শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১ রান,
হাতে ৪ উইকেট। ক্রিজে অভিজ্ঞ দুই
ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।
বোলিংয়ে এলেন নিজের প্রথম দুই ওভারে
২০ রান দেওয়া হার্দিক পান্ডিয়া।
প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহর সিঙ্গেল। পরের
দুই বলেই চার মারলেন মুশফিক। তখন ৩ বলে
চাই ২ রান। জয় তো হাতের মুঠোয়। কিন্তু
কে জানত, নাটকের শেষ মঞ্চায়ন যে
তখনো বাকি!
চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করার
চেষ্টায় মুশফিক ক্যাচ দিলেন ডিপ মিড
উইকেটে শিখর ধাওয়ানের হাতে। পরের ফুল
টস বলটি মাহমুদউল্লাহও ছক্কা হাঁকাতে
গিয়ে ধরা পড়লেন রবীন্দ্র জাদেজার
হাতে। অবিশ্বাস্যই বটে, একটি সিঙ্গেল
নিলেই যেখানে স্কোর লেভেল, অভিজ্ঞ
দুই ব্যাটসম্যান কিনা ছক্কা হাঁকাতে
শেষ বলে সিঙ্গেল নিলে অন্তত সুপার
ওভারে গড়াতে পারত ম্যাচ। পান্ডিয়ার
অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে ব্যাটই
ছোঁয়াতে পারলেন না শুভাগত হোম।
মুস্তাফিজুর রহমান দৌড়ে সেই
সিঙ্গেলটিও নিতে পারলেন না। ছুটে এসে
স্টাম্প ভেঙে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি,
মুস্তাফিজ রান আউট।
যেখানে ৩ বলে চাই ২ রান, সেই তিন বলেই
কিনা ৩ উইকেট! টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপের সুপার টেনে বুধবার
বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে জয় হাতের
মুঠোয় পেয়েও বাংলাদেশ হারল ১ রানে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে
এবার নিয়ে নবমবারের মতো ১ রানের হার
দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। তবে লক্ষ্য তাড়া
করতে নেমে শেষ তিন বলে ৩ উইকেট
হারিয়ে হারের ঘটনা এটাই প্রথম!
আর ভারত টি-টোয়েন্টিতে এবার নিয়ে
দ্বিতীয়বার ১ রানের জয় পেল। এর আগে
২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দক্ষিণ
জিতেছিল ১ রানে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১ রানে জয়ের
ঘটনা এবার নিয়ে চতুর্থবার। যেখানে
দুবারই জয়ী দল ভারত।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ১
রানের জয়ের ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালের
ফেব্রুয়ারিতে। সিডনিতে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল
অস্ট্রেলিয়া। আর সর্বশেষটি তো বুধবার
বেঙ্গালুরুতে।