বাংলাদেশের র্যাংকিং কখনো ৭ কখনো ৫ !
সজ্ঞানে তো বটেই। পূর্বপ্রস্তুতির জন্য সভার দিন দশেক আগেই এজেন্ডা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট সব বোর্ডকে। তিনি নিজেও সেখানে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে ৫ নম্বরে দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন ভুলটা আইসিসির। কিন্তু আইসিসির সভায়ও ৫ নম্বর দেখে উচ্ছ্বসিত নাজমুল রবিবার দেশে ফিরেই সুখবরটি দিয়েছেন দেশবাসীকে।
আইসিসির সভা থেকে ফিরে বোর্ড সভাপতি যখন কোনো তথ্য দেন, তখন সেটি নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। তাই সঙ্গে সঙ্গে টিভি স্ক্রল, অনলাইন নিউজপোর্টাল হয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সুখবরটি। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা থেকে সংবাদকর্মীদের কেউ কেউ যোগাযোগ করেন আইসিসি বরাবর। তাতেই বেরিয়ে আসে সঠিক খবরটি। বাংলাদেশ ৫ নম্বরে আছে ঠিকই, তবে সেটি সব শেষ দুই বছরের সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব মাত্র, যা আইসিসির অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়। মোটেও ক্রিকেট বিশ্বে যে র্যাংকিং স্বতঃসিদ্ধ, তা নয়। তার মানে বাংলাদেশ আছে সেই ৭ নম্বরেই।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৫ থেকে আবার ৭-এ ‘অবনমনে’ একাধিক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেছে। প্রথমত, তথ্যটিই ভুল। দ্বিতীয়ত, দেশের ক্রিকেট প্রধানের তথ্যও ইদানীং যাচাই করতে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের। এবং তৃতীয়ত, আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির আগে গত পরশুই প্রথম র্যাংকিং আগাম জানালেন কোনো বোর্ড সভাপতি। তো, মন্দের ভালো একটাই—যাচাই করে সংবাদকর্মীরা সঠিক খবরটি বের করায় আন্তর্জাতিকভাবে চূড়ান্ত অপদস্থ হতে হয়নি বাংলাদেশকে!
পরশুর ‘ভুল’ কাল দিনভর হুল হয়ে ফুটেছে বোর্ড সভাপতির ইমেজে। কিন্তু ভুলটা কি তাঁর একারই? প্রশ্নটা উঠছেই, কারণ তিনি ছাড়া আরো একজন তো জানতেন র্যাংকিংয়ের আদ্যোপান্ত। তিনি বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। পদের কারণে আইসিসির আলোচ্যসূচি এবং এর বিষয়বস্তু আরো ভালো জানা থাকার কথা তাঁরই। দুবাইয়ে আইসিসির সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন নাজমুল ও নিজাম উদ্দিন। প্রধান নির্বাহী অবশ্য বোর্ড সভাপতির র্যাংকিং সংক্রান্ত মন্তব্যের ব্যাখ্যায় পরশু রাতেই জানিয়েছিলেন, ‘দুটি র্যাংকিংই ঠিক আছে।’ আশ্চর্য, বোর্ড সভাপতির বক্তব্য আর আইসিসির ভাষ্য যদি ঠিক হয়, তাহলে মাশরাফি বিন মর্তুজাদের তো উচিত নিজেদের ৫ নম্বরে ওঠা সেলিব্রেট করা!
কিন্তু তাঁরা কেউ উৎসব করেননি। উল্টো গতকাল মিরপুরে আবাহনী বনাম শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের ফাঁকে জাতীয় দলের এক তারকা মুচকি হেসে মিডিয়ার উদ্দেশে হাতের মুদ্রায় জানতে চেয়েছেন ৫ নাকি ৭! বোধগম্য কারণেই একই ম্যাচ দেখতে মিরপুরে ভিড় করা বোর্ড পরিচালকদের বড়সড় একটি দল দূরে থেকেছে র্যাংকিং সংক্রান্ত আলোচনা থেকে। সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অলস আড্ডা হয়। কিন্তু কাল মিডিয়ার ভিড় থেকে সযতনে তাঁরা সবাই দূরে।
পোষ্ট টি সর্ব প্রথম আমরাইতো ডট কমে প্রকাশিত হয় । মন চাইলে আসতে পারেন আমাদের সাইটে ।