Site icon Trickbd.com

স্মার্টফোনে বেশি এম্বি কাটার কারন ও বেশি এম্বি কাটার হাত থেকে বাঁচার উপায়,জেনে নিন।

Unnamed

  • আসসালামুআলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।

ডিজিটাল এই যুগে আমরা সবাই কম-বেশি স্মার্টফোন ব্যাবহার করে থাকি। অনেকে ওয়াইফাই ব্যাবহার করে এবং অনেকে মোবাইল ডাটা বা এম্বি ব্যাবহার করে থাকে।যারা এম্বি কিনে ব্যাবহার করে থাকে,অনেকের দেখা যায় এম্বি বেশি কাটে।অনেক সময় দেখা যায় ডাটা চালু রাখলেই এম্বি কেটে নেয়। আজকে আপনাদের জানাব, বেশি এম্বি কাটার কারন এবং এর হাত থেকে বাঁচার উপায়।আশা করি সম্পন্ন আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

আগের ফোন গুলোতে দেখা যায় অনেক কম এম্বি লাগত।কিন্তু এখন আপডেট যে ফোনগুলো বাজারে আসছে, সব ফোন গুলোতে ব্যাপক এম্বি কাটে। যাদের বাসায় বা অফিসে ওয়াইফাই নাই এবং যারা এম্বি কিনে ইন্টারনেট চালিয়ে থাকে,তাদের তো বেশি এম্বি কাটলে অনেক সমস্যা। আগের দিনে যখন মোবাইল আবিস্কার হয়েছিল,তখন শুধু কথা বলার জন্য মোবাইল ফোন ছিল। কিন্তু এখন এই মোবাইল ফোন আপডেট হতে হতে, এখন এই মোবাইল ফোন দিয়ে সব করা যায়। গান শোনা,ভিডিও দেখা, ছবি তোলা, ইন্টারনেট ব্রাউজ, ডাউনলোড সহ সকল কাজ এখন এই মোবাইলে করা সম্ভব।আগের সময় ২জি ছিল সব থেকে ভাল নেটওয়ার্ক। ২জি নেটওয়ার্ক দিয়ে মোবাইল ফোনে ইইন্টারনেট ব্রাউজ করত সবাই। তারপর আসলো ৩জি এর যুগ। ২জি থেকে ৩জি অনেক হাই স্পীড ইন্টারনেট। এখন ৩জি থেকে আপডেট হয়ে ৪জি আসলো। ৪জি এখন গ্রাম, শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪জি ইন্টারনেট এখন অনেক হাই কোয়ালিটি নেট। আবার এখন আপডেট হয়ে দেখা যাচ্ছে ৫জি আসবে। পাশের অনেক দেশে নাকি এখন ৫জি নেট চালুও হয়েছে। আমাদের দেশে ৫জি চালু না হলেও, কিন্তু ৫জি মোবাইল ফোন বাজারে পাওয়া যায়। এতে বোঝা যায় ৫জি আমাদের দেশে চালু হতে আর বেশি সময় লাগবে না। ৪জি নেট এখন যে স্পীড, ৫জি আসলে তো আরো দ্বিগুন স্পীড হবে। আসলে দেশ যত উন্নত হচ্ছে, প্রযুক্তির তত প্রসার ঘটছে। আরেকটি কথা না বললেই নয়,ইন্টারনেট যত উন্নত ও আপডেট হচ্ছে, নেট এর এম্বি ও কিন্তু বেশি কাটা হচ্ছে। প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার কারনে আমাদের জীবন অনেক উন্নত হচ্ছে। এবং আমাদের সময় অনেক কম লাগছে। আগের দিনে ১জিবি এম্বি কিনতে ১০০ টাকার উপর লাগতো। কিন্তু এখন এম্বির দাম ও অনেক কমে গেছে।এখন দেখা যায় গ্রাম অঞ্চলে ও ওয়াইফাই নেট এসেছে। এই ওয়াইফাই নেট আসার কারনে এম্বির চিন্তা আর করা লাগে না।আগের স্মার্টফোন গুলোতে তেমন আপডেট আসত না, এবং এজন্য তেমন এম্বি ও লাগে না। প্রযুক্তির উন্নত এর ফলে আমাদের যেমন উপকার হচ্ছে, তেমনি অনেক অপকার ও হচ্ছে। আসলে যে জিনিস উপকার আছে,সে জিনিসের অপকার ও আছে। অনেকের কাছে একটা সমস্যা অনেক বেশি, সেটা হলো মোবাইলে এম্বি কিনে ইন্টারনেট চালাই,এবং এম্বি অনেক বেশি কাটছে। আসলে আমাদের কিছু অসাবধানতার কারনে বেশি এম্বি কাটছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো এখন বেশি আপডেট আনছে, ২-৪ দিন পর পর দেখা যায় আমাদের স্মার্টফোন আপডেট নেয়।আমাদের ফোন অটো আপডেট নেয়ার কারনে আমাদের বেশি এম্বি কেটে নিচ্ছে। আমরা যারা এম্বি কিনে ইন্টারনেট চালাই, আমাদের সাবধান হতে হবে। আমরা যদি একটু মনোযোগ দিই,এবং সাবধান হই তাহলে আমাদের আর বেশি এম্বি কাটবে না।

