বিটকয়েন! একসময়ের সখের বসে মাইন করা এই ডিজিটাল মূদ্রার দাম কি সত্যিই কি আজকের সময়ে ৩৮, ০০০ মার্কিন ডলার?
কোন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাত ধরেই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল মূদ্রার আবির্ভাব। কে বা কারা এরা তা জানা না গেলেও নিজেদের তারা দাবী করে সাতোসি নাকামোতো নামে! যাদের কাছে এক মিলিয়ন বিটকয়েন রয়েছে আর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি মূদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা।
সভ্যতার সূচনা কালে-ই আমাদের পূর্বসূরিরা বিনিময় এর মাধ্যম হিসাবে সোনা রুপা ও দুষ্প্রাপ ঝিনুক এর ব্যবহার শুরু করে এবং এর শত শত বছর পর আধুনিক রাষ্ট্রগুলো কাগজের মুদ্রার প্রচলন করে যার মান নির্ধারন করা হতো সোনার মূল্যে যেটাকে বলা হয় Gold Standard।
কিন্তু ১৯৭১ সালে আমেরিকান সরকার ও অনান্য রাষ্ট্র Gold Standard ত্যাগ করে যার মানে দাঁড়ায় ডলার এর দাম আর সোনা দিয়ে নির্ধারন করা হবে না, তা নির্ধারন হবে সরকার এর নির্দেশ মতে ও সকলের সম্মতিতে। যার ফলে মুদ্রার নিয়ন্ত্রন চলে যায় সরকার ও কেন্দ্রিয় ব্যাংকগুলোর কাছে।
কিন্তু বিটকয়েন এমন এক মুদ্রা ব্যবস্থা যা আপনাকে নিয়ে যাবে শত শত বছর অতিতে, যেখানে আপনার মূদ্রার উপর সরকার ও কেন্দ্রিয় ব্যাংকগুলোর কোন নিয়ন্ত্রন থাকবে না।
বিটকয়েন কি?
বর্তামান সময়ের আলোচিত ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ভার্চুয়াল মুদ্রার একটি হলো বিটকয়েন। যা ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে কাজ করে থাকে।
আলোচিত এই মূদ্রা কে বা কারা আবিস্কার করেছে তা এখন পর্যন্ত নির্ভুল ভাবে জানা সম্ভব না হলেও যারা এটি তৈরি করেছেন তারা নিজেদের পরিচয় দেয় সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) ছদ্মনামে।
২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থা চালু করার পর ইন্টারনেটে একটি White Paper বা গবেষণা পত্র প্রকাশ করে যার শিরোনাম দেওয়া হয় (Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System)
একই মাসে বিটকয়েন নেটওয়ার্ক সম্প্রচার করা হয় এবং সাতোশি নাকামোতো ব্লকচেইনের সর্বপ্রথম ব্লক মাইন করে যা “জেনেসিস ব্লক” নামে পরিচিত।
ঐ বছর সর্বোমোট ১০ লক্ষ্য বিটকয়েন মাইন করেন নাকামোতো এর পর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি।
বর্তমান সময়ে প্রতি বিটকয়েন এর বাজার মূল্য প্রায় ৩৮, ০০০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
Bitcoin And Dollar : Pexels
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে?
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে তা বুঝতে হলে আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি?
