বিজয় দিবসে মোবাইল সিমকার্ড নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতির উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহকের কাছে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আজ বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান। তারানা হালিম বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিটিআরসি এই বিষয়ে নির্দেশনা দেবে, মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট নম্বরও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
তিনি বলেন, এটা হলে একজন নাগরিকের সম্পূর্ণ ডিজিটাল আইডেনটিটি হবে। এক বা একাধিক সিম ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তা তারই নামে হতে হবে, এভাবে তাকে সিকিউর করতে চাই। সিম ব্যবহার করলে তা বন্ধ করে দেয়া যায়। এছাড়া নম্বরযুক্ত কোনো হ্যান্ডসেট চুরি হলে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। সিম বদলে ফেললেও একজন ফোনকারীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। ভুয়া তথ্য দিয়ে সিম কিনে অপরাধ সংগঠন থেকে বিরত এবং গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার পর সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেন তারানা হালিম।
গত ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের নামে একটি সিমের নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে। পুরান সিম আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন করতে সক্ষম হবো জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, যেহেতু এটা চলমান প্রক্রিয়া। এপ্রিলের পরেও অনেক সিম নিবন্ধন হবে, সেটাও একই প্রক্রিয়ায় হবে।