Site icon Trickbd.com

Qualcom snapdragon এর ইতিহাস || আজ পর্যন্ত রিলিজ হ‌ওয়া সকল প্রসেসরের লিস্ট

Unnamed


আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। ট্রিকবিডিতে স্বাগতম জানাই আজকে সবাইকে।

আজকে আমি আলোচনা করতে চলেছি মোবাইলের প্রসেসর জগতের অন্যতম লিডিং কোম্পানি কোয়ালকমকে নিয়ে।কোয়ালকমের Snapdragon প্রসেসরের কথা শোনেনি এমন মানুষজন খুব কমই পাওয়া যাবে। বলা যায় এন্ড্রয়েড এ gaming মানেই Snapdragon এর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গেমারদের পছন্দের তালিকায় থাকা টপ গেমিং ফোনগুলোতে যেমন Asus Rog,Nubia Red magic ফোনগুলো snapdragon প্রসেসর ছাড়া চিন্তা‌ই করা যায় না। আজকে আলোচনা করতে চলেছি কিভাবেই কোয়ালকম প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কিভাবে‌ই বা মোবাইলের প্রসেসর জগতের অন্যতম লিডিং কোম্পানিতে পরিনত হয়

কোয়ালকম হচ্ছে আমেরিকান সেমিকন্ডাক্টর এবং টেলিকমিউনিকেশন উপকরণ নির্মাণ কোম্পানি যারা টেলিকমিউনিকেশন সামগ্রীসহ প্রসেসর বা চিপসেট তৈরী করে।
শুরুটা হয়েছিল ইরউইন জেকবস, অ্যান্ড্রু ভিটারবি, হারভে ওয়াইট, অডেলিয়া কফম্যান, ক্লাইন গিলহাউজেন, অ্যান্ড্রু কোহেন এবং ফ্র্যাঙ্কলিন এনটোনিও এই ৭ জনের হাত ধরে ১৯৮৫ সালে। কোয়ালকম এর সদরদপ্তর হচ্ছে সান ডিয়োগো, ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাস্ট্রে।

এর মধ্যে ফাউন্ডিং কোম্পানির CEO ছিলেন ইরউইন জেকবস যিনি ১৯৮৫-২০০৫ সাল পর্যন্ত তার CEO দায়িত্ব পালন করেন। এরপর কোম্পানিটির হাল‌ ধরেন পল জ্যাকব যিনি ছিলেন তার‌ই সন্তান। শুরু থেকে কোম্পানিটি বিভিন্ন সেক্টরে বিপ্লব আনে।সেলুলার নেটওয়ার্কের Code Division Multiple Access (CDMA) technology কোম্পানিটির অন্যতম সাফল্যগুলোর একটি যেটি বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় নেটওয়ার্ক সিস্টেমের অংশ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। ওয়ারল্যাস সিস্টেম ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে যখন হার্ভি হোয়াইট, ফাউন্ডিং মেম্বারের মধ্যে একজন ওমনিট্রেস স্যাটেলাইট নির্ভর ট্র্যাকিং এবং মেসেজিং সিস্টেম এ প্রধান অবদান রাখেন। এরপর আর কোম্পানিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। এই সাফল্য ছিল কোম্পানিটির একটি মেজর কারন যেটি বিশ্বে ব্যাপক প্রসার লাভ করে।
তবে প্রসেসর ও মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কোয়ালকমের মার্কেট ধরার পিছনে অবদান রয়েছে Dr. Sanjay K. Jha এর।কোয়ালকমের ইন্জিনিয়ার ,চিপ ডিজাইনার, সফটওয়্যার ডেভেলোপার ও টেকনোলজি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ২০০৭ সালে প্রথম কোয়ালকমের মোবাইলের প্রসেসর হিসেবে যাত্রা শুরু করে chipset QSD8250 দিয়ে যেটি ব্যাবহার হয় বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন htc dream এ যেটি T-mobile G1 নামেও সমাদৃত।

এরপর কোয়ালকম একে একে রিলিজ করে snapdragon এর প্রসেসর গুলো যেগুলো বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়।মোবাইল কোম্পানির সাথে চুক্তি এবং একেরপর এক শক্তিশালী chipset এর রিলিজ তাদের মোবাইল ইন্ড্রাস্টিতে শক্ত পজিশন গড়ে দেয়। নিচে তাদের snapdragon processor এর মডেল আর‌‌ রিলিজ ডেট দেয়া হলো:

Snapdragon S1 (2008)
Snapdragon S2 (2010)
Snapdragon S3 (2010)
Snapdragon S4 Play (2012)
Snapdragon S4 Plus (2012)
Snapdragon S4 Pro (2012)
Snapdragon 200 (2013)
Snapdragon 400 (2013)
Snapdragon 600 (2013)
Snapdragon 800 (2013)
Snapdragon 801 (2014)
Snapdragon 805 (2014)
Snapdragon 808 (2015)
Snapdragon 810 (2015)
Snapdragon 820 (2015)
Snapdragon 821 (2016)
Snapdragon 835 (2017)
Snapdragon 845 (2018)
Snapdragon 855 (2019)
Snapdragon 855+ (2019)
Snapdragon 865 (2020)
Snapdragon 865+ (2020)
Snapdragon 870 (2021)
Snapdragon 888 (2021)

বর্তমানে কোয়ালকম ৪০ টি দেশে প্রায় ৪১ হাজার কর্মী নিয়ে কাজ করে।বলা বাহুল্য আগামীর দিনগুলোতেও snapdragon ইউজারদের পছন্দের তালিকার অন্যতম শীর্ষে থাকবে। Snapdragon এর memory-efficiany,multi-tasking হ্যান্ডেল করার ক্যাপাবিলিটি গ্রাহকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় করেছে। আগামীর 5G ডিভাইসগুলোতেও কোয়ালকম প্রশ্নাতীতভাবে প্রভাব বিস্তার করবে।

আজকে এটুকুই। সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা।