Site icon Trickbd.com

আয়কর রিটার্ন কি? অনলাইনে জিরো রিটার্ন দাখিলের নিয়ম

 


আসসালামু আলাইকুম, আপনারা জানেন যে, টিন সার্টিফিকেটধারীদের আইকর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আপনার যদি টিন সাটিফিকেট থেকে থাকে তবে আপনার জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া অত্যাবশ্যক, অন্যথায় আইন অনুয়ায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


এখন কথা হচ্ছে যাদের Taxable income আছে তারা Tax দিবে আমার তো Taxable income নেই আমি কি করবো? উত্তর: Taxable income না থাকলেও  আপনাকে জিরো রিটার্ন দাখিল করতে হবে। মানে আপনি কোন  ট্যাক্স দিবেন না কিন্তু আপনার বার্ষিক আয় যে ৩লক্ষ টাকার কম সেটা দেখাতে হবে।


যারা এখনো টিন ( TIN) সার্টিফিকেট করেননি তারা এই পোস্টটি দেখতে পারেনঃ টিন সার্টিফিকেট কি এবং কিভাবে তৈরী করবো?



করযোগ্য আয় কি ( Taxable income)?

আইনঅনুযায়ী  বেসিক বেতন ১৬ হাজার বা এর বেশি তাকে আইকর নিয়মের আওতার আইকর রিটার্ন জমা দিতে হবে। আইকর রিটার্ন জমা দেওয়া সময় হচ্ছে ৩০ ই নভেম্বর । মনে রাখবেন আইকর রিটার্ন দাখিল আর কর দেওয়া কিন্তু একই জিনিস নয়। একটু ক্লিয়ার করে বলি যাদের Taxable income ( ৩ লক্ষ টাকার কম)  নেই তাদের কেবল জিরো রিটার্ন দাখিল করলেই হবে কিন্তু যাদের Taxable income ( ৩ লক্ষ টাকার বেশি) আছে তাদের রিটার্ন দাখিল এর পাশাপাশি ওই পরিমান আইকর জমা দিতে হবে।


আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় (২০২২-২০২৩ করবর্ষ)

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় হচ্ছে নভেম্বর ৩০। বিগত অর্থবছরে (জুলাই ২০২১- জুন ২০২২) আপনার করযোগ্য আয়ের উপর কর নির্ধারণ ও কর রিটার্ন দাখিল করতে হয় নভেম্বর ২০২২ মাসের মধ্যে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনার আয়বর্ষ ২০২১-২০২২ এবং করবর্ষ ২০২২-২০২৩।


তবে প্রথমবার যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন, তারা আগামী ৩০ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত বিনা জরিমানায় আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।


তবে করদাতাদের সুবিধার্থে মাঝে মধ্যে রিটার্ন জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি করা হয়। আইনগত ঝামেলা থেকে বাঁচতে সবসময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়াই উত্তম। 


আইকর রিটার্ন জমা দেওয়া সময় বৃদ্ধি করা হলে অনলাইনে প্রফাইল ( Time Extension) থেকেই জেনে নিতে পারবেন।




আপনার যদি করযোগ্য আয় না থাকে তবে পরপর ৩ বছর রিটার্ন দাখিল করে ডেপুটি কমিশনার অফ টেক্স বরাবর আবেদন করে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।




রিটার্ন দাখিলের পূর্বে অবশ্যই যা যা করতে হবেঃ



অনলাইনে জিরো রিটার্ন দাখিলের নিয়ম

যেহেতু সবার রিকুয়েষ্ট ছিল জিরো রিটার্ন দাখিল করার নিয়ম জানানো তাই আজকে আমরা জিরো রিটার্ন দাখিল কিভাবে করতে হয় সেটা জানবো।

এরজন্য প্রথমেই আপনাকে eReturn এর ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে।

 

নোটঃ সবাই একটা কমন ভূল করে থাকেন সেটা হলো TIN certificate করার সময় যে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করেছিল ওই TIN নাম্বার এবং Password দিয়ে এখানে লগিন করার চেস্টা করে। কিন্তু  TIN এবং eReturn এর সার্ভার আলাদা তাই এখানেও আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে।  রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য TIN নাম্বার যেটি TIN certificate এ পেয়েছিলেন –


এবং একটি মোবাইল নাম্বার, মোবাইল নাম্বারটি অবশ্যই একই ব্যাক্তির হতে হবে মানে হচ্ছে যে আইডি কার্ড দিয়ে টিন সার্টিফিকেট করেছেন সেই একই ID card দিয়ে  সিম রেজিষ্ট্রেশন থাকতে হবে। অন্যথায় রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন না।


ধাপ-১ঃ eReturn ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন 


রেজিষ্ট্রেশন করতে E-TIN এর ওয়েবসাইট থেকে eReturn এ ক্লিক করুন অথবা সরাসরি eReturn এর ওয়েবসাটে যেতে হবে।




নিচের মত eReturn এর ওয়েবসাইট থেকে রেজিষ্ট্রেশন এ ক্লিক করুন –



টিন নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং ক্যাপচা পূরন করে Verify করুন –



আপনার দেওয়া নাম্বারে একটি OTP কোড যাবে সেটি নিচের ধাপে বসিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে Submit করুন।





সব ঠিক থাকলে Congratulations মেসেজ পাবেন।



ধাপ-২ঃ ই রিটার্ন সিস্টেমে সাইন ইন


এখনে উক্ত টিন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন-



এখন আপনার তথ্য দেখাবে Save & Continue এ ক্লিক করুন-




থ্রি ডট মেনু থেকে Return submission এ ক্লিক করুন-




ধাপ-৩ঃ  কর নির্ধারন তথ্য- Tax Assessment Information


রিটার্ন ফরমের শুরুতে আমাদের Assessment Information এবং Heads of Income সম্পর্কিত দিতে হবে



Return Scheme : Universal Self

এটি হচ্ছে, আয়কর নির্ধারণের একটি পদ্ধতি- যাকে বাংলায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি বলা হয়।

Assessment Year: 2022-2023

যে অর্থবছরে আমরা আয়কর রিটার্ন দাখিল করব এটি সে অর্থবছর। আমরা সাধারণত পূর্ববর্তী অর্থবছরের ( ১ জুলাই ২০২১ থেকে ৩০ জুন ২০২২) রিটার্ন ৩০ নভেম্বর ২০২২ এর মধ্যে দাখিল করে থাকি। তাই Assessment Year ২০২২-২০২৩ হবে।

Income Year: 2021-2022

যেহেতু গত বছরের আয়কর রিটার্ণ সাবমিট করা হবে সেহেতু এখানে আয়ের বছর হবে ২০২১-২০২২।


Any Taxable Income in the above mentioned income Year :

যদি ২০২১-২২ আয় বছরে আপনি করযোগ্য কোন আয় করে থাকেন, Yes দিবেন।


এখানে অনেকে মনে করতে পারেন, যে আমার আয় ৩ লক্ষ টাকার কম, তাই আমার করযোগ্য আয় নেই, এটি ভুল।


মনে রাখবেন, আপনি যত অল্পই আয় করুন না কেন আপনার আয় করযোগ্য হতে পারে। তবে করযোগ্য আয় যদি বছরে পুরুষের ৩ লক্ষ টাকা ও মহিলার ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কম হয়, আয়কর প্রযোজ্য হবেনা।

তাই, আপনার কোন প্রকার আয় থাকলেই আপনি করযোগ্য আয় (Taxable Income) অপশনে Yes দিবেন।


Any Income which is fully exempted from tax

বাংলাদেশ সরকার কিছু আয়কে সম্পুর্ণভাবে করমুক্ত করেছে। এসব খাত থেকে আপনি যতই আয় করুন না কেন আপনাকে কোন আয়কর দিতে হবেনা।


যেমন, ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সফটওয়ার ও আইটি ব্যবসাসহ আরো অনেক খাত। যদি আপনার এই ধরণের খাত থেকে আয় করে থাকেন, এই অপশনে Yes দিন।


Resident Status: Resident

বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আপনি Resident অপশনটি সিলেক্ট করবেন।

Heads of Income

এটি হচ্ছে আয়ের মূল খাত বা উৎসসমূহ, এখান থেকে শুধুমাত্র আপনার উৎসমূহ বাছাই করবেন।

  • Salaries
  • Interest on Securities
  • Income from House Property
  • Agricultural Income
  • Income from Business and Profession
  • Capital Gain
  • Income from Other Source

