এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে
ফেসবুকের কাছে তিনটি অ্যাকাউন্ট
সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
তিনবার অনুরোধের মাধ্যমে এই তিনজনের
তথ্য জানতে চাওয়া হয়। আজ ফেসবুক
প্রকাশিত ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট
রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’-এ বাংলাদেশ
সম্পর্কে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে
সরকারের এ অনুরোধে ফেসবুক সাড়া
দেয়নি বলে ফেসবুকের প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের শেষ ছয় মাসে পাঁচটি অনুরোধের
মাধ্যমে পাঁচজনের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে
তথ্য জানতে চেয়েছিল সরকার। গত বছরের
নভেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০১৪
সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয়
মাসে ফেসবুকের কাছে ১৭টি
অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ
সরকার। মোট সাতটি অনুরোধের মাধ্যমে
আগস্টে ১২ জনের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।
ফেসবুকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে
দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ
সরকারের কোনো অনুরোধে সাড়া দেয়নি
ফেসবুক।
ফেসবুক প্রতি ছয় মাস অন্তর এ প্রতিবেদন
প্রকাশ করে। এতে কোন দেশের সরকার
ফেসবুকের কাছে কী অনুরোধ জানায়, তা
তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য
চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের
তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধে সরকারের কাছ
থেকে তথ্য চাওয়ার হার ১৮ শতাংশ পর্যন্ত
বেড়েছে। গত বছরে দ্বিতীয়ার্ধে ৩৫
হাজার ৫১টি অনুরোধ পেলেও এ বছরের
শুরুতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ২১৪
হাজারে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৫৬৮টি পোস্ট
ফেসবুক সরিয়ে ফেলেছে।
গত বছরে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ছিল ১৪০
কোটি, যা এ বছরে বেড়ে ১৫৫ কোটিতে
পৌঁছেছে।
ফেসবুকের কাছে সরকারিভাবে ফেসবুক
ব্যবহারকারীর পরিচয়, আইপি ঠিকানা বা
অ্যাকাউন্ট ও অনলাইন পোস্ট সম্পর্কিত
তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
সরকারকে বিভিন্ন প্রযুক্তি সেবাদাতা
প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে—মানুষের
মনে এ ধরনের সন্দেহ তৈরি হওয়ায়
প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের স্বচ্ছ রাখতে এ
ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। গুগল, মাইক্রোসফটও ফেসবুকের
মতো সরকারি অনুরোধের তথ্য প্রকাশ করে।