Site icon Trickbd.com

প্রযুক্তির আসক্তি আমাদের বিপদ ডেকে আনছে,প্রযুক্তির আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়।

Unnamed

  • আসসালামুআলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।

বর্তমানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে সকলে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তি ছাড়া সকলে অচল। প্রযুক্তি যেমন আমাদের উপকারে আসছে, তেমনি এই প্রযুক্তি আমাদের বিপদ ডেকে আনছে। প্রযুক্তির আসক্তি যে কত ভয়াবহ তা আপনি হয়তো জানতেছেন না। প্রযুক্তির আসক্তি মাদকের থেকে কোনো অংশ কম না। সকলের উচিৎ প্রযুক্তি দরকারে ব্যাবহার করে, কিন্তু প্রযুক্তির আসক্তি না হওয়া। 
আজকে আপনাদের জানাব, প্রযুক্তি যেভাবে আমাদের বিপদ ডেকে আনছে, এবং প্রযক্তির আসক্তি থেকে কিভাবে মুক্তি পাব, আশা করি সম্পন্ন আর্টিক্যালটি মনোযোগসহকারে পড়বেন।

আগের যুগে কিন্তু প্রযুক্তির এত প্রসার ছিল না। দিন যত যাচ্ছে তত প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। কিন্তু একটি কথা হলো যে জিনিসের উপকারিতা আছে সে জিনিসের আবার বিপরীতে অপকারিতা ও আছে। প্রযুক্তি আমাদের উপকারে ব্যাবহার করা উচিৎ। কখনো এই প্রযুক্তির উপর আসক্তি হওয়া যাবে না। কারন আপনি যদি প্রযুক্তির উপর আসক্তি হয়ে যান,তাহলে আপনার জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। আবার কিন্তু এই প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের জীবন অচল। প্রযুক্তির গুরুত্ব কিন্তু অনেক। একটু ভাবেন, আগের দিনে পায়ে হেটে লোকজন যাতায়াত করত। কত কস্ট হয় চলাচল এর জন্য। কিন্তু এখন কত প্রকার যানবাহন আবিস্কার হয়েছে, সব সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির কারনে। এখন চাইলে কয়েক ঘন্টায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়া সম্ভব।কিন্তু আগে হাজার চেস্টা করলেও যাওয়া যেত না। আগের দিনে কিন্তু এত যন্ত্র ছিল না অপারেশন এর। কিন্তু এখন কত যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে। আগের দিনে কোনো জটিল রোগ হলে মানুষ ৯৮% লোক মারা যেত। কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এখন উন্নত যন্ত্রপাতি আবিস্কার হয়েছে, এখন মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে উন্নত। আগের দিনে চিঠিতে খবর পাঠানো হত,এখন মুহুর্তের মধ্যে মোবাইল ফোনে খবর নেয়া যায়। এসব প্রযুক্তির কারনে সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু অনেকে, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার গেমস,এদিকে বেশি সময় দিচ্ছে যার কারনে তারা প্রযুক্তির দিকে ঝুকে পড়ছে এবং আসক্তি হচ্ছে। আজকাল দেখা যায় ফ্রিফায়ার গেমস এর দিকে ছেলে মেয়ে বেশি আসক্ত, গ্রামে,হাটে, পথে দেখা যায় ছেলেরা মোবাইল এর দিকে চোখ দিয়ে বসে আছে এবং গেমস খেলছে। তারা এত টা আসক্তি হয়ে পড়ছে যে, খাওয়ার সময় টুকু তারা পায় না,সারারাত জেগে এই গেমস খেলে। আসলে তাদের জীবন অন্ধকার। অনেক নিউজ হয়েছে যে ফ্রিফায়ার গেমস খেলতে গিয়ে অনেকে পাগল ও হয়ে গিয়েছে।

