আমরা যারা মোবাইল কিংবা কম্পিউটার ব্যবহারকারী, তারা অবশ্যই সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন শব্দের সাথে পরিচিত।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সফটওয়্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করি। যেমন: ফেসবুক, মেসেঞ্জার ফেসবুক, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ইত্যাদি।
কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো আমাদেরকে কিনে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সেগুলো আমরা কিনি না। বিভিন্ন পাইরেসি ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করি এবং ব্যবহার করি। তাহলে চলুন সফটওয়্যার পাইরেসি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নিই…
• সফটওয়্যার পাইরেসি কি?
মোবাইল এবং কম্পিউটারের মধ্যে কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো কোম্পানি আমাদেরকে ফ্রী প্রোভাইড করে (যেমন: ফেসবুক, মেসেঞ্জার ইত্যাদি), আবার কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো আমাদেরকে কিনে নিতে হয় (যেমন: এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি)। কিন্তু আমরা সেগুলো না কিনে ক্র্যাক করে ব্যবহার করি, মূলত একেই বলা হয় সফটওয়্যার পাইরেসি। মানে অনুমতি ছাড়া তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করা।
প্রতিটি সফটওয়্যার কোম্পানি তাদের সফটওয়্যারের লাইসেন্স আইনিভাবে করে রাখে। যার ফলে ওই সফটওয়্যার এর মালিক শুধুমাত্র ওই কোম্পানিই হবে। অন্য কেউ তাদের অনুমতি ছাড়া ওই সফটওয়্যারের কোন ধরনের মডিফাই করতে পারবে না।
কিন্তু আমরা বিভিন্ন হ্যাকিং টুলস ব্যবহার করে পেইড সফটওয়্যার গুলো ক্র্যাক করে ব্যবহার করি। এতে করে সফটওয়্যার কোম্পানি গুলোর অনেক লস হচ্ছে।
• সফটওয়্যার কোম্পানি কিছু করে না কেন??
অনেকেই মনে করে আমরা যে কোম্পানির সফটওয়্যার ক্র্যাক করে ব্যবহার করি, তারা হয়ত জানেই না। মূলত কিন্তু তাদের কাছে আপনাদের সম্পূর্ণ ডাটা থাকে। তাহলে তারা কিছু করে না কেন?
মনে রাখবেন পুরো পৃথিবী এখন প্রতিযোগিতার যুগ। পুরো পৃথিবীতে সফটওয়্যার কিনে চালানোর সংখ্যা থেকে সফটওয়্যার ক্র্যাক করে চালানোর সংখ্যা অনেক বেশি। এখন যদি সব কোম্পানি, সফটওয়্যার ক্র্যাক করে চালানো ইউজারদের ব্যান করতে থাকে, তাহলে তাদের ইউজার সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে।
এতে করে কিন্তু তাদের মার্কেট শেয়ার ও অনেকটাই কমে যাবে।
• সফটওয়্যার পাইরেসির ফলে ক্ষতি সমূহ:
১. কম্পিউটার বা মোবাইল হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. আপনার পার্সোনাল ডেটা চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. অন্য কেউ আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার অ্যাক্সেস করতে পারবে।
৪. ক্রাক সফটওয়্যারগুলোতে যদি আপনার ব্যাংকিং ইনফর্মেশন বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন দেন, সেক্ষেত্রে সেগুলো হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
• সফটওয়্যার পাইরেসি থেকে বাঁচার উপায়:
সফটওয়্যার পাইরেসি থেকে বাঁচতে অবশ্যই ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না। আর যদি ব্যবহার করাই লাগে, তাহলে অবশ্যই ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট (যেমন: getintopc ইত্যাদি) থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করুন।
আর যেসব সফটওয়্যারগুলোর দাম কম, সেগুলো কিনে ব্যবহার করুন। আর অবশ্যই যে সকল ডিভাইসে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ইনফর্মেশন সেইভ থাকে, সেগুলোতে ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার না করাই উত্তম।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।