আমি যেহেতু স্যালারিভুক্ত তাই স্যালারি সিলেক্ট করলাম।

Any Income from the Following Source:

উপরের মূল উৎস ছাড়াও নিচের কোন উৎস থেকে আপনার আয় থাকলে তাও বাছাই করুন।

 উল্লেখ্য, যদি আপনি রেমিটেন্স আয় করে থাকেন অবশ্যই (Income Earned Outside Bangladesh) এই অপশনটি সিলেক্ট করবেন।

  • As a Partner of Firm
  • As a Member of an AoP
  • Income Earned Outside Bangladesh
  • Income Earned by the Spouse or Minor Children



আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় তাই এটি ফাকা রাখলাম।


এরপর Save and Continue বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যেতে হবে।


ধাপ -৪ঃ আয়ের তথ্য – Income Information



এ ধাপে আপনি যে যে উৎস থেকে আয় করেছেন তার তথ্য দিতে হবে, নিচের ছবিতে লক্ষ করুন।





Additional Information

Location of Main Source of Income- প্রধান আয়ের উৎসের এলাকা এখানে আপনি যে এলাকায় আয় করছেন বা বসবাস করছেন তা দিবেন।

  • City Corporation Area- যদি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় থাকেন
  • Any Other Area- গ্রাম বা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় থাকলে।

War wounded Gazetted Freedom Fighter- যদি আপনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হন টিক দিন।

Person with Disability- যদি আপনি কোন প্রতিবন্ধী হন টিক দিন।

Claim Benefit as a Parent/ Legal Guardian of a Person with Disability- যদি আপনি কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা শিশুর পিতা-মাতা বা আইনত অভিভাবক হয়ে থাকেন এখানে টিক দিন।

Claim Tax Rebate for Investment:

বাংলাদেশ সরকার কিছু বিশেষ ধরনের বিনিয়োগের উপর কর ছাড় (Tax Rebate) দিয়ে থাকে। যদি আপনি এমন কোন খাতে বিনিয়োগ করে থাকেন, কর ছাড়ের জন্য দাবী করতে এই অপশনে টিক দিবেন।

Shareholder Director of a Company:

যদি কোন প্রাইভেট বা পাবলিক লিঃ কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হয়ে থাকেন।

IT10B Requirement

আয়কর রিটার্ন দাখিলের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে IT10B ফরম। 


যদি কোন ব্যক্তি করদাতার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হয়ে থাকে, আবশ্যিকভাবে এই ফরমে তার সম্পদ-দায় ও আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখাতে হবে।

যদি মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকার কম হয়, এটি পূরণ করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে আপনার রিটার্ণ আরো সচ্ছ করতে চাইলে আপনি এটি পূরণ করতে পারেন।


Gross Wealth over 40,00,000?

আপনার টোটাল সম্পত্তি ৪০ লক্ষ টাকার সমপরিমান হলে Yes আর না হলে NO দিন।


Own a Motor Car? 

আপনআর যদি কোন গাড়ি থেকে থাকে তবে Yes আর না থাকলে No দিন।


Have House Property in any City Corporation? 

সিটি করপোরেশন এলাকায় কোন সম্পত্তি  থাকলে Yes এবং না থাকলে No দিন।

IT10B is not Mandatory. Still want to Submit?-

IT10B হচ্ছে সম্পদ-দায় বিবরণী দেখানোর একটি ফর্ম। যদি আপনার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকার কম হয়ে থাকে, এই বিবরণী দাখিল করা বাধ্যতামূলক নয়।


তারপরও আপনি যদি এটি সাবমিট করতে চান, Yes দিন এবং Save & Continue বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।




ধাপ-৫ঃ আয়ের বিস্তারিত তথ্য – Income Details

এ ধাপে আপনার বিভিন্ন আয়ের উৎসসমূহ সিলেক্ট করবেন। যদি আপনার আয়ের উৎস একমাত্র বেতন হয়ে থাকে, ‍Salary বাছাই করবেন। বেতন ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয় করে থাকলে (Income from Other Sources) সিলেক্ট করে Dropdown অপশন থেকে উৎসটি সিলেক্ট করুন। 


