Site icon Trickbd.com

ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেলে যে ভুলগুলো করার কারনে সফল হতে পারেন না,জেনে নিন।

Unnamed

  • আসসালামুআলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।

আমাদের অনেকের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে৷ আসলে আমরা মুলত সেখান থেকে ইনকাম করার জন্য এগুলো খুলে থাকি।আসলে আমাদের ভুলের কারনে আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল ডাউন হয়ে যায়। নিয়ম মেনে কাজ করলে কখনো ডাউন হত না আমাদের সখের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল। আজকে আপনাদের জানাব, আমাদের সখের ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে যে ভুলগুলো করার কারনে ডাউন হয়ে যায়,এবং আমরা সফল হতে পারি না।আশা করি সম্পন্ন আর্টিক্যালটি মনোযোগসহকারে পড়বেন।

আমরা ফেসবুক অথবা ইউটিউব সম্পর্কে ধারনা না নিয়ে আমরা এই সকল প্লাটফর্মে কাজ করে থাকি। আসলে মুলত এটাই বড় সমস্যা। একটা বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে যদি কাজ করা যায়,তাহলে সেটা অনেক ভাল হয়৷ আপনি যদি অভিজ্ঞতা অর্জন না করে কাজ করেন তাহলে আসলে সফলতা অর্জন করা কঠিন মানে অসম্ভব। তাই আমরা যারা অনেকবার ব্যার্থ হয়েছি, তারা যদি অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠে নামি অবস্যই সফল হতে পারবেন।বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সবাই কম-বেশি ইউটিউব অথবা ফেসবুকে বেশি সময় দেয়। আপনি যদি লোকদের দেখার মতো ভাল কিছু উপহার দিতে পারেন,তাহলে আপনি অবস্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন। এমন অনেক লোক আছে এই বাংলাদেশ থেকেও হাজার হাজার, লক্ষ টাকা তারা মাসে ইউটিউব এবং ফেসবুক পেজ থেকে আয় করছেন। এসব প্লাটফর্মে টিকে থাকার জন্য প্রচুর শ্রম দিতে হবে। আপনি যদি আপনার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যান,তাহলে একদিন সফল হবেন। অনেকে আছে একবার ইউটিউব চ্যানেল খুলে কিছুদিন কাজ করার পর ভাইরাল না হওয়ার কারনে ডিলিট করে দেয়। এবং পরে আবার চ্যানেল খুলে ক্সজ করে,কিন্তু তবুও সফল হতে পারে না।আসলে আমাদের ভুলের কারনে আমরা সফল হতে পারি না।এখন ডিজিটাল এই যুগে ফেসবুকে নিয়ম মেনে কাজ করলে অল্প সময়ে সফলতা অর্জন করা যাবে। আপনাকে কাজের দিকে মনোযোগী হতে হবে। আপনি যদি শুধু ইনকাম এর দিকে মনোযোগ দেন,তাহলে আপনাকে দিয়ে ইউটিউব বা ফেসবুকে ইনকাম করা সম্ভব না। আসলে যারা অতিরিক্ত রাগী তাদের দিয়ে এসব প্লাটফর্মে কাজ করা সম্ভব না। সকলে জানেন ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করে টাকা ইনকাম এর জন্য কিছু শর্ত আছে। আপনাকে সে শর্ত আগে পুরন করতে হবে। আপনাকে হাল ছাড়া যাবে না, চেস্টা করলে অবস্যই সফল হতে পারবেন। লোক যা চায় আপনাকে তাই দিতে হবে। আপনাকে প্রথমে ভাবতে হবে, কোন কোয়ালিটি ভিডিও লোকজন ক্রস না করে সম্পন্ন দেখবে। এবং তারপর সে সকল ভিডিও ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে পাবলিশ করতে হবে। ইউটিউব বা ফেসবুকে ভাল কিছু করার জন্য আপনাকে এডিট সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে। এবং ভাল ক্যামেরা ও পিসি/ল্যাপটপ থাকতে হবে। সেই সাথে আপনাকে কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ইউটিউব সম্পর্কে। আপনার যদি ইউটিউবে কাজ করার খুব আগ্রহ থাকে,তাহলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়েও কাজ করে সফল হতে পারবেন। আসলে দরকার ইচ্ছা শক্তি। ইচ্ছা থাকলে সকল কিছু আয়েত্তে আনা যায়। আসলে আমরা যা ভাবি তা কিন্তু নয়,ইউটিউব চ্যানেল থাকলেই লাখ লাখ টাকা আয়। ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুক পেজে আপনি যত পরিশ্রম দিবেন তত আয় হবে।আপনাকে পরিশ্রম এবং অর্থ খরচ করলে সেই সাথে কিছু জ্ঞান কাজে লাগালে অবস্যই আপনি সফল হতে পারবেন।

