প্রিয়, আশা করছি বর্তমান পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়ে ভেতর থেকে সুস্থ আছেন।
আজকে আমরা আলোচনা করবো ব্লকচেইন টেকনোলজিকে নিয়ে।
সবার আগে জানা যাক ব্লকচেইন আসলে কী? ব্লক হলো এক একটা গ্রুপের মতো, সেখানে তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং এই তথ্য ভান্ডার এক ব্লক আরেক ব্লকের সাথে যুক্ত; বলা যেতে পারে চেইন অর্থাৎ শিকলের ন্যায়। এই ব্লক গুলো মূলত পূর্বের ব্লকের হ্যাশ নিয়ে গঠিত এবং এই হ্যাশ গুলো আঙ্গুলের ছাপের ন্যায় ইউনিক হয়ে থাকে।
আপনারা অনেকেই হয়তো বিটকয়েনের নাম শুনে থাকবেন, এই ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে এমন কেউ নেই যে বিটকয়েনের নাম শোনে নাই, বিশ্বের সর্বপ্রথম Open Source ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনকে সৃষ্টি করে Satoshi Nakamoto নামের একজন Anonymous Developer, তার জন্ম ৫ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে এবং তিনি জাপানের নাগরিক; তিনি মূলত বিটকয়েনকে Blockchain Technology এর সাহায্যে সৃষ্টি করেছিলেন।
এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি সারাবিশ্বে দারুন ভাবে রাজ করতে পারে বলে আশা করা যায়; কারণ ব্লকচেইন টেকনোলজি হলো দারুন নিরাপদ, আমি আগেই বলেছি প্রতিটা ব্লকের হ্যাশ গুলো ইউনিক হয়ে থাকে।
যখন কোনো হ্যাকার কারো ক্ষতির উদ্দেশ্য নিয়ে দুই নম্বর ব্লকের তথ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে এবং যখন ওই ব্লকটির তথ্য পরিবর্তন করা হয় তখনই এই ব্লক এর সামনে থাকা দুই নম্বর ব্লক এর তথ্যের সাথে মিলবে না। যদি হ্যাকার তৃতীয় ব্লকের থাকা দ্বিতীয় ব্লকের হ্যাশটিও পরিবর্তন করে তাহলে চতুর্থ ব্লকে থাকা তৃতীয় ব্লকের হ্যাশের সাথে মিলবে না।
ব্লকচেইন টেকনোলজির ধারণা সর্বপ্রথম ১৯৯১ সালের দিকে স্টার্ট হার্বার প্রকাশ করেন আর ২০০৪ সালে দিকে প্রোগ্রামারস গুলো এটি নিয়ে কাজ শুরু করে। নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা এবং ডাটা স্থানান্তরের ক্ষেত্র গুলোতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ব্লকচেইন টেকনোলোজি।
আশা করি সংক্ষিপ্ত রূপে খুবই সহজে ব্লকচেইন টেকনোলজি নিয়ে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং টেকনোলজির সাথেই থাকুন।
আপনি চাইলে আমাকে গিটহাবে ফলো করতে পারেন, আমি সেখানে সাইবার সিকিউরিটি এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং এর টুলস বানিয়ে শেয়ার করে থাকি।