এটা সহজে বুঝতে এটিকে একটি ব্যাংকের হিসাব খাতায় লিখে রাখা হিসাব এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। সাধারনত ব্যাংকগুলো গ্রাহকের প্রতিদিন এর লেনদেন হিসাব খাতা বা তাদের সিস্টেমে লিখে রাখে। যা লেনদেন করার সময় বৈধতা যাচাই এর কাজে ব্যবহিত হয়ে থাকে যেমন আপনার একাউন্টে যদি এক লক্ষ্য টাকা থাকে আপনি এক লক্ষ্য টাকাই খরচ করতে পারবেন এর থেকে বেশি কিন্তু পারবেন না। প্রতিবার লেনদেন এর পর পরেই আপনার আগের হিবাস থেকে লেনদেনক্রিত অর্থ বাদ গিয়ে নতুন হিসাব লেখা হচ্ছে।
তবে বিটকয়েন একটু ভিন্নভাবে কাজ করে থাকে। এর উদেশ্যই হলো মুদ্রা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরন, তাই এই মাধ্যমে লেনদেন এর হিসাবগুলো তথ্য কোন নির্দিষ্ট ব্যাংক বা প্রশাসন এর কাছে জমা না থেকে বিটকয়েন নেটওয়ার্কে থাকা প্রত্যেক কম্পিউটারে বিতরন করে দেওয়া হয়।
এই নেটওয়ার্কে চাইলে আপনিও ডুকতে পারবেন শুধু বিটকয়েন সফটওয়্যারটি ইন্সটল করার মাধ্যমে।
যখনই কোন লেনদেন সংগঠিত হয়, নেটওয়ার্কে থাকা প্রতিটি কম্পিউটার জটিল এলগোরিদম এর মাধ্যমে নির্নয় করে থাকে লেনদেনটি বৈধ্য কিনা? যখন প্রত্যকটি কম্পিউটার সম্মতি জানাবে লেনদেনটি বৈধ ছিলো, তখনই লেনদেনটি স্থায়ী ভাবে হিসাব খাতা বা ব্লকচেইনে এন্ট্রি করে রাখা হবে।
যদি কোন নির্দিষ্ট একটা কম্পিউটার বা ব্লক কোন অবৈধ একটি লেনদেনকে বৈধ দেখানোর চেষ্টা করে তবে চেইনে থাকা বাকি সব ব্লক লেনদেনটিকে অবৈধ বা বাতিল করে দিবে।
চেইনে থাকা প্রতিটা ব্লক কিছু নির্দিষ্ট পরিমান লেনদেন এর হিসাব রাখে যা চেইনে থাকা আগের ব্লক এর সাথে যুক্ত থাকে।
এবং এই লেনদেন এর সময় কোন ব্যক্তিগত বা পাবলিক পরিচয় ব্যবহার করা হই না বরং প্রতিটা ব্যক্তির লেনদেন এর জন্য একটা পাবলিক ও প্রাইভেট কিই বা চাবি ব্যবহার করে থাকে যা অনেকগুলো অক্ষর ও নাম্বার এর সম্মনয় যাকে হ্যাস বলা হয়। প্রাইবেট কি ব্যবহার করা হই একটি ডিজিটাল signature এর জন্য আর পাব্লিক কি ব্যবহার করা হই প্রাইবেট কি এর বৈধতা যাচায় করার জন্য।
ব্লকচেইন প্রযুক্তির প্রতিটা ব্লকের বৈধতা যাচায় করার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় মাইনিং। প্রতিটা ব্লক সফলভাবে মাইনিং করার জন্য মাইনারকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান বিটকয়েন রিওয়ার্ড হিসেবে প্রধান করা হয় যাতে করে সে পরবর্তিতেও মাইনিং এর কাজ করতে উৎসাহ পাই।
কেউ যদি কোন একটি ব্লক হ্যাক করে অবৈধ কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে পরবর্তি সকল ব্লক অবৈধ হয়ে পরবে। এইকারনে এই মূদ্রা ব্যবস্থায় কোন ব্লকটি হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছিলো এটা বের করা খুবিই সহজ।
যে কেউ চাইলে এই যাবৎকাল যত লেনদেন ব্লকচেইনে এন্ট্রি করা হয়েছে তা সব দেখতে পারবে কিন্তু কোন পরিবর্তন করতে পারবে না। এটি এমন একটি মূদ্রা ব্যবস্থা যা কোন কেন্দ্রীয় প্রশাসন বা সরকার এর নিয়ন্ত্রন এর বাহিরে। তাইতো সাতোসি নাকামোতো দারা প্রথম ব্লকটির হিসাব এর তথ্য আজও দেখা যায় যা তিনি ২০০৯ সালে মাইন করেছিলেন। এখানে দেখা যাই নাকামোতো প্রথম মাইনটির জন্য ৫০ বিটকয়েন রিওয়ার্ড পেয়েছিলেন। যা “জেনেসিস ব্লক” নামে পরিচিত।
বিটকয়েন সফটওয়্যার কোডে নাকামোতো সাপ্লাই লিমিট দেন ২১ মিলিয়ন যা বর্তামানে আর মাত্র ২ মিলিয়ন বাকি, সফটওয়্যারটি এলগোরিদম এর হিসাব মতে শেষ বিটকয়েন ব্লকটি মাইন করতে ২১৪০ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
বিটকয়েন এর ইতিহাসঃ
১৯৮০ দশকের শেষের দিকে Cyberpunk নামে একদল ব্যক্তিদের আবির্ভাব হয়, যারা কেন্দ্রিয় সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছিলো, কারন প্রশাসনগুলো জনগনের তথ্য ব্যবহার করে জনগনের উপর নজরদারি করতো। এই সমস্যা সমাধা্নে Cyberpunk Cryptography ব্যবহার করার পরামর্শ দেন, যাতে কারো নজরদারি ছাড়া সাধারন মানুষ তাদের গুরুপ্তপূর্ন তথ্য একে অন্যের সাথে আদান প্রদান করতে পারে!