১) প্রথমত, আমরা যে ভুল বেশি করে থাকি সেটা হলো আমরা আমাদের ফেসবুজ পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করার পর ই, আমাদের ভিডিও আমরা নিজেই দেখা শুরু করে দিই। এই সব ভুলগুলো করার কারনে আমাদের ভিডিও র‍্যাঙ্ক করে না ও ভাইরাল হয় না। অনেকে আবার তার ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার পর, অন্য বন্ধুর ফোন দিয়ে সার্চ দিয়ে ভিডিও দেখা শুরু করে। এবং ভাবে যে এতে উপকার হবে ভিউ হবে ও ওয়াচটাইম বাড়বে। আসলে আপনার চ্যানেল এতে আরো বেশি ক্ষতি হবে।কখনো আপনার চ্যানেল এর ভিডিও নিজে নিজে দেখা উচিৎ না।আপনার ভিডিও বন্ধুদের ও ফোন থেকে দেখবেন না। আপনার আপলোড করা ভিডিও ফেসবুক বা ইউটিউবে অটোমেটিক ইম্প্রেশন হবে। এবং লোকদের কাছে যাবে।যদি বেশি সময় কেউ দেখে তাহলে অবস্যই আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে।

২) দ্বিতীয়, আমরা আমাদের আপলোড করা ভিডিও ফেসবুকে বা ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করে থাকি। আমরা আমাদের আপলোড করার ভিডিও লিংক বিভিন্ন জায়গায় কমেন্ট করে থাকি।এতে আপনার ভিডিও র‍্যাঙ্ক কমে যাবে। আপনি যদি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউবে সফল হতে চান,কখনো আপনার ভিডিও এর লিংক মেসেঞ্জারে বা কমেন্টে কাউকে দিবেন না,এটিকে স্প্যাম বলে। আপনি স্প্যামিং করলে আপনার চ্যানেল ডাউন হয়ে যাবে। কখনো আপনার চ্যানেল বা পেজ ভাইরাল হবে না।আপনি আপনার ভিডিও প্রথম পর্যায়ে কাউকে দিবেন না। এভাবে লিংক শেয়ার করলে স্প্যামিং করলে কখনো আপনার চ্যানেল এর ভিডিও র‍্যাংক করার সুযোগ থাকবে না।

৩) তৃতীয়, আমরা আমাদের ফেসবুক পেজ এর ভিডিও ক্যাটাগরি ভিন্ন সিলেক্ট করে থাকি। এটি অনেক বড় একটি ভুল। কারন, আপনি যে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে ভিডিও আপলোড করবেন,সে ক্যাটাগরির লোকদের কাছে আপনার ভিডিও এর ইম্প্রেশন দিবে। আপনি যদি ভিন্ন ক্যাটাগরি দিয়ে অন্য ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড দেন৷ তাহলে আপনার ভিডিও কখনো ভাইরাল বা র‍্যাংক করার সুযোগ থাকে না। এজন্য আমাদের নিদিষ্ট ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা উচিৎ। এছাড়াও আমরা যে ভুল করে থাকি, সেটা হলো ফেসবুকের ভিডিও রেশিও ইউটিউব এর ভিডিও এর রেশিও এর মতো দিই। ফেসবুক এর ভিডিও রেশিও আলাদা এবং ইউটিউব এর ভিডিও এর আলাদা। আমরা এ বিষয়ে ভাল ভাবে জেনে তারপর ভিডিও আপলোড করব। তাহলে অবস্যই আপনার পেজ বা চ্যানেল র‍্যাংক করবে।

৪) চতুর্থ,ফেসবুক পেজ হোক বা ইউটিউব চ্যানেল হোক,আমরা যে ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করি না কেন। আমরা আজে বাজে ভিডিও আপলোড করে থাকি। লোক জন একটু দেখে চলে যায়। আসলে আমাদের এমন ভিডিও আপলোড করতে হবে, যাতে লোকজন সম্পন্ন দেখে ভিডিও। ভিডিও যদি বেশির ভাগ লোক সম্পন্ন দেখে তাহলে সে ভিডিও ভাইরাল হবার সম্ভবনা বেড়ে যায় অনেক। এছাড়া ও আমাদের ফেসবুক পেজের ভিডিও আমাদের যে ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে পেজ খুলেছি সে একাউন্ট দিয়ে শেয়ার করে থাকি। কখনো এটা করবেন না। 

৫) পঞ্চম, আমাদের ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুক পেজের ভিডিও আপলোড করার পর ভাইরাল হয় না এজন্য আপলোড বাদ দিয়ে দিই। এটি করা উচিৎ না,কারন কখন কোন ভিডিও ভাইরাল হয় এটা বলা মুশকিল।আমাদের উচিত ইউটিউব হোক বা ফেসবুক পেজ হোক।টানা আমাদের ভিডিও আপলোড করে যাওয়া। দেখা যাবে হঠাৎ করে ভিডিও র‍্যাঙ্ক করবে। একটি নিয়ম মেনে অবধারিত আমাদের উচিৎ ভিডিও আপলোড করে যাওয়া।

এরকম আরো অনেক ভুল আছে। এই সকল ভুলগুলো যদি আমরা না করি, এবং ভালভাবে নিয়ম মেনে কাজ করি। তাহলে আমাদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল অনেক এগিয়ে যাবে। এবং ভাল প্রফিট দিবে।

আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-

Sk Shipon