Site icon Trickbd.com

মেঘ ছঁুয়ে দেই, আমাদের দার্জিলিং চিম্বুক পাহাড়ে ।

বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুকের পরিচিত
অনেক পুরনো। পাহাড়ের সুর্যদয় ও সুর্যাস্তের দৃশ্যটি অতি চমৎকার।
এ পাহাড় থেকৈ সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের দৃশ্য
যেকাউকে মুগ্ধ করবে।

নীলগিরি যাওয়ার পথে রাস্তার পশ্চিম পাশে
বান্দরবন জেলা শহর থেকে ২৬ কিমি দূরে এই
পাহাড় রাজ্যের অবস্থান। এখানে পাহাড়ের
চূড়া পর্যন্ত রাস্তা করা আছে, গাড়িতে আপনি
উঠে যেতে পারবেন সমুদ্র পৃষ্ট হতে প্রায় ২৩০০
ফুট উপরে। এখান থেকে বঙ্গোপসাগর দেখা
যায়। প্রায়ই নাটক ও বিজ্ঞাপন চিত্রের স্যুটিং
হয় এস্থানটিতে। চিম্বুকের চূড়া থেকে যেদিকে
তাকাবেন দেখতে পাবেন শুধু সবুজ বনানীর
পাহাড়। আরো দেখবেন সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে
প্রবাহিত হওয়া সঙ্খ (সাঙ্গু) নদী। আকাশে মেঘ
থাকলে আপনি ছুয়েও দেখতে পারবেন মেঘের দলকে।

বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। চিম্বুক
সারা দেশের কাছে পরিচিত নাম।
বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২৬
কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়ের

অবস্থান। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায়
৩৫০০ ফুট। চিম্বুক যাওয়ার রাস্তার দুই
পাশের পাহাড়ি দৃশ্য খুবই মনোরম। চিম্বুক
যাওয়ার পথে সাঙ্গু নদী চোখে পড়ে।

পাহাড়ের মাঝে আঁকা বাঁকা পথ বেয়ে
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সড়ক দিয়ে এতে
যাতায়ত মনে হবে গাড়ীতে করে চাঁদের বুকে
পাড়ি জমানোর অনুভূতি। ২৫০০ ফুট উঁচুতে
দাঁড়িয়ে এ অপরুপ বিচিত্র দৃশ্য দেখতে
পাবেন চিম্বুকে।
চিম্বুক পাহাড় থেকে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের
নিচ দিয়ে মেঘ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন
করা যায়। এখান থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন
উপজেলাগুলোকে দেখা যায়। বর্ষা মৌসুমে
চিম্বুক পাহাড়ের পাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া
মেঘ দেখে মনে হয় মেঘের স্বর্গরাজ্য
চিম্বুক। মেঘের হালকা হিম ছোঁয়া যেন মেঘ
ছোয়ার অনুভূতি। চিম্বুককে বাংলার
দার্জিলিং বলা হয়।

কীভাবে যাবেনঃ
চিম্বুক যেতে হলে বান্দরবান শহরের রুমা
বাস স্টেশন থেকে চাঁদের গাড়ি হিসেবে
পরিচিত জীপ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড

রোভার, পাজেরো এবং বান্দরবান-থানছি
পথে যাতায়তকারী বাস ভাড়া নিতে হবে
(স্পেশাল বাস যা দূর্গম পাহাড়ী পথে
চলাচল করতে সক্ষম)। নিজস্ব গাড়ী হলে
ভাল হয়। রাস্তা অত্যান্ত দূর্গম হওয়ায়
বাসে যাতায়ত করা ঝুঁকিপূর্ণ। চাঁদের
গাড়ীতে জন প্রতি ৫০-৬০ টাকা এবং ল্যান্ড
ত্রুজার রির্জাভ ১৫০০-২০০০/-, ল্যান্ড
রোভার, পাজেরো ২১০০-২২০০/- টাকা মত
নিয়ে থাকে। চিম্বুক থানছি পথে বিকেল ৪
টার পরে কোন গাড়ী চলাচল করে না বিধায়
পর্যটকদের ৪ টার মধ্যে ফিরে আসা উচিত।
পোষ্ট টি সর্ব প্রথম আমরাইতো ডট কমে প্রকাশিত হয় । আপনিও আমন্ত্রিত ।