শুধু হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক নয়, ইমেইল আসক্তিও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। সম্প্রতি ব্রিটিশ গবেষকরা এমনই তথ্য জানিয়েছেন। গবেষকরা বলেছেন, মানসিক চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে ইমেইল ব্যবহারের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে।
এ ছাড়া এটি হাইপারটেনশন, থাইরয়েডের সমস্যা, হৃদযন্ত্র অকেজো হওয়া এবং করনারি আর্টারি রোগের কারণ হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এ তথ্য।
লংব্রো ইউনির্ভাসিটির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমির অধ্যাপক টম জ্যাকসন বলেন, ‘কিছু নতুন পদ্ধতির ডিভাইস রয়েছে যা ২৪ ঘণ্টাই নতুন কোনো ইমেইল এলে বার্তা দিতে থাকে। এর ফলে বার বারই ইমেইলের প্রতি ব্যবহারকারীদের নজর যায়, যা তাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে এবং মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। আর এই মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাগুলো। তবে বেশির ভাগ চাকরিজীবী বা ইমেইল ব্যবহারকারী বুঝতে পারে না তারা এই চাপের ভেতরে রয়েছে।’
গবেষণায় বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত শরীরে কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায় ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মানসিক চাপের বিষয়টি বুঝতে পারে না।একপর্যায়ে এই চাপ তাদের খিটখিটে মেজাজের করে তোলে।
ব্রিটেনের অন্যতম ইমেইল বিশেষজ্ঞ টম জ্যাকসন আরো বলেন, ‘যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইমেইল ক্ষতিকারক নয়। তবে বেশিমাত্রায় ইমেইলের ব্যবহার সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি কেবল স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যয়ও বাড়িয়ে দিতে পারে।’
গবেষকরা বলেন, ‘খুব প্রয়োজন ছাড়া ইমেইলের দিকে নজর না দেওয়াই ভালো। বার বার নতুন ইমেইল চেক করা থেকে বিরত থাকুন। এ ছাড়া অফিসগুলোতেও ইমেইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন গবেষকরা।’