কপি পেষ্ট বলতে কী বুঝায়ঃ
সোজা বাংলায় বলতে গেলে অন্যের কষ্ট করে তৈরী করা জিনিষ কোন কষ্ট করা ছাড়াই নিজের বলে চালিয়ে দেয়া।
ধরুন আপনি অনেক গবেষনা করে, অনেক পরিশ্রম করে একটা জিনিষ নিয়ে লিখলেন। লিখতে আপনার মোটামোটি ২-৩ ঘন্টা খরচ হলো। এখন অন্য কেউ সেই লেখা টা আপনাকে কোন কিছু না জানিয়ে ই নিজের বলে চালিয়ে দিলো্… সাথে বিন্দুমাত্র কোন ক্রেডিট ও দিলো না। এটাই কপি যাকে ইংরেজীতে বলা হয় “plagiarism”..
তাছাড়া এরকম ও হতে পারে… কেউ একটা সিক্রেট জিনিষ বের করলো অনেক গবেষনার পর, যেটা সে যায় না তার পারমিশন ছাড়া কেউ শেয়ার করুক কোথাও… সেই জিনিষটা আপনি তাকে ক্রেডিট দিয়ে সবার সাথে শেয়ার করলেন কিন্তু সেই ব্যাক্তির পারমিশন নিলেন না… এটাও অপরাধ।
এখন প্রশ্ন হলো, আমার একটা জিনিষ পড়ে খুব ভালো লাগলো… আমি সেটা সবাইকে জানাতে চাই… কীভাবে জানাবো!
আপনার কাছে কোন আর্টিকেল, নিউজ ভালো লাগলে এবং সেটা সবার কাছে জানানোর মতো হলে অবশ্যই জানাতে পারেন…
- প্রথমেই দেখুন লেখাটা কোন সিক্রেট টপিক কিনা, অন্য কোথাও শেয়ার করতে লেখক এর পারমিশন লাগবে কিনা [পোষ্ট টা পড়লেই সেটা বুঝে নিতে পারবেন.. মূলত নতুন কোন আবিষ্কার ,উদাহরন হিসেবেঃ ফ্রি ইন্টারনেট এর নতুন কোন ট্রিক ধরা যেতে পারে ]
- পারমিশন লাগলে অবশ্যই যেকোন ভাবে পারমিশন নিবেন…
- তারপর লেখাটা নিজে আগে বুঝে পড়বেন এবং কোন শিক্ষনীয় বিষয় হলে আগে পড়ে বুঝে শিখে নিজের মাথায় ঢুকিয়ে নিবেন।
- তারপর লেখাটি সম্পূর্ন নিজের ভাষায় বুঝিয়ে লিখবেন যেন আসল পোষ্ট এর সাথে লেখার দিক দিয়ে কোন মিল না থাকে … ২ টি পোষ্ট এর ভাবগত অর্থ একই হলেও সমস্যা নেই কিন্তু লেখার দিক দিয়ে মিল থাকা যাবে না।[পুরো আর্টিকেল টা বঝে নিজের ভাষায় লিখলে অবশ্যই ২ টার লেখা এক হওয়ার কথা নয়]..
কিছু উদাহরন দেখে নিনঃ
আসল লেখাঃ
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, সোনালী, রূপালী ব্যাংকসহ নয়টি ব্যাংকে পেপাল সেবা পাওয়া যাবে। বেশ কিছুদিন ধরেই পেপাল কর্তৃপক্ষ বাজার যাচাইসহ নানা পরীক্ষা চালিয়েছে। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের কথা ভেবে বাংলাদেশে পুরোপুরি পেপাল সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা উপকৃত হবেন। এ ছাড়া রেমিট্যান্স আসার হার বাড়বে। ডিজিটাল ট্রানজেকশন বাড়বে।
বুঝে আবার নতুন ভাবে লেখাঃ
বাংলাদেশে এখন অনলাইন ফ্রী ল্যান্সিন অত্যন্ত জনপ্রিয়… অনলাইনে লেনদেন এর পরিমান ও বেড়েছে প্রচুর। তাই পেপাল বাংলাদেশকে এখন সম্ভাবনাময় ভাবছে এবং সেই ভাবনা থেকে বাংলাদেশে তারা তাদের সার্ভিস সম্পূর্ন রূপে চালু করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে লেনদেন সাথে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমান ও অনেক বাড়বে বলে আশা করা যায়। তথ্য প্রতি মন্ত্রীর কাছ থেকে জানা যায় বাংলাদেশের ১১ টি ব্যংকে এই পেপাল এর সার্ভিস পাওয়া যাবে।
দেখুন উপরের ২ টি লেখার ভাবগত অর্থ সম্পূর্ন রূপে এক কিন্তু ভাষাগত লেখাটা আলাদা। সুতরাং দ্বিতীয় লেখাটিকে কপি পেষ্ট বলা যাবে না।
এইভাবে কোন জিনিষ আগে শিখে, সেটার ভাবগত অর্থ টা বুঝে নিজের ভাষায় লিখে খুব সহজেই আপনি কপি পেষ্ট পরিহার করতে পারেন।
কপি পেষ্ট এর ব্যপারে আর কিছু জানার ইচ্ছ থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন… 🙂