Site icon Trickbd.com

এবার আবিষ্কার হলো সোনা তৈরির কৃত্রিম কৌশল

Unnamed

অবাক পৃথিবী ডেস্ক: সোনা। হলুদ
রং-এর এই ধাতু নিয়ে পৃথিবীর
বুকে ঘটে গেছে কতই না কাণ্ড।
সোনালি রং-এর মোহে ধ্বংস
হয়েছে রাজ পরিবার থেকে শুরু
করে কত দেশ। সোনার খনির দখল
নিতে যুদ্ধে জড়িয়েছে
শক্তিধরেরা। প্রাণ হারিয়েছেন
কত না মানুষ। নারীর সৌন্দর্য্য
বাড়াতে সোনার চাহিদা সেই
পৃথিবীর আদিকাল থেকেই। মাটি
খুঁড়ে তুলে আনা সেই সোনা এবার
তৈরি হতে চলেছে
পরীক্ষাগারে।

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার
করেছেন পরীক্ষাগারে সোনা
তৈরীর পদ্ধতি।সম্পূর্ন
পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে সোনা
তৈরীর কাঁচামাল বৈদ্যুতিক বর্জ্য
পদার্থ। খুব কম সময়ে কম খরচে এই
সোনা তৈরী করা যাবে। আর
সোনা তৈরীর এই পদ্ধতি স্বীকৃতি
পেলে সারা বিশ্বের অর্থনীতির

চেহারায় আসবে আমূল পরিবর্তন।
বর্তমানে সারা বিশ্বে এক বছরে
৫০মিলিয়ন টনেরও বেশি
বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ হয় যার ৮০
শতাংশ আর কোনও কাজে লাগে
না। সেই বর্জ্যকে কাজে
লাগিয়ে সোনা তৈরীর পদ্ধতি
বের করেছেল কানাডার
সাসকাটচেওয়ান
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর
স্টিফেন ফলি।

প্রফেসর ফলি
বাতিল হওয়া কম্পিউটার চিপস ও
সার্কিটকে এক বিশেষ
তাপমাত্রা ও পরিবেশে
অ্যাকোয়া রেগিয়া নামক
নাইট্রিক অ্যাসিড ও
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের
দ্রবনে বিশেষ পদ্ধতিতে মিশিয়ে
সোনা তৈরী করেছেন। এক
কিলোগ্রাম সোনা তৈরীতে
১০০ লিটার অ্যাকোয়া
রেগিয়ার দ্রবন লাগে বলে
জানিয়েছেন তিনি। আর এই
দ্রবনটি ব্যবহার করা যাবে বহুবার।

গোটা পদ্ধতি শেষ করতে সময়
লাগছে মাত্র ১০ সেকেন্ড। আর

খরচ? মাত্র ৫০ সেন্ট। শুনতে
অবিশ্বাস্য হলেও প্রফেসরের
এমনটাই দাবি। শুধু গোপন
রেখেছেন দ্রবনে ব্যবহার করা
কাঁচামালের পরিমান। তার
গুনাবলি ও দ্রবনের মিশ্রনগুলির
পরিমাপ। স্টিফেন ফলির এই দাবি
স্বীকৃতি পেলে তা পৃথিবীর
অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার
হবে। তবে পৃথিবীর আদি যুগ থেকে
চলে আসা সোনার
রোমান্টিসিজম হারিয়ে যাবে
চিরতরে।

ধন্যবাদ


তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।

(ফেসবুকে আমি)