পৃথিবীতে কত রহস্যই না আজ পর্যন্ত আমাদের
কাছে রহস্যই রয়ে গেছে। কিন্তু এর মধ্যে
এমন কিছু রহস্য আছে যা আমাদের শরীরকে
ঠান্ডা করে দিয়ে যায়। আজ আপনাদের এমন ৭টি
রহস্যের কথা জানাব যা শুধু রহস্যেই ঘেরা নয়,
ভয়ঙ্কর সব ঘটনাও বটে। তাহলে চলুন শুরু করা
যাক।
০১) SS Ourang Medan:
১৯৪৭ সালের জুন মাস, একটা জাহাজ মালয়শিয়া যাচ্ছিল।
হঠাৎ করেই সেই জাহাজ দিয়ে বিপদ সংকেত পাঠান
হয় রেডিওর মাধ্যমে। বিপদ সংকেতে বলা হয়,
“সকল অফিসার ক্যাপ্টেন সহ মারা গেছেন,
সকলেই জাহাজের ব্রিজে শুয়ে আছে। সম্ভবত
জাহাজের সকলেই মারা গেছে।” তারপর কিছুক্ষন
কোন শব্দ নেই, হঠাৎ করে শেষ বার্তা এলো,
“আমি মারা গেছি”।
আমেরিকার একটি জাহাজ “সিলভার ষ্টার”, সে সময়
বিপদ বার্তা পেয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে
আসে। তারা দেখতে পেলেন “SS Ourang
Medan” জাহাজের সকল যাত্রী মারা গেছে
অদ্ভুত ভাবে। সকলেই ঠান্ডায় জমে মারা গেছে
এবং সকলের মুখে ভয়ের চিহ্ন স্পষ্ট ভাবে
বোঝা যাচ্ছিল। তাদের সকলের হাত উঁচু হয়েছিল
এবং সকলেই যেন কোন কিছু ধরার জন্য হাত
বাড়িয়েছে এমনটাই মনে হচ্ছিল। সিলভার ষ্টার
জাহাজটি SS Ourang Medan জাহাজকে বেঁধে
পাড়ের দিকে নিয়ে আসতে থাকে। কিন্তু
পাড়ের খুব কাছে আসার সাথে সাথে বিকট বিস্ফরন
ঘটে SS Ourang Medan জাহাজে এবং জাহাজটি
সমুদ্রে ডুবে যায়। আজ পর্যন্ত এই SS Ourang
Medan জাহাজের রহস্য কেউ উদ্ঘাটন করতে
পারেন নাই।
০২) ক্যারোলিন ওয়াল্টারঃ
১৮৬৭ সালে, জার্মানির ফ্রেইবুর্গ শহরে
ক্যারোলিন ওয়াল্টার মারা যায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে।
ওয়াল্টার কবরের উপরে তার প্রমান আকৃতির তার
মত করে একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়। বিগত ১৪৮
বছর ধরে কোন কেউ একজন মূর্তিটির হাতের
কাছে একই ধরনের একই ফুলের ফুলের তোড়া
প্রতিদিন রেখে যায়। কিন্তু কে এই ফুলের
তোড়া রেখে যাচ্ছে ১৪৮ বছর ধরে তা আজ
পর্যন্ত কেউ জানে না।
০৩) সোডার পরিবারের শিশুঃ
১৯৪৫ সালের বড় দিনের রাতে। হঠাৎ করে আগুন
লেগে যায় সোডার পরিবারের বাড়িতে। জর্জ
এবং জেনি সোডার তাদের ৪জন সন্তান নিয়ে বাড়ি
থেকে বের হতে পারলেও তাদের আরো
পাঁচ সন্তান থেকে যায় বাড়ির মধ্যে। আগুন নিভে
গেলে বাকি পাঁচ সন্তানের লাশ আর খুঁজে পাওয়া
যায় নি। বাড়িটি এত বেশি সময় ধরে আগুন ধরে ছিল
না, যে তা মানুষের শরীরকে সম্পূর্ন ছাইয়ে
পরিনত করে দিবে।
২০ বছর পরে সোডার পরিবারের কাছে একটি
বেনামে চিঠি আসে। আর সেই চিঠিতে ছিল ২০
বছর আগে হাড়িয়ে যাওয়া তাদের পাঁচ সন্তানের
ছবি। আর ছবির পিছনে লেখা ছিল, “Louis Sodder. I
love brother Frankie. Ilil boys. A90132 or 35.”
