অফিসে, বাড়িতে কিংবা স্মার্টফোনে ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে চালু আছে আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি বা আইরিস শনাক্ত করার প্রযুক্তি। কিন্তু এসব প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতাও ধরা পড়ছে। আর তাই গবেষকেরা ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত হতে আরও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে তাঁরা নতুন এক বায়োমেট্রিক পদ্ধতির বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন, যা মানুষের মাথার খুলির ভেতর দিয়ে শব্দ পাঠিয়ে আবার তা গ্রহণ করে তার কম্পাঙ্ক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারবে।
গবেষণায় দারুণ সাফল্য পেয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা জানান, ৯৭ শতাংশ সময়েই স্কালকন্ডাক্ট প্রযুক্তি সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছে বলে দেখা গেছে। তবে এর দুটি সীমাবদ্ধতাও পাওয়া গেছে। প্রথমত, ব্যবহারকারী যদি এমন কোনো পরিবেশে থাকেন, যেখানে বাইরের শব্দ প্রচুর, তাহলে বাইরের ওই শব্দ স্কালকন্ডাক্টের ১ সেকেন্ডের শব্দটির পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করা সম্ভব নাও হতে পারে। আর অন্য সীমাবদ্ধতাটি হলো, ব্যবহারকারীর ওজন বৃদ্ধির মতো কারণে মাইকের সংগৃহীত শব্দের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে, যার কারণে ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে।
আশা করা হচ্ছে, গবেষণার পর্যায়ে থাকা স্কালকন্ডাক্ট প্রযুক্তি বাজারে আসার আগে এর দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে। আর তখন যদি এটি মূলধারার সমাধান হয়ে উঠতে নাও পারে, তবে দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হিসেবে এটি ব্যবহার করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান জোসে শহরে আগামী মাসে নির্ধারিত ‘কনফারেন্স ফর হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশন’-এ গবেষণার বিস্তারিত ফলাফল জানানো হবে।
এই পোষ্ট যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে একবার গরিবের সাইট থেকে ঘুরে আসুন। FesTalBD.CoM