টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর গত ১৫ বছরে
বাংলাদেশ দলকে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ
খেলতে আমন্ত্রণ জানায়নি ভারতীয়
বোর্ড( বিসিসিআই)। তবে সেই
অবস্থান এখন পাল্টাচ্ছে ভারতীয়
বোর্ড। বাংলাদেশের আসন্ন ভারত
সফরে পূর্ব নির্ধারিত ১টি টেস্টের
পাশে বাংলাদেশ দলকে অতিরিক্ত একটি
ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়ার কথা নাকি
গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে বিসিসিআই।
এ বছরের অগস্টে প্রথম ভারত সফর
করার কথা বাংলাদেশের। অগস্টের শেষ
এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে
যে ফাঁকা স্লট রয়েছে, সেখানে
অন্য ফর্ম্যাটের আরও একটি ম্যাচ
করানো যায় কি না তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু
করেছে বিসিসিআই। সম্প্রতি দুবাইয়ে
অনুষ্ঠিত আইসিসি’র সভায় যোগ দিয়ে
বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর সে আশ্বাসই
দিয়েছেন বিসিবিকে।
বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন
বলেন, ‘১টি মাত্র টেস্ট খেলতে
ভারত সফর করবে বাংলাদেশ, এটা শুনতে
অন্য কোনও ফর্ম্যাটের ম্যাচ যুক্ত
করা যায় কি না, বিসিবি’র পক্ষ থেকে এই
প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছিল বেশ কিছুদিন
আগে। আমাদের এই অনুরোধকে
গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বিসিসিআই।’
টেস্টের বাইরে ম্যাচ বাড়লে বোনাস
ম্যাচের সংখ্যাটা একের বেশিও হতে
পারে বলে জানিয়ে সুজন বলেন, ‘৩
ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, অথবা ২
ম্যাচের টি-২০ সিরিজ হলে ভাল হয়। আমরা
এই দু’টি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি।’
ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচিতে অগস্টের
শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের
প্রথম সপ্তাহ, আপাতত এটাই ভারতের
জন্য সুবিধাজনক স্লট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সফরে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ
খেলে দেশে ফিরেই টেস্ট
ম্যাচের পাশাপাশি অন্য একটি সিরিজে ভারত
ক্রিকেটারদের নামিয়ে দেওয়াটা যুক্তি
সংগত হবে কি না, বিসিসিআই নাকি সেটাই
ভেবে দেখছে।
আর একারণেই নাকি আইসিসির সভায়
বিসিবিকে পাকা কথা দিতে পারেনি ভারতীয়
বোর্ড। ভারত সফরে পূর্ব নির্ধারিত
একমাত্র টেস্টের সঙ্গে অন্য
ফর্ম্যাটের ক্রিকেট সিরিজ যুক্ত হলে
পৃথক দুই ফর্ম্যাটের ম্যাচ খেলতে
দু’বার ভারত সফর করতে হতে পারে,
এমন বিকল্প ভাবনাও নাকি আছে
বিসিসিআইয়ের।
অগস্টের শেষ দিকে ভারতের বেশির
ভাগ ভেন্যুতে বৈরি আবহাওয়া থাকে, সে
জন্যই টেস্ট আয়োজনে সুবিধাজনক
ভেন্যু খোঁজার পাশাপাশি সফরটি পিছিয়ে
দেওয়ার কথাও ভাবছে বিসিসিআই। সফরটি
হতে পারে ২ ধাপে, প্রথম ধাপে
টেস্ট খেলে ফিরে আসবে
বাংলাদেশ। পরের ধাপে ওয়ানডে অথবা
টি-২০ সিরিজ খেলতে যাবে তারা।
লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। এতে পরবর্তীতে লিখতে উৎসাহ পাবো।