আমি যেহেতু আয়ের উৎস স্যালারি দিয়েছিলাম এখন আমাকে স্যালারির বিস্তারিত দিতে হব। 


যেমনঃ Employment Type,Name of office & Designation এগুলো আপনার স্যালারি এবং চাকরি অনুযায়ী পূরন করুন।



Particulars: এটির আন্ডারে অনেকগুলো অপশন রয়েছে Basic pay,house rent allowance, medical allowance, bangla new year allowance & Festivals allowance যেগুলো আপনার বেতনের সাথে সম্পৃক্ত,এগুলোও পূরন করতে হবে।




সব তথ্য দেওয়ার পর Income summery থেকে চাইলে আপনার বাৎসরিক আয়, ব্যায়ের হিসাবটা দেখে নিতে পারবেন। 

Income Summery

 Income Summery তে আপনার বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ও ব্যবসায়িক খরচ দেখতে পারবেন,যেটি উপরের তথ্যের ভিত্তিতে অটো ক্যালকুলেট হয়ে যাবে।


ধরুন, আপনি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে আয় করেন ২ লক্ষ টাকা (বাৎসরিক)। কনটেন্ট তৈরিতে আপনার ব্যয় ৫০ হাজার টাকা, ডিজাইনারের বেতন ১৫ হাজার টাকা, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ বিল ১৫০০ টাকা ।

এক্ষেত্রে আপনার Gross Profit বা মোট আয় হবে ২ লক্ষ টাকা। General, Administrative and Other Expense বাবদ ( ৫০,০০০+১৫০০০+১৫০০)= ৬৬,৫০০ টাকা বাদ দিয়ে নীট আয় (Net Income) হবে ১,৩৩,৫০০ টাকা।


সামারি দেখা শেষ হলে Save and Continue বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।






ধাপ-৬ঃ Rebate – ছাড়
আপনার যদি কোন লাইফ ইন্সুরেন্স, ডিপিএস বা উক্ত ৮ টির ভেতর যেকোন কিছু থেকে থাকে তবে সেটি উল্লেখ করতে হবে।


আমার একটি DPS আছে তাই আমি সেটি উল্লেখ করে দিলাম।

উল্লেখ্য যে,এখানে আমার DPS ছিল Monthly ৫ হাজার করে সেক্ষেত্রে Yearly ৬০ হয় বিধায় আমি কোন ছাড় পেলাম না কারণ ৬০ হাজার বা এর নিচে থাকলে কোন কর দিতে হবেনা।


যদি ৭০ হাজার থাকতো তবে আমি বাড়তি ১০ হাজার করযোগ্য টাকার উপর ছাড় পেতাম।


আমরা যেহেতু জিরো রিটার্ন দাখিল করবো আমাদের এগুলা না বুঝলেও চলবে,বুঝায় জন্য ক্লিয়ার করে দিলাম।





save & Continue এ ক্লিক করে পরের ধাপে যেতে হবে।



ধাপ -৭: ব্যয়ের তথ্য – Expenditure

এ ধাপে ব্যয়ের তথ্য দিতে হবে। যদি আপনার মোট সম্পদ ৪০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হয়, অবশ্যই ব্যয়ের তথ্য বিবরণী আকারে পূরণ করতে হবে। এজন্য IT10B ফরম টি অবশ্যই পূরণ করতে হবে। ফরমটি পূরণের জন্য Yes দিন।


যদি আপনার মোট সম্পদ ৪০ লক্ষ টাকার কম হয়ে থাকে, আপনাকে এটি পূরণ না করলেও চলবে। এক্ষেত্রে আপনার বাৎসরিক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত খরচসমূহের মোট পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে।

আমার মতে আমাদের সবারি কোন না কোন প্রকার আয় বা সম্পদ রয়েছে তাই এটি পূরণ করাই উত্তম। তা না হলে উক্ত সম্পদ অবৈধ বলে গণ্য হবে।




ব্যয়ের তথ্য পুরণ করে, Save and Continue বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।


Assets & Liabilities: এখানে আপনার যদি কোন Business property, Agriculture property & None Agriculture property থাকে সেগুলো উল্লেখ করতে হবে।



দেখানোর জন্য আমি Agriculture property & None Agriculture property যোগ করলাম।



আপনি যত জমি দেখান সমস্যা নাই, ট্যাক্স আসবেনা কারণ আমরা Types of acquisition এ  Inheritance দিব এবং value of the start/end of the income year এ ০ ( শূন্য) দেখাবো।



