মূল লেখক:-রজার লেনসেলিন গ্রীণ
অনুবাদ:-ইফতেখার আমিন
রবিনহুড। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয়
কাল্পনিক চরিত্র এটি। এর
জনপ্রিয়তা এতই বেগবান যে, কেউ
কেউ মনে করেন, বাস্তবেও
রবিনহুডের উপস্থিতি ছিল। এ যেনো
রূপকথার এক নায়ক। গল্প ও কবিতার এক
কিংবদন্তি ডাকাত। কিন্তু
ডাকাতের সঙ্গে আছে এর মৌলিক
পার্থক্য। ডাকাতদের সাধারণ মানুষ
ঘৃণা করে, কিন্তু রবিনহুডকে সাধারণ
মানুষ ঘৃণা করত না। তিনি ডাকাতি
করতেন ধনীদের ঘরে। যার প্রচুর ধন-
সম্পদ আছে তাদের কাছ থেকে তা
কেড়ে আনতেন। কিন্তু তা নিজে
ভোগ করতেন না। বিলিয়ে দিতেন
গরিবদের মধ্যে। দেশের গরিব এবং
অসহায় মানুষের কাছে রবিনহুড
ছিলেন দেবতাদের মতো। অন্যায়,
দাঁড়ানোর এক মূর্ত প্রতীক ছিলেন
রবিনহুড। চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে
এই রবিন হুডকে নিয়ে রচিত হয়েছে
হাজারো রূপকথা এবং গল্প। আজও এই
রবিনহুডকে নিয়ে লেখা হচ্ছে গল্প,
উপন্যাস। তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ও
টিভি সিরিয়াল। সেগুলো
প্রাচীনকালে যেমন জনপ্রিয়তা
লাভ করেছিল, এখনো জনপ্রিয় হচ্ছে।
রবিনহুডের সহকারী লিটল জন।
তাদের দস্যুবৃত্তির বৈশিষ্ট্য ছিল_
এরা শুধু ধনীদের ঘরে ডাকাতি
করতেন; এবং প্রচুর ধন-সম্পদের অংশ
বিশেষ কেড়ে নিয়ে এসে বিতরণ
করে দিতেন দরিদ্র শ্রেণীর
লোকদের মধ্যে। কখনো হত্যা করতেন
না। তবে কেউ যদি তাদের
বাধাদান বা আক্রমণ করত, তখন তারা
আক্রমণকারীদের প্রতিহত করতেন।
রবিন হুড ছিলেন অসম্ভব রকমের
তীরন্দাজ। তার ধনুকের তীর বন্দুকের
গুলির চেয়েও লক্ষ্যভেদী ছিল।
তিনি চোখ বেঁধেও লক্ষ্যভেদ করতে
ঝোলানো থলিতে ১০০টি করে
তীর থাকত। তার গায়ে ছিল অসম্ভব
রকমের শক্তি। যে কোনো রকমের
যুদ্ধকৌশলে তিনি ছিলেন
পারদর্শী। ইংল্যান্ডের সব সাধারণ
মানুষ ছিল তার গুণমুগ্ধ। যুবকদের
কাছে ছিলেন আশার প্রতীক। The
Legend of Sherwood রবিনহুড নামটি
শুনলেই সবুজ কাপড় পরিহিত এক চৌকস
দস্যু ও তীরন্দাজের ছবি মনের পর্দায়
ভেসে ওঠে।Download here