এছাড়া ও মোবাইল ফোনে অনেকে আসক্তি হয়ে গেছে,সারাদিন সারারাত জেগে তারা চ্যাটিং করে,ভিডিও দেখে। এটা কিন্তু আসক্তি,আপনি চাইলেও কিন্তু সহজে মোবাইল ফোন ছাড়তে পারবেন না। কারন আপনি আসক্ত হয়ে গেছেন মোবাইল ফোন এর। বাস্তব একটি উদাহরণ দিই, আমাদের এলাকার এক ছেলে ডিফেন্সে চাকুরির জন্য এপ্লাই করেছিল, টিকে গিয়েছিল পরিক্ষায়। কিন্তু মেডিকেলে গিয়ে দেখে তার চোখে সমস্যা, কারন সে ফ্রিফায়ার গেমস খেলতো।এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে, এই প্রযুক্তির উপর আসক্তি তার মুল কারন। আমাদের উচিৎ প্রযুক্তি ভাল কাজে ব্যাবহার করা। আমাদের যতটুকু দরকার তত টুকু প্রযুক্তি আমাদের ব্যাবহার করা উচিৎ। বেশি বেশি ব্যাবহার করলেই আপনি প্রযুক্তির দিকে আসক্ত হয়ে যাবেন। আপনি বিশাল বিপদে পড়ে যাবেন।মাদকদ্রব্য যেমন আসক্ত হলে বের হয়ে আসা অনেক অনেক কঠিন। ঠিক তেমনি এই প্রযুক্তির আসক্ত থেকে বের হয়ে আসা অনেক কঠিন। আপনি নিজেই নিজেকে প্রমান করতে পারেন, আপনি কি সত্যি প্রযুক্তির উপর আসক্তি নাকি। আপনি যদি স্মার্টফোনে গেমস খেলেন বা সারা রাত চ্যাটিং করেন বা গান ও অনলাইনে থাকেন। আপনি ১-২ দিন স্মার্টফোন ছেড়ে থাকুন। দেখুন আপনি পারছেন নাকি। যদি না পারেন তাহলে আপনি ধরে নিবেন, আপনি প্রযুক্তির আসক্ত। যত তাড়াতাড়ি পারবেন প্রযুক্তির আসক্তি থেকে বের হয়ে আসবেন। কারন আপনার জীবন ধ্বংস অনিবার্য। 

 প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আমাদের জীবন অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু এটা তো কেউ মনে রাখে না যে আমি প্রযুক্তির উপর আসক্তি কিনা। যে কথাটি এর আগেও বলেছিলাম যে যে জিনিস যত উপকারি সে জিনিসে তত অপকার ও রয়েছে। প্রযুক্তি আমাদের জীবন সহজ ও আরাম দায়ক করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের এর অপব্যাবহার করা যাবে না কখনো। কারন আপনি অপব্যাবহার করলে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। আরো যত দিন যাবে প্রযুক্তি আরো উন্নত হবে। একটু ভাবুন, আগের দিনে মোবাইল ফোন ছিল সুধু কথা বলার জন্য, এখন সেই মোবাইল ফোন স্মাটফোনে রুপান্তর হয়েছে। এখন সেই স্মার্টফোন দিয়ে গান শোনা,ছবি তোলা,গেমস খেলা সব করা যায়। আগে কম্পিউটার রাখার জন্য বিশাল ঘর লাগলো। এখন ছোট হতে হতে সামান্য টেবিলে রাখা যায়।আবার এখন ব্যাগে ও নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। এই সব প্রযুক্তির কারনে সম্ভব। তাই আমাদের কে প্রযুকির ভাল দিকটা ব্যাবহার করতে হবে।

অনেকে আছে এই প্রযুক্তির আসক্তি থেকে বের হতে চায়। এজন্য আপনাকে চেস্টা করতে হবে। চেস্টা করলে সব সম্ভব। তার পর ও আমি এখন আপনাদের কিছু উপায় বলবো চেস্টা করলে আশা করি সফল হবেন। যারা মোবাইল গেমস বা চ্যাটিং, কম্পিউটার গেমসে আসক্ত,তারা কিন্তু হুট করে চাইলেও বাদ দিতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে ধীরে ধীরে এই সব থেকে সরে আসতে হবে। আপনাকে খেলার মাঠে সময় কাটাতে হবে,এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে হবে। এবং আগের তুলনায় এসব প্রযুক্তিতে সময় কম দিতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে এসব প্রযুক্তির আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারেন। হুট করেই কিন্তু কেই বের হতে পারবে না। আপনি এভাবে চেস্টা করে বের হয়ে আসবেন প্রযুক্তির আসক্তি থেকে। মানুষ চেস্টা করলে সব পারে, আপনি ও চেস্টা করবেন আপনি ও পারবেন এই প্রযুক্তির আসক্তি থেকে বের হতে।
আপনি ভাববেন যে প্রযুক্তির আসক্তি, মাদকের চেয়ে ও ভয়াবহ, এটি ভাবলে অবস্যই আপনি প্রযুক্তির আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া যারা গেমস খেলে ফ্রিফায়ার তাদের উচিৎ এই গেমস না খেলা। কারন খুব মারাত্মক আসক্তি এই গেমস। তাই এই গেমস যাতে তাদের সন্তান না খেলে প্রত্যেক অভিবাবক দের নজরে আনা উচিৎ।  

চেস্টা করলে আশা করি, প্রযুক্তির আসক্তি থেকে আপনিও মুক্তি পাবেন। 

আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-

Sk Shipon