি রেখে শশুরবাড়ি চলে গেছেন। (অতি সাধারণ ঘটনা, অনেকের সাথেই ঘটেছে)।
ফেসবুক আসক্তির অনেকগুলো লক্ষণ এর ভিতরে এটি একটি। কোনো কাজ ছাড়াই ফেসবুকে চলে যাওয়া ফেসবুকের আসক্তির আরেক লক্ষণ। অতিরিক্ত পোস্ট করা ও হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির ভাবমূর্তি এবং প্রতিদিন পোস্ট করা ও এর থেকে দূরে নয়। নিজের প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত পেরেশান হয়ে যাওয়া ও এর অন্যতম প্রতিমূর্তি। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ বিদ্যমান। যেমন:
1. কোন নোটিফিকেশন আসলেই উত্তেজিত হয়ে যাওয়া।
2. কাউকে বন্ধু বানানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা।
3. ফেসবুককে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ কল্পনা করা।
4. ফেসবুক ছাড়া জীবন অচল এমন চিন্তা করা।
5. চ্যাটিং এর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকা।
ফেসবুক আসক্তি কারণ এবং প্রতিকার
ভিডিও স্ট্রিমিং
হ্যাঁ ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় অপচয়ের অন্যতম মূল কারণ এখন এই ভিডিও স্ট্রিমিং। আমি এমন অনেককেই চিনি যারা শুধুমাত্র ভিডিও দেখার জন্য ফেসবুকে যায়। তাই যতোটা সম্ভব ফেসবুকে ভিডিও দেখার পরিমাণটা কমিয়ে দিন আর যদি সম্ভব হয় তাহলে একেবারে বাদ দিয়ে দিন ভিডিও দেখা।
এর জন্য আপনি একটা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
আপনি চাইলে আপনার একাউন্ট কে নিচের ছবির মত বানিয়ে ফেলতে পারেন। তাহলে ভিডিও অপশন টা থাকবে না।
? লক্ষ্য করে দেখুন এখানে ভিডিও অপশন টা নাই। এই অপশনটা না থাকার কারণে যে পরিমাণ সময় আপনি ভিডিও দেখার পেছনে ব্যয় করতেন সে সময়ের অনেকাংশেই আপনি অপচয় রোধ করতে সক্ষম হবেন।
একাজটি করার জন্যে প্রথমে ফেসবুক এপ থেকে সেটিংসে মান। তারপর shortcut থেকে আপনার ইচ্ছা মত অপশন গুলো বাদ দিন। অথবা, ?
Exclude unnecessary groups
অপ্রয়োজনীয়’ গ্রুপগুলো থেকে বের হয়ে আসা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি বিনোদনমূলক যে গ্রুপ গুলো আছে যেগুলোতে শুধুমাত্র হাসিঠাট্টাযই করা হয় সেগুলোতে থাকার কোনো প্রয়োজনীয়তাই উপস্থিত নয়। কারণ এগুলো থেকে আপনি এমন কিছুই শিখতে পারবেন না যেগুলো আপনার জীবনের চলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি beneficial (উপকারী) হবে।
তাই দেখে দেখে অপ্রয়োজনীয় গ্রুপগুলো থেকে leave নিয়ে নিন। শুধুমাত্র ভালো এবং শিক্ষনীয় গ্রুপগুলোর সাথে যুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। যেমন, science, math, religion, English related গ্ৰুপ।
ভালো পেজ ফলো
ফেসবুক আসক্তির অনেকগুলো লক্ষণ এর ভিতরে এটি একটি। কোনো কাজ ছাড়াই ফেসবুকে চলে যাওয়া ফেসবুকের আসক্তির আরেক লক্ষণ। অতিরিক্ত পোস্ট করা ও হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির ভাবমূর্তি এবং প্রতিদিন পোস্ট করা ও এর থেকে দূরে নয়। নিজের প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত পেরেশান হয়ে যাওয়া ও এর অন্যতম প্রতিমূর্তি। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ বিদ্যমান। যেমন:
1. কোন নোটিফিকেশন আসলেই উত্তেজিত হয়ে যাওয়া।
2. কাউকে বন্ধু বানানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা।
3. ফেসবুককে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ কল্পনা করা।
4. ফেসবুক ছাড়া জীবন অচল এমন চিন্তা করা।
5. চ্যাটিং এর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকা।
ফেসবুক আসক্তি কারণ এবং প্রতিকার
ভিডিও স্ট্রিমিং
হ্যাঁ ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় অপচয়ের অন্যতম মূল কারণ এখন এই ভিডিও স্ট্রিমিং। আমি এমন অনেককেই চিনি যারা শুধুমাত্র ভিডিও দেখার জন্য ফেসবুকে যায়। তাই যতোটা সম্ভব ফেসবুকে ভিডিও দেখার পরিমাণটা কমিয়ে দিন আর যদি সম্ভব হয় তাহলে একেবারে বাদ দিয়ে দিন ভিডিও দেখা।
এর জন্য আপনি একটা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
আপনি চাইলে আপনার একাউন্ট কে নিচের ছবির মত বানিয়ে ফেলতে পারেন। তাহলে ভিডিও অপশন টা থাকবে না।
? লক্ষ্য করে দেখুন এখানে ভিডিও অপশন টা নাই। এই অপশনটা না থাকার কারণে যে পরিমাণ সময় আপনি ভিডিও দেখার পেছনে ব্যয় করতেন সে সময়ের অনেকাংশেই আপনি অপচয় রোধ করতে সক্ষম হবেন।
একাজটি করার জন্যে প্রথমে ফেসবুক এপ থেকে সেটিংসে মান। তারপর shortcut থেকে আপনার ইচ্ছা মত অপশন গুলো বাদ দিন। অথবা, ?