মানে হচ্ছে উক্ত সম্পত্তি আমি পৈত্তিকসূত্রে পেয়েছি, এটি পাওয়ার জন্য আমাকে কোন টাকা দিতে হয়নি, এর মূল্য অজানা আর এখানে ডিজিট ব্যবহার করা যায়না বিধায়  বছর শেষে মূল্য ০ দেখাবো 


Financial Assets : কোন আর্থিক সম্পদ  থাকলে সেগুলো উল্লেখ করতে হবে।


যেমন আমার  FDR & DPS  আছে তাই সেটি দিয়ে দিলাম।




সেইম ভাবে গোল্ড,মোবাইল, আসবাপত্র বা ক্যাশটাকা থাকলে সেগুলো নিচে দেখাবেন।







সব শেষ আমাদের Summary টা খেয়াল রাখতে হবে।এখানে Difference জিরো রাখতে হবে। কম বেশি হলে উপরে Assets & Liabilities থেকে সম্পদ বা টাকার পরিমান কমিয়ে/বাড়িয়ে Difference জিরো করে নিবেন।




ধাপ-৮: আয়কর ও পরিশোধ – Tax and Payment

যদি আপনি কোন উৎস কর এবং অগ্রিম কর (Source Tax and Advance Tax) পরিশোধ করে থাকেন তা এখানে দেখাতে পারবেন। উৎস কর এবং অগ্রিম কর আপনার মোট পরিশোধ্য কর (Tax Payable) থেকে স্বয়ংক্রীভাবে বাদ যাবে।


এখানে আপনাকে কিছু করতে হবেনা।




যদি আপনার আয়ের উপর কোন কর পরিশোধ করতে না হয়, Payable Amount শুন্য আসবে। যাদের রিটার্নে Payable Tax Amount শুন্য বা Zero হয়, তাদের রিটার্নকে জিরো রিটার্ণ (Zero Return) বা শুন্য রিটার্ন বলে।


যদি payable amount থাকতো তবে Pay now অপশন থেকে পে করতে পারতেন।


এ পর্যায়ে আপনার আয়কর রিটার্ন পূরণ সমাপ্ত হয়েছে। এখন আপনি চাইলে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল (Proceed to Online return) করতে পারেন অথবা রিটার্ন ফরমটির প্রিন্ট কপি নিয়ে সরাসরি আয়কর সার্কেলে জমা দিতে পারবেন।



আমাদের যেহেতু জিরো রিটার্ন তাই আমরা Proceed to online return এ ক্লিক করে পরের ধাপে যাবো।



ধাপ-৯ঃ View return – রিটার্ন দেখুন

এটিই শেষ ধাপ, এতক্ষন আমরা যে তথ্যগুলো দিয়েছি এখানে  সব দেখতে পারবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে নিচের দিকে স্ক্রল করে Verification & Signature এ ঠিক মার্ক দিয়ে Submit return এ ক্লিক করুন।




আবারো আপনাকে Warning দিবে আপনি কি রিটার্ন টি সাবমিট করতে চাচ্ছেন?

এখানে Yes দিব।





সাবমিট হয়ে গেলে আপনার Acknowledgement Receipt ডাওনলোড করার লিংক পেয়ে যাবেন




 Acknowledgement Receipt টি ডাউনলোড করে নিন।



এখন আমরা যে রিটার্ন দাখিল করলাম তার প্রমানস্বরুপ
Tax certificate টি ডাউনলোড করে নিব।



ডাউনলোড করার জন্য প্রফাইল থেকে থ্রিডট মেনুতে গিয়ে Tax Record থেকে Tax Certificate এ গেলেই পেয়ে যাবেন।





ডাউনলোড করার পর নিচের মত আপনার মূল Tax Certificate টি দেখতে পারবেন। 





আজ এখানেই শেষ করছি,বুঝানোর আরো অনেক কিছু ছিল কিন্তু কনটেন্ট অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে তাই আর লিখলাম না।

কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন, উত্তর জানা থাকলে অবশ্যই সমাধান দেওয়ার চেস্টা করবো।





পোস্ট টি প্রথম প্রকাশিতঃ এখানে