Site icon Trickbd.com

তিলে হতে পারে ক্যানসার ।

প্রত্যেকেরই শরীরে কমবেশি কিছু তিল আছে। সাধারণত ২ থেকে ১০ বছর বয়সের মধ্যেই আমাদের এই তিলগুলো দেখা দেয়। বংশগত কারণ ও সূর্যালোক তিলের পরিমাণকে প্রভাবিত করে।
কালো ত্বকের মানুষদের তিল হওয়ার প্রবণতা কম। তিল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সমতল বা ত্বক থেকে একটু উঁচু। রঙেও ভিন্নতা থাকে—গোলাপি, লাল, বাদামি, নীলচে বা কালো। আকারে কয়েক মিলিমিটার থেকে শুরু করে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিল ক্ষতিকর কোনো বস্তু নয় এবং সারা জীবন একই রকম থেকে যায়।
তবে তিলের আকার-আকৃতি বা রং যেকোনো কিছুর পরিবর্তন লক্ষ রাখা উচিত। বিশেষ করে তিলের নিচের পরিবর্তনগুলো দেখা গেলে চর্মবিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে শিগগির। কেননা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।
* তিলের আকার ৫ মিলিমিটারের বেশি বড় হয়ে গেলে
* সীমারেখা আঁকাবাঁকা ও অস্পষ্ট হলে
* তিল অসমতল হলে
* একই তিলে বিভিন্ন রঙের উপস্থিতি
* রক্তপাত ও চুলকানি
* পুরুত্ব যদি আগের চেয় বেড়ে যায় ইত্যাদি।
তিলের সংখ্যা দেহে ১০০-এর বেশি থাকাও ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত সূর্যালোকে বের হওয়া এবং গর্ভধারণের কারণেও তিলের আকৃতি বা রং অনেক সময় পরিবর্তিত হয়। ডার্মাটোস্কোপির মাধ্যমে নিরাপদ তিল সহজেই চিহ্নিত করা যায়। ডার্মাটোসার্জারির মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত ও চিকিৎসা সম্ভব। সৌন্দর্যের কারণেও অনেকে তিল সরিয়ে ফেলতে চান, এ ক্ষেত্রে লেজার ও কসমেটিক সার্জারি কার্যকর।
প্রকাশিত হয় আমরাইতো ডট কম থেকে ।

Exit mobile version