Exclude unnecessary groups
অপ্রয়োজনীয়’ গ্রুপগুলো থেকে বের হয়ে আসা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি বিনোদনমূলক যে গ্রুপ গুলো আছে যেগুলোতে শুধুমাত্র হাসিঠাট্টাযই করা হয় সেগুলোতে থাকার কোনো প্রয়োজনীয়তাই উপস্থিত নয়। কারণ এগুলো থেকে আপনি এমন কিছুই শিখতে পারবেন না যেগুলো আপনার জীবনের চলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি beneficial (উপকারী) হবে।
তাই দেখে দেখে অপ্রয়োজনীয় গ্রুপগুলো থেকে leave নিয়ে নিন। শুধুমাত্র ভালো এবং শিক্ষনীয় গ্রুপগুলোর সাথে যুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। যেমন, science, math, religion, English related গ্ৰুপ।
ভালো পেজ ফলো
এর জন্য আপনি একটা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
আপনি চাইলে আপনার একাউন্ট কে নিচের ছবির মত বানিয়ে ফেলতে পারেন। তাহলে ভিডিও অপশন টা থাকবে না।
? লক্ষ্য করে দেখুন এখানে ভিডিও অপশন টা নাই। এই অপশনটা না থাকার কারণে যে পরিমাণ সময় আপনি ভিডিও দেখার পেছনে ব্যয় করতেন সে সময়ের অনেকাংশেই আপনি অপচয় রোধ করতে সক্ষম হবেন।
একাজটি করার জন্যে প্রথমে ফেসবুক এপ থেকে সেটিংসে মান। তারপর shortcut থেকে আপনার ইচ্ছা মত অপশন গুলো বাদ দিন। অথবা, ?
Exclude unnecessary groups
অপ্রয়োজনীয়’ গ্রুপগুলো থেকে বের হয়ে আসা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি বিনোদনমূলক যে গ্রুপ গুলো আছে যেগুলোতে শুধুমাত্র হাসিঠাট্টাযই করা হয় সেগুলোতে থাকার কোনো প্রয়োজনীয়তাই উপস্থিত নয়। কারণ এগুলো থেকে আপনি এমন কিছুই শিখতে পারবেন না যেগুলো আপনার জীবনের চলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি beneficial (উপকারী) হবে।
তাই দেখে দেখে অপ্রয়োজনীয় গ্রুপগুলো থেকে leave নিয়ে নিন। শুধুমাত্র ভালো এবং শিক্ষনীয় গ্রুপগুলোর সাথে যুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। যেমন, science, math, religion, English related গ্ৰুপ।
ভালো পেজ ফলো
আপনি চাইলে গ্রুপ এর পরিবর্তে ভালো ভালো পেজ গুলো ফলো করতে পারেন। তবে অপ্রয়োজনীয়’পেজ গুলো নয়।
Off your notification
শুধু ফেসবুক নয়। ইউটিউব থেকে নিয়ে একদম সবগুলো অ্যাপ এর নোটিফিকেশন অফ করে দেন (বিশেষ প্রয়োজনে দু-একটা অন রাখলে বিশেষ অসুবিধে হবেনা)। কারণ, অনেক সময় দেখা যায় একাংশ লোক শুধুমাত্র নোটিফিকেশন পওয়ার সাথে সাথে ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো সাইট গুলোতে প্রবেশ করে। তাই যতটা সম্ভব অ্যাপ গুলোর নোটিফিকেশন অফ রাখার আকিঞ্চন অব্যাহত রাখুন।
Uninstall Massager App
???
শুনে চমকে উঠেছে। কি বলে! মেসেঞ্জার ডিলিট করে দিব??
হ্যাঁ। করে দেন। বাকিটা একটু পরেই বলছি।
Timing set up
নিঃসন্দেহে বলা যায় ফেসবুকের ভালো ফিচারগুলোর ভিতর এটি একটি। এখান থেকে প্রয়োজনীয় সময় সেটআপ করে নিন তবে অতিরিক্ত নয়। ফলে, নির্দিষ্ট সময় থেকে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করলে আপনি একটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জেনে যাবেন যে, আপনি নিয়ম ভঙ্গ করছেন।
? Setting> your time on Facebook
হ্যাঁ। করে দেন। বাকিটা একটু পরেই বলছি।