Cyberpunk এর এই প্রযুক্তিটি-ই বর্তামানে বিটকয়েনে ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে কোন কেন্দ্রিয় প্রশাসন বা সরকার এর নিয়ন্ত্রন ছাড়া যেকেউ বিটকয়েনে লেনদেন করতে পারবে তাদের পরিচয় গোপন রেখে।
২০০৭ ও ৮ সালে একটি বৈশ্বিক অর্থনীতি সংকট দেখা দেয় যার মূল কারন ছিলো ব্যাংক থেকে ঝুকিপূর্ণ ঋন উত্তলোন। এটা এতোই প্রকট আকার ধারন করে যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যাংক গুলোর একটির প্রতোন ঘটে যার নাম ছিলো লিহম্যান ব্রাদারস (Lehman Brothers)।
একই বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি সংকট চলাকালীন White Paper নামের একটা থিসিস পেপার এর আবির্ভাব হয় যার শিরোনাম ছিলো (Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System)।
এই পেপার এর লেখক ছিলেন সাতোসি নাকামোতো ছন্দনামের এক ব্যক্তি। নাকামোতো তার এই ৯ পৃস্টার পেপারে বিটকয়েন এর কার্যপ্রনালি বিস্তারিত আলোচনা করেন। কিভাবে কোন প্রকার অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ছাড়া সরাসরি এই ডিজিটাল মূদ্রা একে অপরের কাছে আদান প্রদান করতে সক্ষম।
নাকামোতো cyberpunk এর প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাকে বর্তামানে আমরা ব্লকচেইন প্রযুক্তি নামে জানি। ম্যাথমেটিক্স, কম্পিউটার সাইন্স, ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তির সম্মনয় ব্যবহারে নাকামোতো এমন এক ডিজিটাল মূদ্রার প্রবর্তন করেন যা কোন প্রকার কেন্দ্রিয় প্রসাশন এর নিয়ন্ত্রন ছাড়াই আদান প্রদান করতে সক্ষম।
মূদ্রা ব্যবস্থা্র নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রীয় প্রশাসন এর কাছ থেকে অপসারন করে মূদ্রার বিকেন্দ্রীকরণ করায় ছিলো বিটকয়েন এর মূল উদ্দেশ্য।
বিটকয়েন এর জম্মলগ্নে এর কোন ব্যবহারিক মূল্য ছিলো না, সাধারন মানুষ তখনকার সময় এটি সখের বসে মাইন করতো। কি এমন হলো যার ফলে বিটকয়েন এর দাম এখনকার সময় আমি যখন লেখাটি লিখতে বসলাম প্রায় ৩৮, ০০০ ডলার?
