Site icon Trickbd.com

অমিমাংশিত পৃথীবি – পর্ব ১৪ | বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য উন্মোচন !

Unnamed

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের এক প্রান্তে
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আরেক প্রান্তে
পুয়ের্তো রিকো এবং অপর প্রান্তে
ওয়েস্ট
ইন্ডিজের বারমুডা দ্বীপ অবস্থিত।
আটলান্টিক মহাসাগরের রহস্যময় অঞ্চল
হিসেবে ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ যুগ যুগ ধরে
পরিচিত। এটি এমন এক রহস্যময় অঞ্চল,
যেখানে কোনো জাহাজ প্রবেশ করার
পর,
কখনো তা আর ফিরে আসেনি।
অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের ক্যারিবীয়
সাগরে ত্রিভুজ আকৃতির ১১৪ লাখ বর্গ
কিলোমিটারের অঞ্চলটি হচ্ছে বারমুডা
ট্রায়াঙ্গল। এটির এক প্রান্তে
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আরেক প্রান্তে
পুয়ের্তো রিকো এবং অপর প্রান্তে
ওয়েস্ট
ইন্ডিজের বারমুডা দ্বীপ অবস্থিত।
রহস্যময় এই অঞ্চলটির রহস্য উদঘাটন

করতে
পারেনি বিজ্ঞানীরা। সেই কলম্বাসের
সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অঞ্চলটি
রহস্যই থেকে গেছে। বারমুডা
ট্রায়াঙ্গলে
কোনো জাহাজ প্রবেশ করলে তা
রহস্যজনকভাবে কেন যে হারিয়ে যায়,
সেটা অজানা থেকে গেছে।
তবে সম্প্রতি নরওয়ের বিজ্ঞানীরা
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের সমাধানের
লক্ষ্য পৌঁছাতে পেরেছেন বলে এক
প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

বিজ্ঞানীরা নরওয়ের উপকূলে ব্যারেন্টস
সাগরের তলায় কিছু বড় গর্ত বা
আগ্নেয়গিরি মুখের সন্ধান পেয়েছেন,
যেগুলোর বিস্তৃতি আধা মাইল পর্যন্ত
এবং
এগুলোর গভীরতা প্রায় ১৩১ ফুট।
বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস প্রাকৃতিক গ্যাস
থেকে সৃষ্ট উচ্চ চাপের মিথেন গ্যাসের
উদগীরণে এসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৪ সালে রাশিয়ার গবেষক ভ্লাদিমির
পোতাপভ এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ
করেছিলেন, মিথেন গ্যাসের উদগীরণ
সমুদ্রকে উত্তপ্ত করে এবং মিথেনযুক্ত
পানির কারণে জাহাজ ডুবে যায়।
এ যুক্তিকে সামনে রেখে নরওয়ের
গবেষকরা মনে করছেন, নরওয়ের
ব্যারেন্টস
সাগরের তলদেশে আবিস্কৃত মিথেন গ্যাস
সমৃদ্ধ আগ্নেয়গিরি মুখ বা বড় গর্তের
ঘটনার
মতো বারমুডা ট্রায়াঙ্গলেও একই ঘটনা
ঘটে, যেটা জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার
ব্যাখা হতে পারে।