তার এ নিয়ে অনেক অনুসন্ধান চালালেও তাদের
সেই পাঁচ সন্তানের কোন খোঁজ তারা পাননি।
০৪) Hinterkaifeck:
জার্মানির বার্লিন শহরের ছোট একটি গ্রামে একটি
ফার্মে বসবাস করত আন্দ্রিয়াস গ্রুবার, তার স্ত্রী
কাজিলিয়া, তাদের বিধবা কন্যা ভিকটরিয়া গ্রাব্রিয়েল এবং
ভিক্টরিয়ার দুই সন্তান কাজিলিয়া এবং জোসেফ। আর
থাকত তাদের কাজের লোক মারিয়া। রহস্যজনক
ভাবে এক রাতে তাদের সকলকে কেউ এক
রাতে হত্যা করে।
এই হত্যাকান্ডের পূর্বে পরিবারবর্গ সকলেই
লক্ষ করেছিল যে বাড়ির আশে-পাশে শিকার
চলছে এবং তাদের চালা থেকে অদ্ভুত শব্দ
শোনা যাচ্ছিল। এমন কি ঘরের এক সেট ছাবি তারা
খুঁজে পাচ্ছিল না। খুনের প্রমান হিসেবে পাওয়া যায়
শুধু মাত্র একটি কুড়াল আর আগুনে পুরে যাওয়া কাঠ-
আরো জানান যে, খুনি সকালে বের হয়ে যাবার
পূর্বে ফার্মের সকল পশুকে তাদের দৈনিক খাবার
দিয়ে গিয়েছিল।
০৫) YOGTZE-Fall:
“গান্থার ষ্টল” ছিলেন একজন “খাদ্য প্রকৌশলী”।
১৯৮৪ সালে তার মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার
স্ত্রীকে প্রায়ই বলতেন, “তারা আমার পিছে
লেগে আছে।” তার স্ত্রী কোন দিন তাকে
জিজ্ঞাসাও করেন নাই “তারা” কারা আর এ নিয়ে তিনি
নূন্যতম চিন্তিতও ছিলেন না। যে রাতে গান্থার ষ্টল
মারা যান সেই রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। হঠাত
করেই তিনি চিৎকার করে ওঠেন, “Jetzt geht mir
ein Licht auf!” (এখন আমি বুঝে গেছি!), এবং
চেয়ারের উপর লিখে রাখেন “YOGTZE”। এরপর
তিনি তার গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যান।
সেই রাতেই, আনুমানিক ৩টার দিকে তার মৃতদেহ
খুঁজে পাওয়া যায় তার গাড়ির মধ্যে উলঙ্গ অবস্থায়।
ময়না তদন্তে ধরা পরে যে, মৃতুর আগে তাকে
আঘাত করা হয়েছিল, এমনকি তার গায়ের উপর দিয়ে
গাড়ি চালনাও করা হয়। মৃতুর এই রহস্যের থেকেও
বড় রহস্য হয়ে এখনও রয়ে গেছে “YOGTZE”
শব্দটি। এই শব্দটির মানে এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব
হয় নাই।
বন্ধুরা আজকের মত বিদায় নিলাম। আবার দেখা
হবে অন্য রকম রসহ্য জনক খবর নিনে। সেই
পযন্ত ভালো থাকুন সেই দোয়া করে বিদায়
নিলাম।