প্রথমত, আমরা যখন বাজার থেকে স্মার্টফোন কিনে নিয়ে আসি। তখন আমরা পথম মোবাইল এর নেট বা ওয়াইফাই দিয়ে সেটআপ করে ফেলি। এবং আমাদের স্মার্টফোন এর অটো আপডেট এবং প্লে-স্টোরের এপ্স অটো আপডেট অফ করি না৷ এই কারনে আমরা যখন আমাদের স্মার্টফোন এর ডাটা চালু রাখি,তখন আমাদের স্মার্টফোন এর আপডেট অটো নিয়ে নেয়। এবং প্লে-স্টোরের এপ্স অটো আপডেট নিয়ে নেয়। অনেক সময় দেখা যায়, আমাদের ফোনের আপডেট ১ থেকে ২ জিবি হয়ে থাকে।আমরা যখন ডাটা চালু করি, তখন অটো আপডেট নিয়ে নেয়। তাই আমাদের স্মার্টফোন এর অটো আপডেট অফ অফ রাখা উচিৎ। তবে যারা ওয়াইফাই ব্যাবহার করে থাকেন। তারা অটো আপডেট চালু রাখলে সমস্যা নেই। কারন ওয়াইফাই এর তো কোনো লিমিট নেই এম্বির।

এরপর আরেকটা সমস্যা হলো, আমাদের স্মার্টফোন এর অনেক এপ্স ব্যাকগ্রাউন্ড এ থাকে। এবং এম্বি কেটে নেয়। টিকটক,ইউটিউব এরকম অনেক এপ্স আছে,যে গুলো আমাদের মোবাইল এর ব্যাকগ্রাউন্ড এ থাকে এবং এম্বি অটো কেটে নেয়। আমাদের স্মার্টফোন এর সেটিংস এ গিয়ে এপ্স সেটিংস এ গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড এপ্স গুলো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে রিমুভ করা। কারন এই সকল এপ্স অনেক বেশি এম্বি কাটে। যারা ওয়াইফাই ব্যাবহার করে,তাদের তো কোনো সমস্যা নেই। তাই আমাদের উচিৎ যারা এম্বি কিনে নেট ব্যাবহার করেন তারা এই সকল এপ্স না চালানোই ভাল। চালালে ব্যাকগ্রাউন্ড যেন এম্বি না কাটে সেদিকে খেয়াল রাখা।
আমাদের স্মার্টফোনে ডাটা সেভার মুড অন রাখলে ও এম্বি কম কাটবে৷ অনেকের স্মার্টফোনে এই সিস্টেম নেই।তবে যাদের ফোনে এই সমস্যা আছে,তারা এই সিস্টেম অন রাখার চেস্টা করবেন। অনেকে আছে মোবাইল ডাটা সব সময়ের জন্য চালু রাখে। আসলে এই কাজটা করা উচিৎ না।আপনার যখন নেট ব্যাবহার করা দরকার,তখন চালু রেখে চালাবেন। এবং যখন আপনার নেট ব্যাবহার করা দরকার নেই,তখন মোবাইল এর নেট অফ রাখবেন। যারা কম এম্বি কিনে নেট ব্যাবহার করেন, এবং ইউটিউব দেখেন। তারা ইউটিউব এর ভিডিও এর রেজুলেশন কম দিয়ে দেখবেন। এতে করে আপনার এম্বির অনেক কম কাটবে৷ হয়তো ভিডিও এর কোয়ালিটি একটু খারাপ হবে। তবে আপনার এম্বি খরচ ও অনেক কম হবে। অনেকে আবার অনেক বেশি জিবি এম্বি কিনে থাকেন। তাদের হিসাব আলাদা। তাদের এম্বি বেশি কাটলেও সমস্যা নাই।অনেকের এলাকায় নেটওয়ার্ক এর সমস্যা হয়, ৩জি পায় আবার ৪জি হয়ে যায়,এতে এম্বি অনেকটা বেশি কাটে। আমি নিজে এর প্রমান, কারন নেটওয়ার্ক এর সমস্যা হলে আপডাউন হলে এম্বি বেশি কাটে। আসলে আমরা নিজেরা যদি সতর্ক হই, তাহলে আমাদের এত বেশি এম্বি কাটবে না। এছাড়াও আমাদের হটস্পট অন রেখে একটা ডিভাইস থেকে আরেকটা ডিভাইসে নেট সংযোগ দিয়ে নেট চালিয়ে থাকি৷ অনেক সময় দেখা যায় আমাদের হটস্পট এর পাসওয়ার্ড একদম সহজ পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি। ১২৩৪৫৬৭৮,১২৩৪৫৬৭৮৯০, password এরকম পাসওয়ার্ড আমরা আমাদের হটস্পট দিয়ে থাকি। এতে করে অনেকে আছে যারা এরকম ভাবে পাসওয়ার্ড দিয়ে চেস্টা করে। এবং কানেক্ট করে নেট চালায়। এতে আমাদের এম্বি কেটে যায়।
 আশা করি, এই নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনার স্মার্টফোন এর এম্বি খরচ অনেকটা বেঁচে যাবে।

আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-

Sk Shipon