ইন্টারনেটের আজব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই স্মরন রাখা প্রয়োজন যে, পৃথিবী নামক এই গ্রহটা নিতান্তই এক আজব কারখানা।
শুন্য থেকে সিন্ধু তে পরিণত হওয়াই হচ্ছে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এরপর কালের বিবর্তনে উত্তপ্ত অবস্থা থেকে আজকের এই অবস্থায় পরিণত হয় এই নীল গ্রহটি। তারপর আসে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব খ্যাত বুদ্ধিমান প্রাণী তথা হোমো স্যাপিয়েন্স। কখনো বা atoms, কখনো বা molecules এর পিছনে ছুটতে ছুটতে একসময় মানুষ আবিষ্কার করে ইন্টারনেট নামক এক মায়াজালের। যাকে ঘিরেই আজকের পৃথিবীর সবকিছু। ইন্টারনেট প্রযুক্তির একটা বৃহৎ অংশ এবং মনে করা হয়ে থাকে, আজকের পৃথিবীতে যে দেশ প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক দিয়ে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে সেই হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর মূল রাজা। ইন্টারনেট যেহেতু তথ্য সমূদ্র-সম এবং বেশিরভাগই সকলের জন্য উন্মুক্ত, তাই শুরু থেকেই এর ব্যবহারকারী বেড়েছে এবং এখনো বেড়েই চলেছে। তার পাশাপাশি পৃথিবী জুড়ে একটা নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তা হলো, ইন্টারনেটে নিজের ক্যারিয়ার নিশ্চিত করা। তবে এটাও মনে রাখা উচিত যে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ। ইন্টারনেটে যত ধরনের আজব কান্ড ঘটেছে তার সবই মানুষ দ্বারা সম্পন্ন।
ইন্টারনেটের আজব বিষয় প্রথম পর্ব।
বর্তমান পৃথিবীর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
জানুয়ারি ২০২২ এর হিসাব অনুযায়ী বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫,১৫২,২৫৪,৫৮৭ জন। অর্থাৎ, ৫.১ বিলিয়ন।
ইন্টারনেট আজব কান্ড
১. পৃথিবীর মানুষ গড়ে প্রতিদিন 6 ঘন্টা 45 সেকেন্ড ইন্টারনেট এর পিছনে ব্যয় করে। এখন আমি ভাবছি অন্য একটা বিষয়। তাহলে বাকি কাজ যেমন পড়ালেখা করার সময় টা কোথায়!
১.৯ বিলিয়ন(ডিসেম্বর ১৮, ২০২১)। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে।
৩. ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের সূত্রানুযায়ী বর্তমান পৃথিবীতে মোবাইল ব্যবহার কারী আছে ৫.২৯ বিলিয়ন।
৪. ৮০% ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিজস্ব মোবাইল ফোন রয়েছে ।
ইন্টারনেটের আজব দুনিয়া
? এমন কোন বিষয় নেই যা আমরা ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করলে পাবো না। তাহলে একটু ভাবুন তো; ইন্টারনেটের পরিধিটা কত ব্যাপক, কতটা বিস্তৃত। এতএব ইন্টারনেট ভর কত হতে পারে, তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
অবাক করা বিষয় হলো; ইন্টারনেটের ভর মাত্র একটা স্ট্রোবেরীর সমান।
? গুগলে প্রতিদিন ৬ বিলিয়নের বেশি সার্চ করা হয়। আমি ভাবছি, মানুষ এতো কি সার্চ করে? আপনার জানা থাকলে কমেন্ট এ জানাবেন।
? 30000 website hacked in per day.
তাই আপনার ওয়েবসাইটের দিকে একটু নজর দিবেন। তাই বলে হ্যাকারদের থেকে বাচার জন্য আপনাকেও যে হ্যাকার হতে হবে তা কিন্তু নয় । আপনার একটু সতর্কতাই এর জন্য যথেষ্ট।
? প্রতিদিন ইন্টারনেটে চল্লিশ লক্ষের মতো সিঙ্গেল পোস্ট করা হয়।
এবং
¹প্রতি মিনিটে ইউটিউবে 72 ঘণ্টার মতো ভিডিও আপলোড করা হয়। তাই বিষয় টি খুব সহজেই অনুধাবনযোগ্য যে, ইউটিউবে এখন সফল হওয়া বাংলাদেশে একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার থেকে ও বেশি difficult.