ট্রিকবিডির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পর্বভিত্তিক টিউন করতে পেরে নিজের অনেক ভালো লাগছে। আমার লক্ষ্য এই চেইন টিউনের পর্বসংখ্যা ৫০০ পার করা। সবাই দুয়া করবেন।
১৯০৮ সালের ৩০ জুন, সকাল ৭:১৭ মিনিটে
( গ্রিনিচ সময় ০:১৭)।
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বৈকাল হ্রদের উত্তর-
পশ্চিমের দুর্গম পার্বত্য এলাকা টাঙ্গুস্কা নদীর
কাছে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। রাশিয়ার
সাইবেরিয়ার এ এলাকায় জনবসতি নেই বললেই
চলে।
ধারণা করা হয় যে ঐ স্থানের সমুদ্র সমতল
থেকে ৫-১০ কিমি উপরে বায়ুমণ্ডলে মহাশূন্য
থেকে আগত কোন বৃহৎ উল্কা বা ধূমকেতুর
সাথে বায়ুর সংঘর্ষের ফলেই এই বিস্ফোরণ
ঘটেছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কী কারনে বা
কীভাবে এই প্রচণ্ড শক্তিশালী বিস্ফোরণ
ঘটেছিল তা আজও রহস্যে ঘেরা। এটা এখন
পর্যন্ত
ভূপৃষ্ঠে বা ভূপৃষ্ঠের উপরস্থিত বায়ুমণ্ডলে ঘটা
সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণ।
যদিও এই বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল
বায়ুমণ্ডলে ছিল কিন্তু ভূপৃষ্ঠে এর প্রভাব কম
ছিলনা। এই
বিস্ফোরণের শক্তি ছিল হিরোশিমার পারমানবিক
বোমার চেয়ে ১০০০ গুন বেশী।
এ বিস্ফোরণ ঐ স্থানের আশেপাশের ২১৫০
বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে আনুমানিক ৮ কোটি
গাছকে মাটির সাথে শুইয়ে দিয়েছিল।
বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট শক ওয়েভের
প্রভাবে রিখটার স্কেলে ৫.০ মাত্রার ভূ কম্পন
হয়েছিল যা একটি শহর ধবংস করে দেয়ার জন্য
যথেষ্ট। এই ঘটনার পর অনেক বিজ্ঞানী এবং
গবেষক এর কারণ খুজে বের করার চেষ্টা
চালিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর সদুত্তর
পাওয়া যায়নি। আর এই ঘটনাটি আজও এক রহস্যাবৃত
হয়েছে টাঙ্গুস্কা বিস্ফোরণ বা Tunguska
Event।
ঐ স্থানের আশেপাশের অধিবাসীদের ভাষ্য
অনুযায়ী প্রথমে তারা আকাশে একটি সূর্যের
মত উজ্জ্বল নীলাভ আলোর রেখা ছুটে
যেতে দেখে । এর ১০ মিনিট পর ঐ
স্থানটিতে উজ্জ্বল আলোক শিখা দেখতে
পায় এবং এর সাথে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের
শব্দ ভেসে আসে। শব্দের তীব্রতা (শক
ওয়েভ) এতই ছিল যে তা ঐ স্থান থেকে ৩০০
কিমি দূরের
মানুষকেও শক ওয়েভের ধাক্কায় ফেলে
দিয়েছিল।এ বিস্ফোরণ ঐ স্থানের
আশেপাশের ২১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা
জুড়ে আনুমানিক ৮ কোটি গাছকে মাটির সাথে
শুইয়ে দিয়েছিল।
বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট শক ওয়েভের
প্রভাবে রিখটার স্কেলে
৫.০ মাত্রার ভূ কম্পন হয়েছিল যা একটি শহর ধবংস
করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এই ঘটনার পর
অনেক বিজ্ঞানী এবং গবেষক এর কারণ খুজে
বের করার চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু এখন
পর্যন্ত এর সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আর এই ঘটনাটি
আজও এক রহস্যাবৃত ঘটনা হিসেবে রয়ে
গেছে যার নাম দেয়া হয়েছে টাঙ্গুস্কা
বিস্ফোরণ বা Tunguska Event।
ঐ স্থানের আশেপাশের অধিবাসীদের ভাষ্য
অনুযায়ী প্রথমে তারা আকাশে একটি সূর্যের
মত উজ্জ্বল নীলাভ আলোর রেখা ছুটে
যেতে দেখে । এর ১০
মিনিট পর ঐ স্থানটিতে উজ্জ্বল আলোক শিখা
দেখতে পায় এবং এর সাথে প্রচণ্ড
বিস্ফোরণের
শব্দ ভেসে আসে। শব্দের তীব্রতা (শক
ওয়েভ) এতই ছিল যে তা ঐ স্থান থেকে ৩০০
কিমি দূরের
মানুষকেও শক ওয়েভের ধাক্কায় ফেলে
বাড়ি ঘরের সব জানালার কাঁচ ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ
হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মাইল দূরে
কানস্ক ( Kansk) শহরে চলন্ত ট্রেন কেঁপে
উঠে থেমে গিয়েছিল। বিস্ফোরনে পুড়ে
যাওয়ার পর কয়েকদিন ধরে ঐ স্থানে কালো
ছাইয়ের বৃস্টি হয়েছিল।
১০,০০০ কিলোমিটার দূরে লন্ডনে
বায়ুমন্ডলের চাপের তারতম্য ধরা পড়েছিল।
১৯১৪ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ১৯১৭ সালের রুশ
বিপ্লব, গৃহযুদ্ধ ইত্যাদির ভিড়ে টাঙ্গুস্কা
ঘটনাটি চাপা পড়ে। ১৯২১ সালে রাশিয়ার সেন্ট
পিটার্সবার্গ মিউজিয়ামের উল্কা সংগ্রহের প্রধান
কিউরেটর ভ্লাদিমির কুলিকের নেতৃত্বে প্রথম
বৈজ্ঞানিক অভিযান হল টাঙ্গুস্কায়। সাইবেরিয়ার চরম
বৈরী আবহাওয়ায় তার দল সেবার ঘটনাস্থল
কেন্দ্রে পৌছাতে পারে নি। ১৯২৭ সালে
দ্বিতীয়বার অভিযানে এলেন কুলিক। পাহাড়ের
উপর দাঁড়িয়ে কুলিক দেখলেন মাইলের পর
মাইল জুড়ে
ধ্বংসযজ্ঞ। দৈত্যাকৃতি প্রজাপতির আকারের ৮০০
বর্গমাইল এলাকা জুড়ে ধ্বংস প্রাপ্ত বনজঙ্গল।
আশ্চর্যের বিষয় হল উল্কাপিন্ডের
আঘাতে সৃষ্ট কোনো গর্ত খুজে
পেলেন না কুলিক।
লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। এতে পরবর্তীতে লিখতে উৎসাহ পাবো।