২০১০ এর মে মাসে (Lazlo Hanyecz) নামে এক ব্যক্তি বিটকয়েন এর উপর একটি আলোচনা ফোরাম তৈরি করে ১০, ০০০ বিটকয়েন এর বিনিমনে দুটো বড় সাইজ এর পিজ্জা অফার করেন।
দুইদিন পর Lazlo Hanyecz জানার তিনি ২৫ ডলার এর পিজ্জার বিনিময়ে তার কাক্ষিত বিটকয়েন কিনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই ২২শে মে কে অফিসিয়ালি ভাবে বিটকয়েন পিজ্জা দিবস বলা হয়।
একই বছর এর শেষের দিকে বিটকয়েন এর মূল্য শুন্য থেকে ০.৩৯ ডলারে বৃদ্ধি পাই এবং সাধারন টাকার সাথে সহজে লেনদেন এর জন্য Mount Gox বা Mt. Gox প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিটকয়েনের প্রায় ৭০ শতাংশ লেনদেন পরিচালনা করেতো।
২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে যেখানে ১ বিটকয়েন এর মূল্য ০.৩০ ডলার ছিলো সেখানে ৮ জুন নাগাদ ৩১.৫০ ডলারে দাম বৃদ্ধি পায়। একই বছর বিটকয়েন এর জনপ্রিয়তার ফলে বাজারে নতুন কিছু Cryptocurrency আসতে থাকে। এদের মধ্যে Litecoin ও Namecoin অন্যতম।
প্রথমদিকে বেশকিছু স্কেন্ডেল ও কুক্ষাতির জন্য বিটকয়েনকে বেশ ভুগতে হয়। এটি ব্যবহারে ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন থাকে বিদায় Dark Web ও Black Market এ মাদকসহ ও অনান্য অবৈধ পন্য কিনা বেচায় লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে বিটকয়েন ব্যবহার হতে থাকে।
তাদের মধ্যে ২০১১ সালে ফেব্রুয়ারি তে প্রতিষ্ঠিত Silk Road নামের Dark Web এর ওয়েবসাইট টি অন্যতম যা মূলত একটি অনলাইন ভিত্তিক Black Market যারা অবৈধ মাদবদ্রব বিক্রি করে থাকতো, প্রতিষ্ঠার ৩০ মাস এর কার্যসময়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৯.৯ মিলিয়ন বিটকয়েন লেনদেন করেছে যা পরবর্তিতে FBI বাজেয়াপ্ত করে।
২০১২ সালে বিটকয়েন এর দাম কমতে থাকলেও ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে গিয়ে প্রতি বিটকয়েন এর মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় ৭৭০ ডলারে এরপর একই বছরে microsoft তাদের অ্যাপস গেইমস ও অনান্য ডিজিটাল প্রোডাক্ট ক্রয়ে বিটকয়েন গ্রহন করতে শুরু করে।
এরপর ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বিটকয়েনের মূল্য ৯৯৮ ডলার দিয়ে শুরু হয় এবং ঐ বছরেই ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের মূল্য সর্বোচ্ছ ১৯৭৮৩.০৬ ডলারে গিয়ে পৌছায়।
২০১৮ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিটকয়েন এর মূল্য ৩০০০ থেকে ১২০০০ ডলারের আসেপাসে ছিলো।
২০২০ সালের ২১ অক্টোবর Paypal বিটকয়েন সহ আরো অনান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহনের ঘোষনা দিলে বিটকয়েন এর দাম আবার বাড়তে থাকে।
এর পরের বছর ২০২১ সালের ১০ই নভেম্বর বিটকয়েন এর ইতিহাসে সর্বোচ্ছ মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৬৯, ০০০ ডলারে পৌছায়। এখন পর্যন্ত এটিই বিটকয়েন এর সর্বোচ্ছ মূল্য। যা ভবিষৎ এ আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Brown Gavel : Pexels
বাংলাদেশে বিটকয়েন এর বৈধতা কি?
বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে ২০১৪ সালে বিটকয়েন লেনদেনকে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয়া হয়। তাদের মতে, “এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক বা অন্য কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয় বিধায় এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর দ্বারা সমর্থিত হয় না”।
Bangladesh Bank Notice
এরপর ২০১৭ সালের আবার সতর্কতা জারী করে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয় যেখানে বলা হয় ভার্চুয়াল মূদ্রা দেশের বৈধ্য কর্তিপক্ষ ইসু করে না বিদাই এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃত নেই।